
বিনোদন ডেস্ক | রবিবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট | 165 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
বয়স ৭২ বছর নানা, দাদা কিংবা বাবার চরিত্রের জন্য এই বয়সী অভিনেতাই বেছে নেন নির্মাতারা। কিন্তু অভিনেতার নাম যখন রজনীকান্ত, তখন তাঁর বিষয়ে ভাবনাটাও বদলে যায়। কোটি দর্শকের প্রত্যাশা পূরণের জন্যই ‘থালাইভা’খ্যাত এ অভিনেতার বিষয়ে এমন সিদ্ধান্ত। কারণ, তাঁর বুড়ো হাড়ের ভেলকি এখনও শেষ হয়নি; যার প্রমাণ সদ্য মুক্তি পাওয়া ছবি ‘জেলার’। যেটি মুক্তির পরপরই ভারতজুড়ে আলোড়ন তুলেছে।
বাণিজ্যিক সাফল্যে স্বল্প সময়েই ঢুকে গেছে ৫০০ কোটির ক্লাবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে পাওয়া বক্স অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী ছবিটি এরই মধ্যে ৭০০ কোটি টাকার মাইলফক স্পর্শ করেছে। সিনেমাবোদ্ধাদের অনুমান, হাজার কোটির ঘরে পৌঁছাতেও সময় লাগবে না ‘জেলার’ ছবির। এ তো গেল বাণিজ্যিক সাফল্যের অঙ্ক। এখন কথা হলো, যাঁকে কেন্দ্র করে ছবি নির্মাণ, দর্শক কৌতূহল– সেই রজনীকান্ত কি ছবিতে নিজের সেরাটা তুলে ধরতে পেরেছেন সত্যিকার অর্থে এমন প্রশ্ন করা অনেকেই অবান্তর মনে করেন। কারণ, দক্ষিণ ভারতীয় এই মেগাস্টার আবারও প্রমাণ করেছেন, বড় পর্দায় এখনও তিনি অনবদ্য, অদ্বিতীয়।
অবাক করা বিষয় ছিল, এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে যে তারকা অভিনয় করেছেন, সেই তামান্না ভাটিয়ার সঙ্গে তাঁর বয়সের ব্যবধান ৩৯ বছরের! অথচ কেউই এ জুটিকে বেমানান বলতে পারছেন না। কারণ একটাই, বয়সের ব্যবধান ভুলিয়ে দিতে তাদের প্রচেষ্টা এককথায় অসাধারণ।
রজনীকান্তের মতো একইভাবে ‘গাদার-২’ ছবি দিয়ে দর্শক মনোযোগ কেড়েছেন ৬৬ বছর বয়সী অভিনেতা সানি দেওল। অনেকে যখন তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ দেখে ফেলেছেন বলে দাবি করছেন, ঠিক সে সময়েই আবার জ্বলে উঠেছেন সানি। ‘গাদার-২’ মুক্তির কয়েক দিনের ব্যবধানে ভেঙে ফেলেছেন বড় বড় সব ছবির রেকর্ড।
‘গাদার: এক প্রেমকথা’ ছবির সিক্যুয়াল হিসেবে নির্মিত ছবিটির ৫০০ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করতেও খুব একটা সময় লাগেনি। কাছাকাছি সময়ে মুক্তি পাওয়া ‘জেলার’ ও ‘গাদার-২’ ছবি দুটি শুধু দর্শকের মধ্যে আলোড়ন তুলেই থেমে থাকেনি, ভেঙে চলেছে একের পর এক রেকর্ড। আর দৌড়েও সবার সামনে রয়েছেন বর্ষীয়ান দুই অভিনেতা রজনীকান্ত ও সানি দেওল।
Posted ৮:১০ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
nykagoj.com | Stuff Reporter