
নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১৫ মে ২০২৩ | প্রিন্ট | 223 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
শনির দশা যাচ্ছে না নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের। নেতৃত্বের অসুস্থ প্রতিযোগীতায় উত্তর বঙ্গের ১৬টি জেলা নিয়ে গঠিত বৃহৎ এ সংগঠনটি বারবার মুখ থুবড়ে পড়ছে। ২০০৮ সালে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল সংগঠনটি। যার সভাপতি ছিলেন বিশিষ্ঠ শিল্পপতি হাসানুজ্জামান হাসান। সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন কমিউনিটির পরিচিত মুখ আবুল কাশেম। কিন্তু ৩ বছর না যেতেই নর্থ বেঙ্গলের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। ২০১১ সালে তা ভেংগে যায়। কয়েক দফা উদ্যোগ নিয়েও ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস আলোর মুখ দেখেনি। তবে নর্থবেঙ্গল বাসীদের অনেকেরই অভিমত কাশেম ও তনুর শীতল সম্পর্কই সংগঠনকে পেছনে নিয়ে গেছে।
বর্তমানে নর্থ বেঙ্গলের দুটি কমিটির একাংশের নেতৃত্বে রয়েছেন রাফায়েল তালুকদার ও আশরাফুজ্জামান। অন্য অংশে ডা. আব্দুল লতিফ ও শফিকুল ইসলাম শফিক (ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক)। সম্প্রতি জামাইকায় অনুষ্ঠিত হলো নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের (লতিফ-শফিক) অংশের বিশেষ সভা। তার নাম দেয়া উপদেষ্টা পরিষদের সভা। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ডা, সারওয়ারুল হাসান। এতে বলা হয়, কার্যকরি কমিটি গত ৩ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। নতুন কমিটি গঠনে ব্যর্থ হয়েছে। ডা. মাসুদুজ্জামানের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন গঠিত হলেও ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিতে পারেনি। এমতাবস্থায় বর্তমান কার্যকরি কমিটি বিলুপ্ত করে সংবিধান অনুসারে উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব গ্রহন করলো। এর আহবায়ক ডা, সারওয়ারুল হাসান ও নাসির আলী খান সদস্য সচিব নির্বাচিত হন। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তা প্রচার করা হয়।
এদিকে গত ৯ মে পত্রিকায় পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডাঃ মোঃ আব্দুল লতিফ-সভাপতি, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ও ডাঃ চৌধুরী সারোয়ারুল হাসান – প্রধান উপদেষ্টা, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন এর নামে সাধারন সভা আহবান করা হয়েছে। আগামী ১৪ মে জামাইকাস্থ স্টার কাবাব রেষ্টুরেন্টে নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন এর সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ ব্যাপারে ডাঃ চৌধুরী সারোয়ারুল হাসানের দৃষ্টি আর্কষন করা হয়। জানতে চাওয়া হয়, আপনার সভাপতিত্বে কার্যকরি কমিটি বিলুপ্ত হলো। এখন বিলুপ্ত কমিটির সভাপতির সাথে সাধারন সভা ডাকছেন কিভাবে? জবাবে ডা, সারোয়ার বলেন, আসলে আগের বৈঠকটি আনুষ্ঠানিক উপদেষ্টা কমিটির সভা ছিল না। গঠিত আহবায়ক কমিটিও ছিল প্রোপোজড কমিটি। ওখানে আমরা যারা বসেছিলাম তাদেরতো কমিটি গঠনের এখতিয়ার নেই। সব উপদেষ্টা ছিলেনও না। আর বড় কথা হলো আমরা সবাই নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন করি। সভায় সবাই ঐক্যের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সভাপতি লতিফকেতো আমরা অপমান করতে পারি না। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ডা, মাসুদুজ্জামানও একজন সন্মানিত ব্যক্তি। তাই সবাইকে নিয়ে একটি সাধারন সভার করার প্রস্তাবে আমি সায় দিয়েছি। সাধারন সভাতেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সদস্যরা চাইলে নতুন কমিটিও হতে পারে।
নব গঠিত আহবায়ক কমিটি (উপদেষ্টাদের নেতৃত্বে) সদস্য সচিব নাসির আলী খান পলের দৃষ্টি আর্কষন করলে তিনি আজকালকে বলেন, ৩০ এপ্রিল ডাঃ চৌধুরী সারোয়ারুল হাসানের সভাপতিত্বে সভা হলো। কমিটি হলো। কাযকরি কমিটি বিলুপ্ত হলো। এখন বিলুপ্ত কমিটির সভাপতিকে নিয়ে তিনি নাকি সাধারন সভা ডাকছেন। এটাতো ্একটা ভেলকিবাজি। তা’হলে ৩০ এপ্রিলের সভায় উপস্থিত সবাইকে অপমান করা হলো কেন? জ্বনাব পল বলেন, বৈঠকে উপদেষ্টা কমিটির অধিকাংশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন ডাঃ চৌধুরী সারোয়ারুল হাসান, নাসির আলী খান পল,ডা. মনজুরুল হাসান,আবু তাহের,হাসানুজ্জামান হাসান,আনোয়ার হোসেন, আজিজুল হক মুন্না,ইঞ্জি. মিজানুল হাসান। ফোনে ফানসু মন্ডল,মনিরুল ইসলাম ও যুবায়ের আহমেদ আমাদের সভার প্রতি সর্মথন দিয়েছেন। এখন কি করে গণেশ উল্টে গেল।
নর্থ বেঙ্গল ফাউন্শেনের একজন প্রবীন সদস্য আজকালকে বলেন, ১৪ বছর আগে এ সংগঠন আমরা তৈরি করেছি। এ সময়ে আমরা মাত্র ২ জন সভাপতি পেয়েছি। তারা হলেন হাসানুজ্জামান হাসান (প্রথম সভাপতি) ও আব্দুল লতিফ। এখন নতুন নেতৃত্ব আনতে হবে। তা সাধারন সভাতেই হতে পারে। বর্তমান সভাপতি ডা. আব্দুল লতিফের সাথে বারবার যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। সহ সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেনের দৃষ্টি আর্কষন করলে তিনি আজকালকে বলেন, নির্বাচন কমিশিনের ৩ সদস্যের ২ জনই বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। তাই তারা ৯০ দিনের মধ্যে কমিটি দিতে পারেনি। তাদের মেয়াদ কার্যকরি কমিটির সভায় বাড়ানো হয়েছে। সংগঠন সংবিধান অনুসারেই চলছে। সহসাই সব ঠিক হয়ে যাবে।
Posted ৯:১৩ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৫ মে ২০২৩
nykagoj.com | Monwarul Islam