
ডেস্ক রিপোর্ট | মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট | 147 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
আবদুর রশিদ ও তাঁর স্ত্রী দু’জনই কাজ করেন গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায়। সন্তানকে নিরাপদ কোথাও রেখে কর্মস্থলে যাওয়া নিয়ে চিন্তায় ছিলেন তাঁরা। পরে গার্মেন্টের ভেতরেই ইসিসিডি সেন্টার বা দিবাযত্ন কেন্দ্র চালু করে সেভ দ্য চিলড্রেন। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত শিশুকে সেখানে রেখে কাজে যেতেন এই শ্রমিক দম্পতি। তিন বছরে শিশুটি বেড়ে উঠেছে পরম আদরে, পেয়েছে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাও।
এই কেন্দ্রের সেবায় সন্তোষ প্রকাশ করে আবদুর রশিদ বলেন, ‘অভাব-অনটনের সংসার চালাতে দু’জনেই কাজে যোগ দিই, কিন্তু সন্তানের বেড়ে ওঠা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম। তবে পিভিএইচ-ইসিসিডি প্রকল্পের মাধ্যমে সেই দুশ্চিন্তা কেটে গেছে। তাদের সেবায় সন্তান সুন্দর আচার-আচরণ থেকে শুরু করে মানসম্মত শিক্ষাও পেয়েছে।’
বাংলাদেশে তৈরি পোশাকশিল্প শ্রমিকদের শিশুর বেড়ে ওঠা ও শিক্ষার উন্নয়নে বয়সভিত্তিক বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ২০১৫ সাল থেকে কাজ করছে সেভ দ্য চিলড্রেন। ২০২০ সাল থেকে পিভিএইচ করপোরেশনের (ফিলিপস-ভ্যান হিউজেন) অর্থায়নে গাজীপুর ও সাভারে অবস্থিত ছয়টি কারখানার সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আর্লি চাইল্ডহুড কেয়ার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ইসিসিডি) সেন্টার পরিচালনা করছে সংস্থাটি।
গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে পিভিএইচ-ইসিসিডি প্রকল্পের অগ্রগতি ও সফলতাবিষয়ক একটি গবেষণার ফলাফলের ওপর কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গবেষণার ফলাফলে উঠে এসেছে- বয়সোপযোগী ইসিসিডি কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে কর্মজীবী বাবা-মায়ের সন্তানরা মূলধারার শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। তা ছাড়া কর্মজীবী বাবা-মা তাঁদের শিশুদের ইসিসিডি কেন্দ্রে রেখে কর্মস্থলেও থাকছেন নিশ্চিন্তে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন বলেন, ‘আমাদের অনেক বড় শক্তি এই তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকরা। তাঁদের শিশুদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা এই বয়সীদের জন্য নতুন দ্বার খুলে দেবে।’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পিভিএইচ করপোরেশনের কান্ট্রি ম্যানেজার সাজিব সৈয়দ এবং সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. শামিম জাহান।
এ প্রকল্পের আওতায় ২০১৫ সাল থেকে ৮ হাজার ৪৮৭টি শিশু, ৯ হাজার ৩৩ মা, ৭৮৬ অন্তঃসত্ত্বা ও ৬৭ প্রত্যাশিত বাবাকে সেবা দেওয়া হয়েছে।
Posted ২:১৯ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২
nykagoj.com | Stuff Reporter