
নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪ | প্রিন্ট | 152 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
বাংলাদেশ সোসাইটির সদস্য পদ নবায়ন ও ভোটার বানানো নিয়ে তীব্র উত্তেজনা, বাকবিতন্ডা ও অসংগতির অভিযোগের মধ্যদিয়েই মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮ হাজার ৩ শত ৩০ জন। এরমধ্যে আজীবন সদস্য সংখ্যা ৮৫৩ জন। ভোটারদের চাঁদা থেকে সোসাইটির আয় হলো ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৭৪০ ডলার। গত ৩০ জুন রোববার ছিল বাংলাদেশ সোসাইটির সদস্যপদ নবায়ন ও ভোটার হবার শেষ দিন। সকাল থেকে মধ্যরাত অবধি সদস্যপদ গ্রহন ও জমাকৃত অর্থের গণনা চলে। এ সময় আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও তাদের সর্মথকরা উপস্থিত ছিলেন। শেষদিনে ভোট জমা পড়ে প্রায় ১০ হাজার। এলমহাস্টর্স্থ সোসাইটি কার্যালয় ছিল উৎসবমুখর। মধ্যরাতে সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ রব মিয়া মোট জমাকৃত ভোটারের সংখ্যার ঘোষণা দেন। তিনি অবশ্য বলেন, এ সংখ্যাটি এপ্রোক্সিমেটলি। হাতে গুণনা করা হয়েছে। সামান্য এদিক সেদিক হতে পারে। সহসাই চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
প্রেসিডেন্টের ঘোষণার পর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারি একটি প্যানেলের সম্ভাব্য সভাপতি পদপ্রার্থী আতাউর রহমান দাঁড়িয়ে বলেন, সকালে সভাপতি রব মিয়া বলেছিলেন, আগের দিন পর্যন্ত মোট ভোটার হিসেবে সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৩৭৫ জন। এখন তিনি বললেন তা ৭ হাজার। হঠাৎ করে ২ হাজার বাড়লো কিভাবে। এই ২ হাজার সদস্যের জমাকৃত চাঁদার হিসেব কোথায়। এই গড়মিলের কারন কি? জবাবে রব মিয়া বলেন, এটি আমার অনুমান ছিল। ধারনা থেকে বলেছিলাম। সাধারন সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী মাইক নিয়ে বলেন, সকালে সভাপতি কিভাবে ৫ হাজার ভোটের হিসেব দিয়েছিলেন আমি জানি না। আমি ছিলাম না। তবে ৩০ জুনের আগ পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার সদস্যের চাঁদা পরিশোধ ছিল। এ সময় জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল খান বলেন, রব মিয়া সকালে বলার পর সারাদিন আপনারা তা সংশোধন করে কিছু বললেন না। মধ্যরাতে এসে ২ হাজার বেশি ভোট দেখালেন। এতে যে কেউই স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন। এ সময় উত্তেজনা দেখা দেয়। বিশৃখলা ছড়িয়ে পড়ে। প্রেসিডেন্ট রব মিয়া বলেন, আপনারা গায়ের জোরে কথা বলার চেষ্টা করছেন। অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টির কোন কারন নেই। আতাউর রহমান সেলিম বলেন, আজ কত টাকা উঠেছে তা এখনই গণনা করার অনুরোধ করছি। তবে তা করবেন উপস্থিত ট্রাস্টিবোর্ডের ২ জন সদস্য আতাউল আলম ও আজিমুর রহমান বোরহান। জমাকৃত অর্থের সাথে সদস্য সংখ্যার হিসেব মিলে গেলে আমাদের আর কোন অভিযোগ নেই। যতরাত হয় আমরা অপেক্ষা করবো। সোসাইটির স্বার্থেই আমি এ অনুরোধ করছি। কাজী আজম বলেন, ট্রাস্টি বোর্ডের ২ জন সদস্যের কাছ থেকেই আমরা হিসেবটা জানতে চাই। ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য আজিমুর রহমান জানান, প্রেসিডেন্ট সকালে ৫ হাজার ৩৭৫ জন ভোটারের কথা বলেছিলেন। এ সময়, বদরুল খান সত্য বলার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান। আজিমুর রহমান বলেন, বাহবা পাবার জন্য বলছি না।কিছু চাওয়া পাওয়ার নেই। রব মিয়া দ্বিতীয়বারের মতো বলেন, আমি ধারনা থেকে বলেছিলাম। পরে আতাউর রহমান সেলিম, মোহাম্মদ আলী ও তোফায়েল ইসলামের উপস্থিতিতে অতিরিক্ত ২ হাজার ভোটারের সদস্য ফরমের কপি দেখান সোসাইটির সেক্রেটারি রুহুল আমিন সিদ্দিকী। ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য আতাউল আলম ফান্ডে জমাকৃত অর্থের হিসেব তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ সোসাইটির ভোট জমা দেবার বিবেচনায় সেলিম—আলী প্যানেল কয়েক হাজার বেশি সদস্য ফরম জমা দিয়েছেন বলে আজকালকে জানিয়েছেন এই প্যানেলের একজন সর্মথক। আরেকটি প্যানেলের সভাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দেবেন বর্তমান সভাপতি রব মিয়া কিংবা বর্তমান সাধারন সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী। সাধারন সম্পাদক হিসেবে লড়তে পারেন নোয়াখালি সমিতির সাবেক সাধারন সম্পাদক জাহিদ মিন্টু। তবে তারা এখনও প্যানেল তৈরি করতে পানে নি।
৩০ জুন মধ্যরাত অবধি ভোটারের সদস্য ফরম জমা ও গণনাকালে কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখযোগ্যরা হলেন, আব্দুর রহিম হাওলাদার, বদরুল খান, কাজী আজম, মোহাম্মদ আলী (সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী), কাজি তোফায়েল ইসলাম, ফারুক চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম, মাঈনুদ্দিন মাহবুব, নওশেদ হোসেন, রিজু মোহাম্মদ, মফিজুল ইসলাম ভূইয়া রুমি, কামরুজ্জামান কামরুল, সাদি মিন্টু ও ওয়াহিদ কাজি এলিন।
Posted ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪
nykagoj.com | Monwarul Islam