
নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ০৩ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট | 312 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি ৬ শীর্ষ নেতা বৈঠক করলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমানের সাথে। লন্ডনের একটি স্থানীয় হোটেলে ১ মার্চ এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি গঠনই ছিল প্রধান ইস্যু। তারা বলেন, দলকে শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির পূর্নাঙ্গ কমিটি প্রয়োজন। সরকার বিরোধী আন্দোলন ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে একক প্লাটফর্ম থেকে কাজ করতে হবে। গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কোন কমিটি নেই। দলকে সংগঠিত করতেই কমিটি প্রয়োজন। তারা তারেক রহমানকে বলেন, আপনি যে কমিটি দেবেন তা আমরা মাথা পেতে নেব। যউক্তরাষ্ট্র এিপির নেতাকর্মিরা আপনার সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাবে। তারেক রহমান তাদের বক্তব্য মনোযোগের সাথে শোনেন। তিনি নেতাদের বলেন, সবাইকে এক সাথে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। এখন পদপদবীর নিয়ে চিন্তা করলে চলবে না। দেশকে বাঁচাতে ও দেশনেত্রীকে রক্ষা করতে আন্দোলনের বিকল্প নেই। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি অবশ্যই গঠন করা হবে। ঢাকার সাথে আলোচনা কওে কমিটি গঠন করা হবে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে লন্ডনগামী নেতারা হলেন, বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহবায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লু, বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক কেন্দ্রীয় আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস আহমেদ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মিল্টন ভুইঁয়া, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি আলহাজ্ব বাবর উদ্দীন, বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসিম ভূইঁয়া ও বিএনপি নেতা মোশাররফ হোসেন সবুজ।
নিউইয়র্ক থেকে টেলিফোনে লন্ডনে অবস্থানরত মিল্টন ভূইঁয়ার দৃষ্টি আর্কষন করা হয়। তিনি বলেন, দলের গুরত্বপূর্ন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে দলকে আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করতে কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা আমরা বলেছি। আমরা পদপদবী নিয়ে লবিং করিনি। আমরা সবাই একবাক্যে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি দেবার অনুরোধ করেছি। তিনি অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে আমাদের কথা শুনেছেন এবং কমিটি দেবেন বলে জানিয়েছেন। তারেক রহমান কোন টাইম ফ্রেম দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে মিল্টন ভূইঁয়া বলেন, না। নির্দিষ্টভাবে তেমন কিছু বলেন নি। তবে শিঘ্রই কমিটি দিবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। আপনারা কি তারেক রহমানের আমন্ত্রনে গিয়েছিলেন? নাকি কোন এপোয়েন্টমেন্ট ছাড়াই গিয়েছিলেন? জবাবে মিল্টন ভূইঁয়া বলেন,দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের সাথে নেতাকর্মিরা দেখা করবেন এটাই স্বাভাবিক। আমরা তার সাথে সাংগঠনিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলাম। তিনি এপোয়েন্টমেন্ট দেবার পরই আমরা সাক্ষাৎ করতে লন্ডন গিয়েছি।
এদিকে ৬ নেতার লন্ডন সফর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতাকর্মিদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। কেই কেউ বলছেন, তারেক রহমানের সাথে ৬ নেতার আলোচনা সফল হয়েছে। আবার কেউ বলছেন, তাদের লন্ডন সফর গনতান্ত্রিক হয়নি। আরও অনেক পরীক্ষিত নেতা আছেন তাদের নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। এ ব্যাপারে প্রতিবেদককে বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও মূললারার রাজনীতিক আকতার হোসেন বাদল বলেন, লন্ডনে এমন একটি বৈঠক হবে সেখানে ডা. হামিদুজ্জামান, আব্দুল লতিফ স¤্রাট,ডা. মজিবুর রহমান ও প্রফেসর দেলোয়ারের মতো নেতারা থাকবেন না এটা কি করে হয়। তারা তারেক রহমানকে বিভ্রান্ত করতে গিয়েছে। নিজেদের জাহির করতে গেছে। আমরা কি কেউ নই?
বিএনপি নেতা আব্দুল বাতেন বলেন,যতটুকু জেনেছি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়াপারসনের সাথে ৬ নেতার আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা আশা করছি তিনি দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের নিয়ে একটি যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি সহসাই দেবেন।
লন্ডনের এই সফর নিয়ে তাৎক্ষনিক ক্ষোভ প্রকাশ করে ২৮ ফেব্রুয়ারি জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন রেষ্টুরেন্টে সভা করেছেন মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, কাজি আযম ও আনোয়ারুল ইসলামরা। তারা বলেছেন, ৬ নেতা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিনিধি হিসেবে লন্ডন যাননি। তারা তাদের নিজেদের ব্যক্তিগত কাজে লন্ডন গিয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও নীতি নির্ধারণী নেতৃবৃন্দের কাছে আমাদের প্রত্যাশা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ব্যপারে যে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মনোভাব ও মতামত জানতে চেষ্টা করবেন।
তাৎক্ষনিক এই সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট জামাল আহমেদ জনি। প্রধান বক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল। সভাটি পরিচালনা করেন সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আজম।
ভারচুয়ালি ( টেলিফোনে )যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডাঃ মজিবুর রহমান মজুমদার ও সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ স¤্রাট লন্ডন গমনকারী কতিপয় নেতার লন্ডন গমণে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এমদাদুল হক কামাল, নূর মোহাম্মদ, আবুল কাশেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম।
Posted ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৩ মার্চ ২০২৩
nykagoj.com | Monwarul Islam