
নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০২ মার্চ ২০২৫ | প্রিন্ট | 123 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস—২০২৫’ উদযাপন করেছে নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেট। গত ২১ ফেব্রয়ারি এস্টোরিয়াস্থ কনসুলেট অফিসে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন পেশাজীবী, সাংবাদিক, নতুন প্রজন্ম ও কমিউনিটি এক্সিভিস্টসহ বিপুল সংখ্যক দেশী—বিদেশী অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পড়া হয়। অনুষ্ঠানে ৫২’, ৭১ ও ২০২৪’—এর জুলাই—আগস্টের শহীদদের স্মরণ করা করে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষ্যে ‘ইকোনোমিস্ট‘স কান্ট্রি অব দ্যা ইয়ার ২০২৪’ ও ‘জুলাই অনির্বাণ’ নামে দুইটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।
অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। নাজমুল হুদা ৫২’র ভাষা শহীদ, ৭১—এর স্বাধীনতা যুদ্ধের সব শহীদ এবং ২০২৪’—এর জুলাই—আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান এবং জুলাই আগস্টের ছাত্র—জনতার অভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছেন, তাদের আশু সুস্থ্যতা কামনা করেন। তিনি বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মূল চেতনা হল পৃথিবীর সব ভাষা ও সংস্কৃতির নিজস্বতা রক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে, যা জাতি হিসেবে আমাদেরকে গৌরবান্বিত করেছে। এ বছর ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’—এর রজতজয়ন্তী।’ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশী প্রবাসীরা বাংলার চর্চা এবং প্রসারে, চমৎকার ভূমিকা পালন করছেন।
কনসাল জেনারেল বলেন, ২০২৪ সাল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় সংযোজন করেছে। ২০২৪ সালের ফ্যসিবাদ বিরোধী ও বৈষম্য বিরোধী গণ—অভ্যুত্থান বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থা মেরামত তথা সংস্কারের এক অনন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে।প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার যে সংস্কার কর্মসূচী হাতে নিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের জন্য তিনি সকলের ঐকান্তিক সহযোগীতা কামনা করেন। বাংলাদেশের আর্থ—সামাজিক উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী ভাই—বোনদের অধিকতর অবদান রাখার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
উন্মুক্ত আলোচনায় নিউইয়র্কস্থ বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। স্থানীয় বাংলাদেশ কমিউনিটি শিল্পীদের পরিবেশনায় একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে কনসাল জেনারেল শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে সম্মিলিত বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন এবং বাংলাদেশ সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে একুশের প্রথম প্রহরে অস্থায়ী ভিত্তিতে নির্মিত শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
##
Posted ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০২ মার্চ ২০২৫
nykagoj.com | Monwarul Islam