নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট | 112 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক সমাজের ব্যানারে ড.মুহাম্মদ ইউনূসকে নাগরিক সংবর্ধনার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে কুইন্সের এস্টোরিয়া ম্যানর এর হল রুম বুক দেয়া হয়েছে। আয়োজকরা এ লক্ষ্যে ঢাকা—নিউইয়র্ক, দূতাবাস, মিশন ও কনস্যুলেটে আলোচনা করছেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও মিশন—কনস্যুলেট থেকে কোন সবুজ সংকেত পান নি উদ্যোক্তারা।
সবংর্ধনা অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা প্রফেসর ড. শওকত আলী বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে আমি শওকত আলী, সিনিয়র সাংবাদিক সাইয়িদ তারেক ও টাইম টিভির আবু তাহের প্রাথমিকভাবে আলোচনা করে সংবর্ধনার চিন্তা করি। কিছুটা এগিয়েছিও। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে বড় পরিসরে আলোচনা দাগিদ থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সহায়ক শক্তিগুলোর সাথে বসা হচ্ছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি সেন্টারে এমনই একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। বৈষম্য বিরোধী প্রবাসী সচেতন নাগরিক সমাজ ও প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক সমাজের ব্যানারে তা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রধানকে সংবর্ধনা, তাকে বিমান বন্দর ও জাতিসংঘে ভাষণদানকালে স্বাগত জানানোর বিষয়াদি স্থান পায়। উল্লেখ্য সরকার প্রধান ড. ইউনূস ৫ দিনের সফরে ২২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে আসছেন। পতিত স্বৈরাচারির দোসররা যাতে বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে নজর রাখার ওপরও গরুত্ব দেন আলোচকরা। সভায় অনেক বক্তা বলেন, দূতাবাস, মিশন ও কনস্যুলেটে স্বৈরাচারি হাসিনা সরকারের আর্শীবাদপুষ্ট অফিসাররা এখনও অবস্থান করছে। তারা সংবর্ধনার আয়োজন করলে আমরা সেখানে যেতে পারি না। তারা পুরো অনুষ্ঠানকে সাবোটাজ করতে পারে। এ সময় শওকত আলী বলেন, সরকার যদি তাদের ওপর আস্থা রেখে অনুষ্ঠান করতে চায় সেক্ষেত্রে আমাদের কি করার আছে? তবে আমরা উদ্বেগের কথা যথাযথ জায়গায় জানাতে পারি। কোনভাবেই যেন ড. ইউনূসের সন্মান হানি না হয় সে ব্যাপারে দৃষ্টি রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে ৫০ জন প্রবাসী মতামত ব্যক্ত করেন। তাদের অধিকাংশই প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক সমাজের ব্যানারে সবংর্ধনার আয়োজনের পক্ষে কথা বলেন। এ জন্য একটি সমন্বয়ক কমিটি গঠনেরও দাবি জানান। সমাপনী বক্তব্যে ড. শওকত আলী বলেন, আমি, আবু তাহের ও সাইয়িদ তারেক বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। কিন্তু এখনই চূড়ান্ত ঘোষণার পরিস্থিতি তৈরি হয় নি। আমরা যোগাযোগ রাখছি। নজর রাখছি। কোনভাবেই ড. ইউনূসকে অসন্মান করা যাবে না। মিশন ও কনস্যুলেটও আমাদের কংক্রিট কিছু বলে নি। তাই আজ কোন কমিটি নয়। আরও দু একদিন যাক। সবকিছু দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রয়োজনে আমরা আবার বসবো। অনুষ্ঠানটিতে অঘোষিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ড. শওকত আলী। সঞ্চালনায় ছিলেন আহমেদ সোহেল।
আলোচনায় অংশ নেন রীতা রহমান, সাইয়িদ তারেক, মোশাররফ হোসেন সবুজ, আব্দুস সবুর, এডভোকেট জামাল হোসেন জনি,পারভেজ সাজ্জাদ,রাসিক মালিক, মোম্মদ সেলিম,কামরুল হাসান, শাহ আলম,মির্জা আলী আজম,,এম রহমান মাসুম,মাজহারুল ইসলাম মিরন,মোহাম্মদ জসিম,মোহাম্মদ মজুমদার,গিয়াস উদ্দীন,ড. শফি চৌধুরী,ইমরান রন শাহ,মোহাম্মদ রানা,শামসুল ইসলাম মজনু,হানিফ চৌধুরী,আমলাক হোসেন ফয়সল,ডা. মোহাম্মদ কাশেম,মোহাম্মদ আলী,হেলাল উদ্দীন,জাহাঙ্গীর আলম,মোহাম্মদ এ কাশেম,বদিউল আলম,আশরাফ হোসেন,ফেরদৌস আলম,ডা.আতাউল হক ওসমানী,কাজি জহিরুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান মিজান সহ অনেকে।
Posted ৩:০৩ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
nykagoj.com | Monwarul Islam