নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ০১ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট | 238 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
এডভোকেট আতাউর রহমান শামীমের (৬৩) মৃত্যুতে কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় বেইলী রোডের কফি শপে অগ্নিকান্ডে তার মৃত্যু হয়। এতে শামীম সহ ৪৪ জন মানুষ মারা যায়। আতাউর রহমান শামীম ১ যুগেরও বেশি সময় নিউইয়র্কে বসবাস করেন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রথম কমিটির দফতর সম্পাদক ছিলেন। নিউইয়র্কে থাকাকালে তিনি সাংবাদিকতা পেশার সাথেও জড়িত ছিলেন। তিনি কাজ করেছেন সাপ্তাহিক প্রবাসী ও সাপ্তাহিক ঠিকানা পত্রিকায়। তিনি সাপ্তাহিক গণবাংলা পত্রিকার সম্পাদকও ছিলেন। ২০০১ সালে রাজনীতি ও আইন পেশায় কাজ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশে চলে যান। তিনি সুপ্রীম কোর্টে আইন পেশায় জড়িত ছিলেন। ২০০৮ সালে বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নও পেয়েছিলেন।
আতাউর রহমান শামীম বিবাহিত। তার স্ত্রী ও একমাত্র মেয়ে নিউইয়র্কেই বাস করেন। ২ সপ্তাহ আগে তারা বাংলাদেশে বেড়াতে গিয়েছেন। শামীমের ৫ ভাই নিউই চট্রগ্রা..য়র্কে বসবাস করেন। তারা হলেন ডা. মজিবুর রহমান,মোঃ মতিউর রহমান,মাহমুদুর রহমান রানা,মহিদুর রহমান রিপন ও আজিজুর রহমান স্বপন। মরহুম শামীমের ভাগনে মইনুর রহমান স্বপন প্রতিবেদককে বলেন, মামা বন্ধুদের নিয়ে কফি শপে ঢুকে ছিলেন। আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। আমরা ৪ ঘন্টা পর জানতে পারি। তার মরদেহ তখন ঢাকা মেডিক্যালে ছিল।
শামীমের জন্মস্থান মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে। তিনি কুলাউড়া আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। শুক্রবার বিকেলে কুলাউড়া শহরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রথম নামাজে ও সন্ধ্যায় শ্রীপুরে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
শামীমের মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ. জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল খান ও সাধারন সম্পাদক রোকন হাকিম, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহমুদ আহমেদ ও সাধারন সম্পাদক আবু নোমান সরকার পৃথক পৃথক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
Posted ২:৩১ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০১ মার্চ ২০২৪
nykagoj.com | Monwarul Islam