শনিবার ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টাপুর-টুুপুর দুই বোনের টাপুর এলেন সিনেমায়

ডেস্ক রিপোর্ট   |   বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২   |   প্রিন্ট   |   396 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

টাপুর-টুুপুর দুই বোনের টাপুর এলেন সিনেমায়

মৌসুমীর সাথে মেয়েটির ছবিটি দেখুন, চিনতে পারেন? জানি, অনেকেই চিনবেন। কারণ এই মিষ্টি মুখটি যে বহু পরিচিত। অমিতাভ রেজা চৌধুরী, মাতিয়া বানু শুকু, চয়নিকা চৌধুরীসহ আরও বেশ কিছু নির্মাতার নাটক, টেলিছবি ও বিজ্ঞাপনে তাঁকে দেখেছেন। তবে মজার বিষয় হলো, নাম জানতে চাইলে অনেকে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে যাবেন। এটা কি টাপুর নাকি টুপুর? এ প্রশ্নই উঠে আসবে সামনে। এমন হওয়ারই কথা।

কারণ একই দিনে কিছু সময়ের ব্যবধানে পৃথিবীতে এসেছিলেন তাঁরা। রবিঠাকুরের পঙ্‌ক্তি থেকে তাঁদের নাম রাখা হয়েছিল টাপুর ও টুপুর। অভিনয় জগতেও এই দুই বোন পা রেখেছিলেন একসঙ্গে। দর্শকনজরও কেড়েছিলেন অল্প সময়ের মধ্যে। কিন্তু সবকিছু হাতে হাত ধরে হলেও তাঁদের বড় পর্দায় অভিষেক একসঙ্গে হচ্ছে না। এবার টুপুরকে রেখেই টাপুরের যাত্রা শুরু হলো সিনেমার রঙিন ভুবনে।

আগামীকাল মুক্তি পাচ্ছে তাঁর অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘দেশান্তর’। নন্দিত কবি নির্মলেন্দু গুণের উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন আশুতোষ সুজন। যেখানে তুলে ধরা হয়েছে দেশভাগ আর দেশপ্রেমের গল্প। এতে টাপুর সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছেন নন্দিত অভিনয়শিল্পী আহমেদ রুবেল, মৌসুমী, মামুনুর রশীদ, মোমেনা চৌধুরী থেকে শুরু করে ইয়াশ রোহানের মতো তরুণ অভিনেতাকে। যাঁদের সবার মুখেই শোনা গেছে তাঁর অভিনয়ের প্রশংসা।

নির্মাতা আশুতোষ সুজনও স্বীকার করেছেন, সিনেমায় টাপুরের মনসা চরিত্রটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ; যা তিনি সাবলীলভাবে পর্দায় তুলে ধরছেন। অবশ্য এটা অবাক করার বিষয় নয়। কারণ, সংস্কৃতির বলয়েই তাঁদের বেড়ে ওঠা। বাবা সতীর্থ রহমান রুবেল দেশের একজন আলোচিত অভিনেতা ও নির্মাতা। মা গোলাম ফরিদা ছন্দাও অভিনেত্রী হিসেবে দর্শকহৃদয় জয় করেছেন। তবে মা-বাবার পরিচয় নয়, নিজ প্রতিভায় টাপুর দর্শকের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। তারপরও ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায় কাজ করা যে কারও জন্যই চ্যালেঞ্জিং। চরিত্র আত্মস্থ করে তা দর্শকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা মোটেও সহজ নয়।

তাই এই কঠিন কাজটি কীভাবে সম্ভব হলো, সেটাই জানতে চাওয়া হয়েছিল টাপুরের কাছে। এর উত্তরে টাপুর বলেন, ‘আমি যে কোনো কাজের শুরুতে চেষ্টা করি, স্ট্ক্রিপ্ট পড়ে চরিত্রকে নিজের মধ্যে ধারণ করতে। সব সময় মা-বাবা সহযোগিতা করেন, এবার বাড়তি সহযোগিতা পেয়েছি নির্মাতা আশুতোষ সুজন, মৃত্তিকা গুণসহ ছবির সব শিল্পী ও কলাকুশলীর কাছে। এই যে গুণী নির্মাতা ও শিল্পীদের পাশে পাওয়া- তা থেকে নিজের সেরাটা বের করার তাগিদ আপনাআপনি এসে গিয়েছিল। তাই নির্ভার হয়ে কাজ করে গেছি। সেটা কতটা পেরেছি, এখন দর্শকই তা বলবেন।’

Facebook Comments Box

Posted ১:৫৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com