শনিবার ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

`ভারতের অনেকে ইসরায়েলের হয়ে যুদ্ধে যেতে চায়’

বিবিসি বাংলা   |   সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   175 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

`ভারতের  অনেকে ইসরায়েলের হয়ে যুদ্ধে যেতে চায়’

ভারতে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত নওর গিলন বলেছেন বহু ভারতীয় তাদের সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন এবং এর জন্য তিনি আপ্লুত। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এও উল্লেখ করেন যে হামাসের সঙ্গে তার দেশের চলমান যুদ্ধে যোগ দেওয়ার জন্য বহু ভারতীয় ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

মি. গিলন একটু হাল্কা চালেই বলেছেন এত সংখ্যক ভারতীয় যুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক হতে চেয়েছেন যা দিয়ে আরও একটা বাহিনীই বানিয়ে ফেলা যায়।

কিন্তু এত সংখ্যক ভারতীয় কেন যুদ্ধে যেতে চাইছেন বা ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করছেন?

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাতকারে নওর গিলন বলেছেন, “আমার কাছে এটা খুবই আশাপ্রদ ঘটনা, খুবই আবেগের ব্যাপার। প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদী)-র কাছ থেকে আমরা যে মাত্রার সমর্থন পেয়েছি, সেই শনিবার যখন পুরো চিত্রটাই পরিষ্কার হয় নি। তিনি বিশ্বের প্রথম নেতাদের মধ্যে একজন, যারা খুব স্পষ্ট ভাষায় নিন্দা জানিয়ে টুইট করেছিলেন। এটা আমরা কখনই ভুলব না।“

ভারতের মন্ত্রী, বড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও তিনি সাহায্যের আশ্বাস পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মি. গিলন।

এই সাক্ষাতকারেই তিনি বলেছেন, “এটা ছবির একটা দিক। দূতাবাসের (ইসরায়েলি দূতাবাস) সামাজিক মাধ্যমগুলো দেখুন। খুবই আশ্চর্যজনক। সবাই আমাকে বলছে যে আমি স্বেচ্ছাসেবক হতে চাই এবং আমি ইসরায়েলের পক্ষে লড়াই করতে চাই- এই শক্তিশালী সমর্থন নজিরবিহীন।“

“আমি স্বেচ্ছাসেবকদের (ভারতীয়দের) সাথে আরেকটি আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) গঠন করতে পারি।“

শেষের বাক্যটি আক্ষরিক অর্থে বলেননি হয়ত। কিন্তু ইসরায়েলের ওপরে হামাসের হামলার পর থেকেই অনেক ভারতীয় সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী পোস্ট করছেন যে তারা ইসরায়েলের হয়ে যুদ্ধে যেতে চান।

ভারতে ইসরায়েল দূতাবাসের এক্স-হ্যান্ডেলকে ট্যাগ করে যারা ইসরায়েলকে সমর্থন করছেন, তার থেকে কিছু আবার রাষ্ট্রদূতে এক্স হ্যান্ডেলে রিপোস্ট করা হচ্ছে, ধন্যবাদও জানানো হচ্ছে।

কিছু সামাজিক মাধ্যমে আবার ক্রিকেট বিশ্বকাপ দেখতে স্টেডিয়ামে ইসরায়েলের পতাকা তুলে ধরে তাদের প্রতি সমর্থনের ডাকও দিচ্ছেন।

বিশ্বকাপের মাঠ থেকে এরকম কিছু ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্টও করা হয়েছে।

এই সব সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের অন্যান্য পোস্ট দেখলে আন্দাজ পাওয়া যায় যে এঁদের একটা বড় অংশই হিন্দুত্ববাদী এবং মুসলিম-বিরোধী।

সেকারণেই কি হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেতে চাইছেন তারা?

যেমন হামাসের হামলার পরেই যার পোস্ট বেশ ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল, নিজেকে ‘সনাতনী’ বলে দাবী করা সেই চন্দন কুমার শর্মা সামাজিক মাধ্যম ‘এক্স’-এ লিখেছেন যে তিনি ‘ইসরায়েলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। ভারত সরকার আদেশ দিলে ভারতের প্রতিটি জাতীয়তাবাদী হিন্দু ইসরায়েলে গিয়ে তাদের সমর্থনে যুদ্ধ করবে।

Facebook Comments Box

Posted ২:৩১ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com