রবিবার ১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের খরচ মেটাচ্ছে অভিবাসীরাইঃ আবারো বাড়ছে ইমিগ্রেশনের বিভিন্ন ফরম’র দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   রবিবার, ০৮ জানুয়ারি ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   145 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের খরচ মেটাচ্ছে অভিবাসীরাইঃ আবারো বাড়ছে ইমিগ্রেশনের বিভিন্ন ফরম’র দাম

আজকাল রিপোর্ট যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের খরচ মেটাবে আবেদনকারি ইমিগ্র্যান্টরাই। আর তা বাস্তবায়নে ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির এজেন্সী ইউএস সিটিজেনশীপ এন্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস) নোটিশ অব প্রোপোজড রুলমেকিং (এনপিআরএম) প্রকাশ করেছে। যাতে ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত বিভিন্ন আবেদনপত্রের (ফরম) ফি বাড়ানো হয়েছে। কোন কোন আবেদনপত্রের ফি বেড়েছে দেড়শত ভাগ।

বর্তমানে ইমিগ্রেশন বিভাগ পরিচালনায় মোট খরচের ৯৬ ভাগই আসে আবেদনকারিদের দেয়া বিভিন্ন ফি থেকে। কিন্তু করোনা পরবর্তীকালে স্টাফ সংকট দেখা দিয়েছে মারাত্মক। যার কারনে হাজার হাজার ইমিগ্রেশন কেস ব্যাকলগে আটকে আছে। ব্যাকলগ দূর করে ইমিগ্র্যান্টদের সার্ভিস নিশ্চিত করতে বিপুল পরিমান ফান্ডের প্রয়োজন। এজেন্সীর পরিচালক এম যাদৌ বলেছেন এখনই হায়ার করতে হবে প্রায় ৮ হাজার কর্মচারি। প্রয়োজন আধুনিক টেকনোলজি। ইমিগ্র্যান্টদের সেবার মান উন্নয়ন ও এজেন্সীকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতেই বিভিন্ন আবেদনপত্রের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

ইউএসসিআইএস এর প্রস্তাব অনুসারে সিটিজেনশীপের আবেদনের জন্য ফরমের ( এন ৪০০) দাম ৬৪০ ডলার থেকে বাড়ানো হচ্ছে ৭৬০ ডলারে। এতে বাড়বে ১২০ ডলার। সার্টিফিকেট অব সিটিজেনশীপ এর জন্য আবেদনপত্রের দাম ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩ শত ৮৫ ডলার। বর্তমানে রয়েছে ১১৭০ ডলার। ফ্যামিলি ইউনিটি (স্পাউস আনা) ফরমের দাম ৬০০ ডলারের স্থলে করা হয়েছে ৮৭৫ ডলার। এতে ৪৬% ফি বাড়ছে। গ্রীন কার্ডের আবেদন ফি ১২২৫ ডলারের স্থলে হচ্ছে ১৫৪০ ডলার। ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন ফি ৪১০ ডলারের স্থলে হচ্ছে ৬৫০ ডলার। এতে ৫৯% ফি বাড়লো। সবচেয়ে বেশি ফি বাড়ছে ইনভেস্টর ক্যাটাগরির ইমিগ্র্যান্টদের বেলায়। কোন বিনিয়োগকারি কন্ডিশনাল পারমানেন্ট রেসিডেন্সী স্ট্যটাস থেকে কন্ডিশন তুলে ফেলতে চাইলে তাকে ৩৭৫০ ডলারের স্থলে ফি দিতে হবে ৯৫২৫ ডলার। ফি বাড়লো ১৫৪%।

এমনি অধিকাংশ আবেদন ফরমের ফি বাড়িয়েছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। পাবলিকের শুনানীর জন্য প্রস্তাবটি প্রকাশ করা হয়েছে। আমেরিকানরা আগামী ৬ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত এর ওপর মতামত দিতে পারবেন। প্রস্তাবটি কার্যকর হলে এজেন্সীর আয় ৪.৫ বিলিয়ন থেকে ৬.৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে। যাতে শতভাগ খরচ আসবে ইমিগ্র্যান্টদের দেয়া অর্থ থেকে। ফেডারেল সরকারের কাছে আর হাত পাততে হবে না। সর্বশেষ ২০১৬ সালে বিভিন্ন ইমিগ্রেশন ফরমের দাম বেড়েছিল।

Facebook Comments Box

Posted ৩:৫৫ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৮ জানুয়ারি ২০২৩

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com