বিনোদন ডেস্ক | রবিবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট | 29 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
আপাতত অভিনয়ে ফেরার মানসিক অবস্থায় নেই অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। দেশের চলমান সার্বিক পরিস্থিতি নিয়েই উৎকণ্ঠায় আছেন এই অভিনেত্রী। জানালেন, নতুন এক বাংলাদেশ দেখার স্বপ্নে বিভোর আছেন তিনি। সেই স্বপ্নের মধ্যেই দুঃস্বপ্ন হয়ে এলো বন্যা।
স্মরণকালের ভয়াবহ এ বন্যার সম্মুখীন হয়েছেন দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলা। বন্যার পানিতে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর, ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। এ ঘটনায় এসব জেলাগুলোতে মানুষের হতাহতের সংখ্যাও কম নয়। ফলে ঢাকায় থেকেও স্বস্তি পাচ্ছেন না মিথিলা। বললেন, দেশ ও দেশের মানুষ ভালো না থাকলে তো আমরাও স্বস্তিতে থাকতে পারি না। আশা, দ্রুত সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
এই অস্বস্তিদায়ক সময়েও দেশের মানুষের একতাবদ্ধতাকে মুগ্ধ করেছে সব শ্রেণির মানুষকে। মুগ্ধ হয়েছেন মিথিলাও। জানালেন বন্যার এই সময়টাতেও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই নিজেদের সাধ্যমতো বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। টিএসসিতে ত্রাণ দেওয়ার যে চিত্র দেখেছি, তাতে প্রমাণিত কতটা মানবিক আমরা। এটাই বাংলাদেশ। তাই আশা করব, আগামীর বাংলাদেশটা আরও সাম্যের হোক।
মিথিলা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘কাজলরেখা’। কংকন দাসী চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। মাস দুয়েক আগে কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত নতুন সিনেমা ‘অরণ্যর প্রাচীন প্রবাদ’। এই সিনেমায় অভিনয় করেও তিনি প্রশংসিত হয়েছেন। মানে দুই বাংলাতেই অভিনয় নিয়ে সমান ব্যস্ততা তাঁর। শুধু সিনেমাতে নয়, ব্যস্ততা ওটিটির কাজ নিয়েও। আর চাকরির ব্যস্ততা তো রয়েছেই।
তবে আপাতত নতুন কোনো চলচ্চিত্র কিংবা ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন না এই অভিনেত্রী। পরিস্থিতি আগে স্বাভাবিক হোক, তারপরই কাজ করার ইচ্ছে তাঁর।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে রাজপথে দেখা গেছে মিথিলাকে। কী ধরনের বাসনা নিয়ে ছাত্রদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে রাজপথে নামা তাঁর? প্রশ্ন রাখলে মিথিলা বলেন, আমার শিক্ষাটা হচ্ছে–অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করব। আমি দেখেছি অন্যায় হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের মারা হচ্ছে, প্রতিবাদ করেছি। আমার মনে হয়, সবারই অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করা উচিত। তাহলেই ভালো কিছু হবে। তবে মূল আন্দোলনটা করেছেন শিক্ষার্থীরাই। ধন্যবাদ ও ভালোবাসা পাওয়ার কৃতিত্ব তাদের। আমরা সমর্থন করেছি। চেষ্টা করেছি, তাদের পাশে থাকার।’
ছাত্রদের আন্দোলনে বিজয়ের পর বলা হচ্ছে নতুন বাংলাদেশ রচিত হয়েছে। এই নতুন বাংলাদেশে এখনকার চাওয়া কী, জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ নাগরিক হিসেবে সবাই যেটা চায়, আমিও সবার আগে সেটাই প্রত্যাশা করব। প্রথমেই চাইব নতুন বাংলাদেশে যেন কোনো অন্যায় অবিচার প্রশ্রয় না পায়। বিনা কারণে মানুষ যেন আর মারা না যায়। ক্ষমতার অপব্যবহার যেন না হয়। সাম্যের দেশ হোক। সবাই যেন সমান অধিকার পাই।
Posted ৩:৩২ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
nykagoj.com | Stuff Reporter