
নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪ | প্রিন্ট | 208 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
জমে উঠছে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন। অক্টোবরে নিবাচন হবার কথা। গঠিত হয়েছে অ্যাডভোকেট জামাল আহমেদ জনির নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন। ৫ মাস আগ থেকেই প্রার্থী ও তার সর্মথকদের মহড়া শুরু হয়ে গেছে।। সম্ভাব্য প্রার্থীদের সরব উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশি কমিউনিটি বেজড এলাকাগুলোতে। জ্যাকসন হাইটস, জামাইকা, পার্কচেষ্টার কিংবা ব্রুকলিনের চার্চ ম্যকডোনাল্ডসে চায়ের কাপে ঝড় উঠতে শুরু করেছে। প্রার্থী ও তাদের সর্মথকদের হাতে সোসাইটির সদস্য ফরম। কমিউনিটির লোকজনদের অনুরোধ করা হচ্ছে তা পূরন করে ভোটার হবার জন্য। আগামী ৩০ জুন সদস্য ফরম পূরন কিংবা ভোটার হবার শেষ দিন। ধারনা করা হচ্ছে এবার ৪০ হাজারের মতো বাংলাদেশি ভোটার হবেন। গত মঙ্গলবার ৪ জুন জ্যাকসন হাইটসে সম্ভাব্য প্রার্থীদের আনাগোনা ছিল লক্ষনীয়।
এবারের নির্বাচন নাটকীয়তায় থাকবে ভড়পুর। কমিউনিটির ধণাঢ্য ব্যবসায়ীরা এ নির্বাচনে কলকাঠি ঘুরাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যবসায়ীর অফিসগুলোতেও প্রার্থীদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। মেরুকরণ শুরু হচ্ছে দ্রুততার সাথে।
এবারের নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে ৩ জনের নাম আলোচনায় এসেছে। তারা হলেন বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ রব মিয়া, বর্তমান সাধারন সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী ও সাবেক সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম। তবে রব মিয়া ও রুহল আমিনের মধ্যে একজন নির্বাচন করবেন। রব বা রুহল হবেন সভাপতি প্রার্থী। তার সাথে সাধারন সম্পাদক হিসেবে কে আসছেন তা নিয়ে চলছে আলোচনা ঝড়। সবচেয়ে জোড়ালোভাবে নাম এসেছে জাহিদ মিন্টুর। তিনি বৃহত্তর নোয়াখালির মানুষের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়। তবে মোহাম্মদ রব মিয়া সভাপতি প্রার্থী হলে তিনি নির্বাচন করছেন না। এটা নিশ্চিত। তারা ২ জনই বৃহত্তর নোয়াখালি সমিতির সাথে জড়িত। এমতাবস্থায় একজন নির্বাচন করবেন। রব মিয়া সভাপতি পদে নির্বাচন না করলে জাহিদ মিন্টু সাধারন সম্পাদক পদে লড়বেন। আর তার সাথে সভাপতি হিসেবে থাকবেন বর্তমান সাধারন সম্পাদক রুহুল আমি সিদ্দিকী। এই প্যানেলের সভাপতি প্রার্থীতার ওপর নির্ভর করবে কে সাধারন সম্পাদক পদে আসছেন। বর্তমান কোষাধ্যক্ষ নওশেদ হোসেনের নামও সাধারন সম্পাদক হিসেবে শোনা যাচ্ছে। জাহিদ মিন্টু একজন শক্তিশালী সংগঠক। সৎজন হিসেবেও কমিউনিটিতে পরিচিত। তিনি প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বলেছেন, সোসাইটর সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচন করার জন্য প্রচুর চাপ রয়েছে। তবে আমি এখনও মনস্থির করিনি। সিদ্ধান্ত নিলে আপনাদের সাথে নিয়েই প্রার্থীতার ঘোষণা দেব। আমি এখন ব্যস্ত রয়েছি নোয়াখালি সমিতির নামে ১ লাখ কবরের বাংলাদেশ সেমিট্রি’র প্রকল্প নিয়ে।
এদিকে সিলেটের সন্তান আতাউর রহমান সেলিম গত ৬ মাস ধরে সভাপতি পদে নির্বাচন করার প্রত্যাশায় মাঠে রয়েছেন। চষে বেড়াচ্ছেন কমিউনিটিতে। তবে সোসাইটর সাবেক সভাপতি আজমল হোসেন কুনুর নামও শোনা যাচ্ছে। তিনিও সিলেট অঞ্চলের। জ্বনাব কুনু না দাঁড়ালে সেলিমের প্রার্থীতা নিশ্চিত। তার সাথে সাধারন সম্পাদক হিসেবে থাকছেন সোসাইটির সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী। নারায়নগঞ্জের সন্তান জ্বনাব আলীও মাঠে সক্রিয়। কমিউনিটির সুপরিচিত মুখ। মূলধারার রাজনীতিতে জড়িত। কুইন্স থেকে কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করছেন। তিনি প্রবাসীদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। গেলবার তিনি নয়ন—আলী প্যানেল থেকে সাধারন সম্পাদক পদে লড়েছেন। কিন্তু অল্প ভোটে হেরে যান। এদিকে জামাইকার পরিচিত মুখ জে মোল্লাা সানির নামও সাধারন সম্পাদক হিসেবে প্রার্থীতায় শোনা যাচ্ছে।
Posted ১২:১০ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪
nykagoj.com | Monwarul Islam