সোমবার ১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

নিজেদের সরকার পরিবর্তনের সক্ষমতা স্বাধীনতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ: মার্কিন রাষ্ট্রদূত

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ২৪ জুলাই ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   189 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

নিজেদের সরকার পরিবর্তনের সক্ষমতা স্বাধীনতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ: মার্কিন রাষ্ট্রদূত

 

নিজেরা নিজেদের শাসন করতে সমর্থ হওয়া, প্রয়োজন হলে নিজেদের সরকার পরিবর্তন করতে সক্ষম হওয়া ইত্যাদি স্বাধীনতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকার শেরাটন হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানের আগে মানবজমিনের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস এমন মন্তব্য করেছেন।

মার্কিন দূতের কাছে এই প্রতিবেদকের প্রশ্ন ছিল, স্বাধীনতা বলতে আপনি কি বোঝেন? স্বাধীনতা দিবস থেকে কিভাবে আপনারা অনুপ্রেরণা খুঁজে পান? জবাবে পিটার হাস নিজেদের স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা স্মরণ করে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ধারণাও আমাদের মতোই কিছু নীতির মাধ্যমে শুরু হয়েছিলঃ লাইফ, লিবার্টি এবং পারসুট অফ হ্যাপিনে। আমরা কি চাই, তার একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে মানুষ হিসেবে নিজেদের নিয়মনীতি প্রতিষ্ঠা করা। নিজেরা নিজেদের শাসন করতে সমর্থ হওয়া। প্রয়োজন হলে নিজেদের সরকার পরিবর্তন করতে সক্ষম হওয়া। এগুলো স্বাধীনতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সরকার ব্যর্থ হলে তাকে পরিবর্তন করার সক্ষমতা যেনো থাকে।

এরপর, মূল অনুষ্ঠানেও বক্তব্য রাখেন পিটার হাস। মঞ্চে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার. ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন হেলেন লা-ফেইভ। সেখানে মার্কিন দূত বলেন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্য গণতন্ত্র প্রয়োজন। স্বাধীনতার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের একই রকম আদর্শ ছিল যা স্বাধীনতার সংগ্রামে দুটি দেশকে উজ্জীবিত করেছিল।

১৭৭৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার প্রায় দুইশো বছর পর বাংলাদেশও একই ধরনের নীতির উপর নির্ভর করে স্বাধীন হয়েছিলঃ জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা। 

স্পিকার. ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিগত পাঁচ দশক ধরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার সম্পর্ক খুবই উষ্ণ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ। মানবাধিকার, মানবিক মর্যাদা এবং গণতন্ত্র এই সম্পর্কের চালিকাশক্তি। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র সহ বিদেশি বন্ধুদের কথা বলতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের শীর্ষ রপ্তানি গন্তব্য এবং বড় বিনিয়োগকারী দেশ উল্লেখ করে তিনি দেশটির সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বাড়ানো এবং জনগণের সাথে জনগণের সম্পর্ক বাড়ানোর উপরও গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে, সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিরোধী দল বিএনপি ও জাতীয় পার্টি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, মানবাধিকার কর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশা ও গোত্রের প্রতিনিধি এবং ঢাকাস্থ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। (সুত্র-মানব জমিন)

Facebook Comments Box

Posted ১:৩৫ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৪ জুলাই ২০২৩

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com