নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট | 182 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় রমনা থানায় করা মামলায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে তাকে গুলশানের বাসা থেকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। দিনভর তাকে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর ডিবির গাড়িতে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। রমনা থানার যে মামলায় ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ওই মামলায় তাকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে এ মামলায় মির্জা ফখরুলকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। অপরদিকে মির্জা ফখরুলের আইনজীবী জামিন আবেদনের পক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরেন। আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের অভিযোগের মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। ফখরুল-আব্বাস ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ আজম খান, এডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ারভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।
মির্জা ফখরুল ইসলামকে তার বাসা থেকে তুলে আনার পর তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম বলেন, সকালে ডিবি পুলিশের লোকজন বাসায় আসে। তারা বাসার সবার সঙ্গে কথা বলে।
এদিকে ঢাকায় সহিংসতা ও প্রাণহানিতে গভীরভাবে মর্মাহত ইউরোপের ২৭ রাষ্ট্রের জোট ইইউ। উদ্ভুত উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফে একটি অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথ খুঁজতে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের তাগিদ দেয়া হয়েছে। রোববার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) হতাহতের ঘটনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফে সহানুভূতি প্রকাশ এবং নির্বাচন প্রশ্নে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়। ঢাকাস্থ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশন কার্যালয় প্রচারিত ওই বার্তায় বলা হয়, ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিশন এবং এর সদস্য দেশগুলো রাজধানীর রাজপথে সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে একটি অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথ খুঁজে পাওয়া। শনিবার বিএনপি’র মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে একজন পুলিশ সদস্য এবং এক যুবদলকর্মী নিহত হন। সেই রাজনৈতিক সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে শনিবার রাতে বিবৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বলেন, আমরা সব পক্ষকে শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে এটাও জানাচ্ছি যে, যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত ভিসা নিষেধাজ্ঞার জন্য সমস্ত সহিংসতার ঘটনাগুলো আমরা পর্যালোচনা করবো।
যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একজন পুলিশ কর্মকর্তা, একজন রাজনৈতিক কর্মীকে হত্যা ও একটি হাসপাতাল পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। সেই সঙ্গে সাংবাদিকসহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতাও গ্রহণযোগ্য নয়।
Posted ৯:৪৩ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩
nykagoj.com | Monwarul Islam