রবিবার ১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাবার জন্মদিনে কেনো কালো কেক বানিয়েছিলেন সোহেল চৌধুরী-দিতির মেয়ে!

বিনোদন ডেস্ক   |   বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   131 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

বাবার জন্মদিনে কেনো কালো কেক বানিয়েছিলেন সোহেল চৌধুরী-দিতির মেয়ে!

প্রয়াত নায়ক সোহেল চৌধুরী। আজ ১৯ অক্টোবর তার জন্মদিন। ১৯৬৩ সালে এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে ছবি দিয়ে স্মরণ করছেন তাকে। অনেকে আবার তাঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণা করছেন।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। স্ত্রী চিত্রনায়িকা দিতি এবং দুই সন্তান রেখে যান তিনি। ২০১৬ সালের ২০ মার্চ না–ফেরার দেশে চলে যান দিতিও।

তারকা দম্পতির দুই সন্তান লামিয়া চৌধুরী ও দীপ্ত চৌধুরীর স্মৃতিতে নানাভাবে ফিরে আসেন স্মৃতিতে। সেই স্মৃতি কখনো মনটা ভালো করে দেয়, হাসায়, কখনো ভীষণ মন ভার করে দেয়।

২০২০ সালে লামিয়ার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া প্রসঙ্গে লামিয়া গণমাধ্যমে বলেন, ‘বাবা কী কেক পছন্দ করতেন, সেটা জানার জন্য ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিই। পরে বাবার পরিচিত ও কাছের মানুষদের বেশ কয়েকজন জানিয়েছেন, বাবা চকলেট কেক পছন্দ করতেন। সেটা জানার পর বাবার পছন্দের সেই কেক আমি নিজ হাতে বানিয়েছি।’ কেকটা কাটার সময় বেশ মন খারাপ ছিল লামিয়ার। বাবার জন্য বানানো সেই কেকে কিছুই লেখেননি তিনি। আর সেই কেকটি ছিল কালো রঙের।

তিনি বলেন, ‘বাবা যখন মারা যান, তখন আমি অনেক ছোট। সেই সময় বাবা কী খেতে পছন্দ করতেন, কী কী করতেন, সেসবের অনেক কিছুই আমার মনে নেই। বাবাকে এখনো খুব মিস করি। বাবার জন্য খুব কষ্ট হয়। বাবার কথা যখন মনে পড়ে, তখন প্রবল দুঃখবোধ আমাকে গ্রাস করে। সেই দুঃখবোধ থেকেই বাবার জন্মদিনে কালো রঙের কেক বানিয়েছি।’

এ জুটির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে, একপর্যায়ে তারা বিয়ে করেন। ১৯৮৭ সালে এ দম্পতির সংসারে জন্ম নেন মেয়ে লামিয়া চৌধুরী এবং ১৯৮৯ সালে ছেলে দীপ্ত।

সোহেল চৌধুরীর ক্যারিয়ারে ছবির সংখ্যা ৩০। ছবিগুলো হল- ‘পর্বত’, ‘খুনের বদলা’, ‘লক্ষ্মী বধূ’, ‘হীরামতি’, ‘আমার ভালোবাসা’, ‘প্রেমের প্রতিদান’, ‘কালিয়া’, ‘প্রতিশোধের আগুন’, ‘হিংসার আগুন’, ‘চিরদিনের সাথী’, ‘অবরোধ’, ‘দাঙ্গা ফ্যাসাদ’, ‘প্রেমের দাবি’, ‘প্রিয় শত্রু’, ‘ভাই বন্ধু’, ‘দোষী’, ‘লেডি ইন্সপেক্টর’, ‘পাপী শত্রু’, ‘আজকের হাঙ্গামা’, ‘বিরহব্যথা’, ‘জুলি’, ‘মহান বন্ধু’ ইত্যাদি।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাত দুইটার দিকে বনানীর একটি ক্লাবের পাশে খুন হন সোহেল চৌধুরী। এ ঘটনায় তাঁর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন।

Facebook Comments Box

Posted ১:৫০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com