নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট | 274 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের ফাইলে কি থাকছে? তিনি কি বার্তা দেবেন ওয়াশিংটনে? কি নিয়ে আসছেন ? বাংলাদেশে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত গেল একটি সপ্তাহ ‘শাটল ডিপ্লোমেসি’ সারলেন ঢাকায়। সরকারি দল আওয়ামী লীগ, প্রধান বিরোধী দল বিএনপি, কথিত অনুগত বিরোধী দলের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন তিনি। তাদের মধ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ.জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আইন মন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী,জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। কূটনৈতিক সুত্রে জানা গেছে, এ মাসেই পিটার হাস আসছেন ওয়াশিংটনে। এর আগে সেরে নিচ্ছেন হোমওয়ার্ক। গভীরভাবে জানার ও বুঝার চেষ্টা করছেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষাপট। বাইডেন প্রশাসনের সবুজ সংকেতেই তার কূটনৈতিক দৌঁড়ঝাপ চলছে ঢাকায়। বেশ কিছু সময় থাকবেন যুক্তরাষ্ট্রে। তা এক মাসের কাছাকাছি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা তীক্ষè নজর রাখছেন পিটার হাসের ওপর। তাদের গতিবিধিও রাষ্ট্রদূতের সমান্তরালে। তারা প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বলেন, একটি ফর্মূলা বা প্রেসক্রিপশন হাসের ফাইলে থাকছে এটা নিশ্চিত। ওয়াশিংটন ও বাইডেন প্রশাসন তার ওপর কিভাবে কাজ করবে তা সামনের দিনগুলোতে দেখার অপেক্ষায় থাকতে হবে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে আলোচিত ৩টি নাম হচ্ছে তোফায়েল আহমেদ, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও হাসানুল হক ইনু। তাদের গতিবিধির ওপর রাজনীতির পূর্বাভাস পাওয়া যায়। ইত্তেফাকের কর্ণধার ও জাতীয় পার্টির একাংশের নেতা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। মার্কিন বলয়ের একজন ঘনিষ্ঠজন তিনি। তোফায়েল আহমেদ আওয়ামী লীগের জাঁদরেল নেতা। রাজনীতির নাড়িনক্ষত্র তার মুঠোয়। ২০০৮ সালে ১/১১ এর পর কোনঠাসায় এই বর্ষিয়ান রাজনীতিক। রাজনীতির বর্তমান এই ঢামাঢোলে একেবারেই তিনি নীরব। জাসদের নেতা হিসেবে পরিচিত হলেও রাজনীতির মাঠে অনেক ঘটনার পটিয়সী হাসানুল হক ইনু। শেখ হাসিনার সরকারের গেল মেয়াদে অঘোষিত মুখপাত্রের ন্যায় কাজ করলেও বর্তমান মেয়াদে ছিটকে পড়েছেন। নীরব রয়েছেন বেশ কিছুদিন ধরেই। তার এই নীরবতাকে রাজনৈতিক বোদ্ধারা ভিন্ন চোখে দেখছেন। বিএনপি নেতা মির্জা ফকরুল ইসলামের সাথে সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর গোপন বৈঠক হয়েছে বলে ঢাকায় গুজবও রয়েছে। তবে তারা কেউই এ ব্যাপারে মুখ খুলছেন না। ওর্য়াকার্স পার্টির নেতা রাশেদ খান মেননের গতিবিধিও লক্ষ্য করার মতো। বাংলাদেশের মানুষ রাজনীতির অন্দরের খেলাটি দেখার অপেক্ষায় রয়েছে।
এদিকে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে সরকারি দল আওয়ামী লীগে। এক ধরনের চাপের মধ্যে থাকার কথা স্বীকারও করছেন তারা। বক্তৃতা ও বিবৃতিতে তার সমন্বয় রাখতে পাছেন না। আইনমন্ত্রীতো নির্বাচন আগে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন বলে বিপদেই পড়েছিলেন। সংবাদটি প্রচারিত হবার ২৯ মিনিটের মাথায় তা সংশোধন করে ব্যাখ্যা দেয়া হয়। বলা হয়, আইনমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের কথা বুঝাতে চান নি। আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান নেতা আমির হোসেন আমু জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় সরকার ও বিরোধি দলের সংলাপের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তার এই বক্তব্যের কয়েক ঘন্টা পরই দলের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতিসংঘের ঘটকালি বা মধ্যস্থতার দরকার নেই। দেশে এমন কিছু ঘটেনি যে তাদের ডেকে আনতে হবে। এরপর আমির হোসেন আমু নিজেই তার অবস্থান থেকে সরে পড়েন।
Posted ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩
nykagoj.com | Monwarul Islam