বিনোদন ডেস্ক | বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | প্রিন্ট | 31 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবেই শুধু নয়, একজন সিনেমাপ্রেমী সাধারণ দর্শক হিসেবেও ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে সিনেমাহলে গিয়ে নিয়মিত বাংলাদেশি সিনেমা দেখা হয়। আর ঈদের মতো মহোৎসব থাকলে তো কথাই নেই। তাই উৎসবমুখর পরিবেশে এবারের ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত দশের বেশি সিনেমার মধ্য থেকে বেশ ক’টি দেখা হয়েছে। যার মধ্যে একটি সিনেমা হয়তো আমার মনে একটু বেশিই ভালো লাগার জায়গায় রয়েছে। সিনেমাটির নাম ‘লিপস্টিক’।
আজকাল যেভাবে টেলিফিল্ম, ওয়েবফিল্ম কিংবা ওয়েব সিরিজের আদলে কোনো নির্মাণকে সিনেমা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়, সেখান থেকে বলতে গেলে ‘লিপস্টিক’ একটি পূর্ণ সিনেমা হতে পেরেছে। মার্ডার মিস্ট্রির সঙ্গে গ্রামের সরল প্রেম মিলেমিশে একাকার হয়েছে এসিনেমায়। গ্রামের সাধারণ মেয়ে ‘বুচি’র পরবর্তী সময়ে ফিল্ম সুপারস্টার ‘মাধুরী’ হয়ে ওঠার গল্প নিয়েই ছবির মূল প্লট; যার পরতে পরতে রয়েছে ভালোবাসা, বঞ্চনা, স্বপ্ন, যাতনা, প্রেম, বিয়ে, প্রতিহিংসা, প্রতিশোধ ও খুন। এই খুনগুলোনিয়ে আবর্তিত একটি সিনেম্যাটিকএক্সপেরিয়েন্সের নামই ‘লিপস্টিক’।
একটি লাশের সন্ধানের মাধ্যমেগল্পের শুরু। বাস্তব ঘটনা নিয়ে নির্মিত খুনের রহস্য সন্ধানে পুলিশ স্টেশনে এক দক্ষ পুলিশ কর্মকর্তার (শহিদুজ্জামান সেলিম) নেতৃত্বে সুযোগ্য এক পুলিশ ইউনিট শুরু করে তাদের অভিযান। ঘটনার চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ধীরে ধীরে দানা বাঁধতে থাকেরহস্যের। সেই রহস্যের জট খুলতে গিয়ে গোলকধাঁধার মতো জড়িয়ে যায় আরও বেশকিছু মিস্ট্রি ক্যারেক্টর, যা ছবির গল্পকে দিয়েছে গতি, করেছে জাস্টিফায়েড।ছবির শেষের টুইস্টহয়তো আরও একটু নাটকীয়তায় ভরপুর হলেও হতে পারত। আনোখা গল্পের জন্য আবদুল্লাহ জহির বাবু প্রশংসা পেতেই পারেন। সিনেমাটোগ্রাফিতে সাইফুল শাহীনলা-জবাব। ‘নিন্দুকে’ গানটি এবারের ঈদ সিনেমাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শ্রুতিমধুর।
কালার কারেকশন দেখার মতো। শহিদুজ্জামান সেলিমের অভিনয় বরাবরের মতোই মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। মিশা সওদাগর আবারও প্রমাণ করেছেন তিনি কেন তাঁর সেক্টরে দেশসেরা।গৎবাঁধা গণ্ডির বাইরে গিয়ে চিকন আলীর পরিণত অভিনয় ভালো লেগেছে।মনিরা আক্তারমিঠুর মতো গুণী অভিনেত্রীর চরিত্রটি যথাযথ ব্যবহার করা উচিত ছিল। আদর আজাদের অনেস্ট অ্যাফোর্টভীষণ ভালোলাগার মতো। তবে তিন তিনবার গুলিবিদ্ধ হয়েও ‘আতর আলী’ চরিত্রে রূপদানকারী নায়ক আদর আজাদ কী করে পরের সিকোয়েন্সেই প্রায় সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং পরবর্তী সময়ে তাঁর শরীরে কোনো প্রকার ক্ষত কেন দেখা যায় না, আমার পরিচালক মন সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও খুঁজে বেড়াচ্ছে! তাছাড়া তাঁর প্রেমিকা ‘বুচি’র স্বপ্নে হঠাৎ তাঁর মারদাঙ্গা ভূমিকায় অ্যাকশনটা আরোপিত মনে হয়েছে।
এছাড়া কমেডি রিলিফের নিমিত্তে আরেক গুণী অভিনেত্রী ফারজানা ছবির চরিত্রায়ণ যথেষ্ট বিরক্তির উদ্রেক ঘটিয়েছে। ক্যামিও চরিত্রে জায়েদ খানকে বেশ লেগেছে। ডেবু ফিল্ম ডিরেক্টর হিসেবে এ ছবির পরিচালক কামরুজ্জামান রুমানের লেটার মার্ক পাওয়া উচিত। তবেসবকিছু ছাপিয়ে বলতে চাই পূজা চেরির কথা। ছোট্ট মেয়েটিই সম্ভবতআগামীদিনের ‘শাবনূর’; বলে রাখলাম!
Posted ১:০৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
nykagoj.com | Stuff Reporter