সোমবার ১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>
দূতাবাস ও কনস্যুলেট থেকে মুজিব ও হাসিনার ছবি অপসারন

আত্মীয় খ্যাত আসিফ কনস্যুলেটে বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   রবিবার, ১১ আগস্ট ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   212 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

আত্মীয় খ্যাত আসিফ  কনস্যুলেটে বহাল

বিএনপি সমর্থকদের চাপে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস, জাতিসংঘস্থ বাংলাদেশ মিশন এবং নিউইয়কের্র কনসাল জেনারেলের অফিস থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি অপসারণ করা হয়েছে। বিএনপির সমর্থকরা দূতাবাসে ঢুকে তাদের ছবি অপসারণ করেন। গত ৬ আগস্ট বিএনপি সমর্থকদের চাপে এ দুৃটি সরকারী অফিস থেকে তাদের ছবি নামিয়ে ফেলা হয়। এদিকে নিউইয়র্ক কনস্যুলেট অফিসে কর্মরত আছেন শেখ হাসিনার আত্মীয় হিসেবে খ্যাত আসিফ। তিনি ভাইস কনসালের দায়িত্ব পালন করছেন। কনস্যুলেটে অঘোষিত স¤্রাট হিসেবে পরিচিত তিনি। গত ১৬টি বছর এই অফিসে তার কথায় সবকিছু পরিচালিত হতো। পেশাদার সাংবাদিকদের কালো তালিকা তিনি প্রনয়ন করতেন। তা জাতিসংঘস্থ বাংলাদেশ মিশন ও কনস্যুলেট অফিস সংরক্ষিত থাকতো। সরকার বিরোধী সাংবাদিকের তকমায় পেশাদার সাংবাদিকরা সরকারি এই দুই অফিসে ছিলেন নিষিদ্ধ। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর ক্লারিক্যাল পদে আত্মীয়তার সূত্রে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। ২০০১ সালে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর তার চাকুরি চলে যায়। ২০০৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তাকে পুর্নবহাল করা হয়। তাকে পদোন্নতি দিয়ে কুটনৈতিক পদমর্যাদায় সেকেন্ড সেক্রেটারি করা হয়েছে গেল বছর। তিনি অবশ্য পরিচয় দিতেন ভাইস কনসাল হিসেবে। ননক্যাডার পর্যায় থেকে এমন পদোন্নতির নজির অবশ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইতিহাসে নেই। গত শুক্রবারও রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া আসিফ কনস্যুলেট অফিসে কাজ করেছেন। শেখ হাসিনার নিকটতম আত্মীয় এমন একজন ব্যক্তির উপস্থিতি সরকারের অনেক গোপন তথ্যাদি বেহাত হবার সম্ভাবনা দেখছেন অনেকে। তার উপস্থিতি কনস্যুলেটে অনেকের কাছে বিব্রতকর। এ ব্যাপারে কনস্যুলেটের একজন কর্মকর্তা প্রতিবেদককে বলেন, ঢাকা থেকে নির্দেশনা না পেলে আমরা কিছু করতে পারি না। আসিফ এখনও কাজ করছেন। অফিসে আসছেন।

নিউইয়র্কে কসনাল জেনারেল নাজমুল হুদাকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সকালেই নামিয়ে ফেলি। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামিয়ে ফেলার সরকারী কোন নির্দেশনা আমি পাইনি। তাই যথাস্থানে ছবিটি রাখা ছিল। কিন্তু ৬ আগস্ট বেশকিছু বিএনপি কমীর্ আমার অফিসে ঢুকে ছবি নামানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ছবিটি নামিয়ে ফেলা হয়। তিনি বলেন, আমরা সরকারী নির্দেশনার বাইরে কিছু করতে পারি না।

Facebook Comments Box

Posted ৯:৫৭ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১১ আগস্ট ২০২৪

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com