সোমবার ১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

শেষ হাসি কমলা না ট্রাম্পের?

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   146 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

শেষ হাসি কমলা না ট্রাম্পের?

 

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারণার শেষ মুহূর্তে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কমালা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প একে অন্যের বিরুদ্ধে মিডিয়ার মাধ্যমে সাঁড়াশি আক্রমণ এবং পাল্টা আক্রমণ করে চলেছেন। কমালা হ্যারিস ট্রাম্পকে বলেছেন ‘ফ্যাসিস্ট’। পাল্টা জবাবে টাম্প তাঁকে বলেছেন ‘স্টুপিড’। আগামী ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আগাম ভোট দেয়া যাবে আগামী ৩ নভেম্বর রোববার পর্যন্ত। নির্বাচনে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে তা নিয়ে বিশ্লেষকগণ মত দিয়েছেন। দুই প্রার্থীর পক্ষেই তাদের সমর্থকরা এখন মাঠে রয়েছেন। বাংলাদেশি কমিউনিটির ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরছেন। গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসি নীতি সম্পর্কে পক্ষে বিপক্ষে বিতর্ক চলছে। দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন কিন্তু বৈধ ‘কাগজ’ পাননি তাদের মধ্যে উদ্বেগ কাজ করছে বলে জানা যায়। বিজয়ি হলে কমালা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মতোই দুর্বল নীতি গ্রহণ করবেন বলেও ট্রাম্প সমর্থকরা যুক্তি দিচ্ছেন।

আসন্ন নির্বাচনের দিন ভোটে কে এগিয়ে যাবেন তা নিয়েও নানা আলোচনায় মাঠ এখন উত্তপ্ত। তবে বাস্তবতা হচ্ছে— প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে গেলে তাঁকে ‘ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট’—এ এগিয়ে থাকতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি রাজ্যে মোট ইলেক্টোরাল ভোট আছে ৫৩৮টি। এর মধ্যে কোনো প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে গেলে কমপক্ষে ২৭০টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেতে হবে। আবার সব রাজ্যে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা একরকম নয়। যদি কোনও প্রার্থী সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন না করতে পারেন, তাহলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার জন্য প্রতিনিধি পরিষদ এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার জন্য সিনেট দ্বারা একটি অস্থায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
রাজ্যগুলোতে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ইলেক্টোরাল ভোট নির্ধারণ হয়ে থাকে। নির্বাচনে ব্যাটল গ্রাউন্ড হিসেবে ৭টি স্টেইটকে ধরা হয়ে থাকে। তাতে ইলেক্টোরাল ভোট আছে ৯৩টি। ধারণা করা হচ্ছে— ওয়াশিংটন ডিসিসহ ১৯টি রাজ্য থেকে কমালা হ্যারিস কমপক্ষে ২২৬টি ইলেক্টোরাল ভোট পেতে পারেন। ২৭০টি ভোট পেতে হলে আরও ৪৪টি ভোট তাঁকে পেতে হবে। এক জরিপ অনুযায়ী ট্রাম্প এবং কামালা হ্যারিসের ব্যবধান পেনসিলভ্যানিয়াতে খুবই কম। জর্জিয়া এবং নর্থ ক্যারোলাইনাতে এই ব্যবধান আর একটু বেশি।

২৪টি রাজ্য রিপাবলিকানদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। সেখান থেকে ট্রাম্প কমপক্ষে ২১৯ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট আছে টেক্সাসে ৪০টি।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিউইয়র্ক সিটির ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে সমাবেশ করে জনসমর্থন চাঙ্গা করেছেন। এক জরিপে দেখা যায়, তাঁর জন্মস্থান নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা খুবই কম। ২০২০ সালের নির্বাচনে সেখানে তিনি ৪০ শতাংশের কম ভোট পেয়েছিলেন। এই রাজ্যেই ২০২৪ সালে তাঁকে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
১৯৬১ সালের ২৩তম এ্যামেন্ডমেন্টের মাধ্যমে কলম্বিয়ার ফেডারেল ডিস্ট্রিক্টকে তিনটি ইলেক্টর প্রদান করা হয়। যার ফলে মোট ইলেক্টরের সংখ্যা ৫৩৮—এ পেঁৗছে যায়। সিনেটর এবং প্রতিনিধিসহ ফেডারেল অফিসধারীরা এই ভোটার হতে পারেন না।

Facebook Comments Box

Posted ২:৪৮ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com