
বিনোদন ডেস্ক | বুধবার, ২৮ আগস্ট ২০২৪ | প্রিন্ট | 65 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
যৌন হেনস্তার অভিযোগে বিদ্ধ গোটা মালায়লাম চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি। সিনেমা জগতে নবাগত কিংবা প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রীদের শ্লীলতাহানি ও যৌন হেনস্তার অন্ধকার-বাস্তবের কথা প্রকাশ্যে আসতেই ফের নতুন করে মি-টু আন্দোলন শুরু হয়েছে। সম্প্রতি টালিউড অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের অভিযোগ, হেমা কমিটির রিপোর্ট সেই অভিযোগ আরও জোরদার করেছে। যৌন হয়রানির মত গুরুতর অভিযোগ উঠেছে রঞ্জিত, সিদ্দিকির মতো পরিচালক-অভিনেতাদের বিরুদ্ধে।
এরই মধ্যে মালায়লাম ইন্ডাস্ট্রিতে যৌন হেনস্তার প্রতিবাদে সিনে সংগঠন অ্যাসিয়েশন অফ মালায়লাম মুভি আর্টিস্টস থেকে পদত্যাগ করলেন সংগঠনের সভাপতি ও অভিনেতা মোহনলাল। তবে শুধু তিনি একা নন, সঙ্গে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন সংগঠনের ১৭ জন সদস্য। অর্থাৎ ভেঙে দেওয়া হয়েছে সংগঠনটির পুরো কমিটি।
পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে বার্তায় তারা জানান, ‘আশা করছি। এই সংগঠন নতুন নেতৃত্ব পাবে। যিনি সঠিক বিচার করবেন। সমালোচনা ও সঠিক দিশা দেখানোর জন্য ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সবাইকে ধন্যবাদ।’
গত ২৪ আগস্ট মালায়লাম ইন্ডাস্ট্রির এক অভিনেত্রী যৌন নিপীড়নের অভিযোগের পরেই অভিনেতা সিদ্দিক অ্যাসোসিয়েশন অফ মালায়লাম মুভি আর্টিস্টসের (এএমএএমএ) সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানিয়েছিলেন, তিনি সংগঠনের সভাপতি মোহনলালের কাছে তার পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। যেহেতু আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাই আমি পদে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে পদত্যাগ করেছি।
পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও কয়েকদিন আগে মালায়লাম সিনেমা জগতের এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন। এখন একের পর এক অভিনেত্রী সেই অভিযোগে মুখ খুলছেন।
কেরলের অ্যাসিয়েশন অফ মালায়লাম মুভি আর্টিস্টসের সাধারণ সম্পাদক অভিনেতা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তরুণী অভিনেতা রেবতী সম্পত। সিদ্দিককে তিনি কট্টর অপরাধী বলে অভিযোগে বলেছেন। ২০১৬ সালে সিদ্দিক তাকে যৌন হয়রানি করেন বলে অভিযোগ।
আরেক অভিনেত্রী মিনু মুনির সোমবার প্রখ্যাত তারকা এম মুকেশ এবং জয়সূর্যের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন। ২০১৩ সালে একটি সিনেমার শুটিং সেটের কথা তুলে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে তিনি বলেন, আমি বাথরুম থেকে বেরতেই জয়সূর্য পিছন থেকে আমাকে জাপটে ধরেন। এবং আচমকাই আমায় চুমু খান। এইভাবে এই চারজন দফায় দফায় তাঁর শারীরিক হেনস্তা করেন বলে অভিযোগ করেছেন মুনির।
গীতা বিজয়ন নামে আরেকজন অভিনেত্রী পরিচালক তুলসীদাসের বিরুদ্ধে আপত্তিজনক আচরণের অভিযোগ এনেছেন। বিচারপতিকে হেমা কমিটির রিপোর্টের পর সরকার পদক্ষেপ করেছে। দুই বিশিষ্ট লোকের ইস্তফার পর কেরল সরকার সাত সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করে। আইজির নেতৃত্বে এই টিমে রাখা হয়েছে চার মহিলা আইপিএসকে।
Posted ৪:০০ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৮ আগস্ট ২০২৪
nykagoj.com | Stuff Reporter