
নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট | 256 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
যুক্তরাষ্ট্র গত ৩ মাসে ৫১ জন বাংলাদেশির ভিসা বাতিল করেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন রাজনীতিক, আমলা, ব্যবসায়ী কাম রাজনীতিবিদ, আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য ও শিল্পী। মানবাধিকার লংঘন, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উস্কানীমূলক বক্তব্য প্রদান, রাজনীতিতে গডফাদার হিসেবে পরিচিত কয়েকজন রয়েছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পর্যায়ের একজন নেতাও রয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূতকে শিষ্ঠাচার বর্হিভূত ভাষায় আক্রমন করেছিলেন। সম্প্রতি ডিওএইচএস এ মার্কিন রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে হামলার পর কয়েকজন নেতা তা সর্মথন করে উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ২ জনের ভিসা বাতিল হয়েছে। তাদেরকে দূতাবাস চিঠি দিয়ে ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। আওয়ামী লীগের মধ্যমসারির এক নেতা মে মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওয়ার্ল্ড ব্যাংকে আগমন উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রে আসার জন্য ভিসার আবেদন করে প্রত্যাখাত হয়েছেন। বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহনমূলক করার তাগিদে ভিসা রিস্ট্রিকশনের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ মে এ ঘোষণা দেয়া হলেও বাইডেন প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নেয় এপ্রিলের প্রথম নাগাদ। বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয় ৩ মে। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস সংখ্যা উল্লেখ না করে বেশ কিছু বাংলাদেশির ভিসা বাতিলের কথা স্বীকার করেছে। দূতাবাসের মূখপাত্র বলেছেন, যাদের ভিসা বাতিল বা প্রত্যাহার করা হয়েছে তাদের অবহিত করা একটি সাধারন রীতি। তবে নির্বাচন প্রশ্নে স্টেট ডিপার্টমেন্টের আগাম ভিসা রেস্ট্রিকশনের ঘোষণা অনুসারে এখনও কারও ভিসা আবেদন বাতিল করা হয়নি।
ভিসা বাতিল কিংবা ভিসা রেস্ট্রিকশনের বিষয়টি রাষ্ট্রদূত হাসের নিরাপত্তা হ্রাসের প্রতিশোধমূলক কিনা? জবাবে দূতাবাস সাংবাদিকদের বলেছে, স্টেট ডিপার্টমেন্টের ভিসা রেস্ট্রিকশনের ঘোষণার প্রেক্ষিতটি একেবারেই ভিন্ন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ভালো বন্ধু। ওয়াশিংটন এ দিশটিতে মানুষ যেন গনতান্ত্রিক অধিকার নির্ভয়ে প্রয়োগ করতে পারে সেটাই দেখতে চায়।
এদিকে বাংলাদেশে আগাম ভিসা রেস্ট্রিকশনের ঘোষণা ও অনেকের ভিসা বাতিলের খবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্বাভাবিকহারে রেমিট্যান্স যাওয়া শুরু হয়েছে। গেল বছর জুলাই-এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স গিয়েছিল ২.৮৭ বিলিয়ন ডলার। এ বছর উল্লেখিত ২ মাসে গিয়েছে ৩.০৫ বিলিয়ন ডলার। সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক মাহমুদা খাতুন বলেছেন, ট্রেন্ডটি আনইউজুয়াল। কেন এমন হচ্ছে তা খতিয়ে দেখবার বিষয়।
কমিউনিটিতে মানি একচেঞ্জ ব্যবসার সাথে জড়িত এক বাংলাদেশি প্রতিবেদককে বলেন, বৈধ পথের তুলনায় হুন্ডির মাধ্যমে কয়েক গুণ ডলার যাচ্ছে বাংলাদেশে। কার্যত গত কয়েক বছরে এস অর্থ বাংলাদেশ থেকেই এসেছিল। তা এখন বাংলাদেশে ফিরে যাচ্ছে। একটি অংশ যাচ্ছে কানাডা, মালয়েশিয়া কিংবা দুবাই। যে পথে এসেছিল, সে পথেই আবার নিয়ে যাচ্ছে। অর্থপাচারকারিরা আস্থার যায়গাটি হয়তো হারিয়ে ফেলছেন।
Posted ৮:৪৯ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩
nykagoj.com | Monwarul Islam