
নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট | 144 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
জালালাবাদ এসোসিশেনের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের বক্তব্য ‘টক অব দ্যা কমিউিনিটিতে’ পরিণত হয়েছে। মইনুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন অংশের মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, আমি খুবই আনন্দিত যে একটা ভবন হয়েছে। ‘ আই মাস্ট ছে ৪০ বছর পর শুনলাম একটি ভবন কেনা হয়েছে। এটা একটা হিস্টোরিক ঘটনা। এই বক্তব্যের দেড় ঘন্টা পরই বদরুল-রোকনের নেতৃত্বাধীন জালালাবাদের সভায় যোগ দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা চুরি করে ইউ সুড পানিস দেম (যারা চুরি করেছে তাদের অবশ্যই শাস্তি দেবেন)। তাদের শাস্তি পেতেই হবে। জালালাবাদ নিয়ে আব্দুল মোমেনের পরস্পর বিরোধী বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলের প্রবাসীদের আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়। গত ২ দিন জ্যাকসন হাইটস, এস্টোরিয়া, ওজনপার্ক, জামাইকা ও ব্রংকসে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল তার বক্তব্য।
গত মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর বিভক্ত জালালাবাদ এসোসিয়েশনের দুটি সভায় বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। কিন্তু উভয় সভাতেই তিনি দ্বিমুখি বক্তৃতা করেন। সন্ধ্যায় তিনি মইনুল ইসলামের প্রতিষ্ঠানের নামে কেনা এস্টোরিয়াস্থ ‘জালালাবাদ ভবনে’ সিলেটবাসীদের সাথে মতবিনিময় করছিলেন। এসময় তিনি বলেন, আপনারা জালালাবাদের নামে বাড়ি কিনেছেন। এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। আগে জালালাবাদ ভাড়াবাড়িতে ছিল। তা আবার কোর্টে গেল। কোর্টে গিয়ে ভাড়া দিতে হতো। ঢাকাতে জালালাবাদ ভবন রয়েছে। আমি আর আব্দুল হক মিলে এ ভবনের যায়গার জন্য কাজ করেছিলাম। যা’হোক, আমি খুব আনন্দিত যে একটা ভবন হয়েছে। আমি আরেক গ্রুপের সাথে আলাপ করবো। জালালাবাদের একটা এসোসিয়েশনই থাকা উচিৎ। সমঝোতার মধ্যে যাতে আপনারা কাজ করতে পারেন। আমরা ক’দিনের জন্য দুনিয়ায় আইছি। ক’দিন পর যাইমু গে(চলে যেতে হবে)। সুতরাং একটি ইতিহাস থাকলো। ঐতিহ্য তৈরি হলো। কিন্তু ভাঙ্গাভাঙ্গি পছন্দ করি না।
মন্ত্রী এই বক্তব্যের পরপরই চলে যান জ্যাকসন হাইটস্থ মামা’স পার্টি হলে। সেখানে বদরুল খানের নেতৃত্বাধীন জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার সভা চলছিল। সেখান্ েমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, আমি টানাটানির মধ্যে পড়ে গেছি। জালালাবাদ বিভক্ত। তবে আমি চাই, ‘গিভ এন্ড টেক’ করে সমঝোতার মধ্যে একটা জালালাবাদ রাখেন। আমাদের মধ্যে ত্রুটি বিচ্যুতি আছে। সিনিয়র যারা আছেন তারাওতো সমঝোতা প্রক্রিয়ায় লিড নিতে পারেন। যাতে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি। আর যারা চুরিচামারি করে তাদের অবশ্যই শাস্তি দেবেন। এ সময় হলভর্তি সিলেটবাসীরা হাসিতে ফেটে পড়েন। বদরুন নাহার খান মিতা মাইক ছাড়াই উচ্চস্বরে বলেন, এই চোরদের যারা সাপোর্ট করেন তাদেরও শাস্তি দেয়া উচিৎ। এ সময় মন্ত্রী বলেন, ইয়েস। তাদের শাস্তি পেতেই হবে। তাই বলে ডিভিশন টিভিশন করা ঠিক হবে না।
উল্লেখ্য জালাবাদবাদ এসোসিয়েশনের ফান্ড থেকে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ডলার উত্তোলন করে সংগঠনের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও সাধারন সম্পাদক মইনুল ইসলাম নিজের নামে করপোরেশন তৈরি করে এস্টোরিয়ায় বাড়ি কিনেছেন। তিনি এটির নাম দিয়েছেন জালালাবাদ ভবন। জালালাবাদ এসোসিয়েশনের বর্তমান কার্যকরি কমিটি নিয়ম বর্হিভূতভাবে এই সাড়ে ৩ লাখ ডলার ব্যাংক থেকে উত্তোলন ও ভবন ক্রয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। যা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
Posted ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
nykagoj.com | Monwarul Islam