শুক্রবার ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফের সিলেট বিএনপির কান্ডারি হয়ে উঠছেন আরিফ

সারাদেশ ডেস্ক   |   শনিবার, ০৮ জুলাই ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   134 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

ফের সিলেট বিএনপির কান্ডারি হয়ে উঠছেন আরিফ

সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বিজয়ী হওয়ার পর থেকে সিলেটের রাজনীতিতে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। সিটি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ায় সিসিক মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী হয়ে উঠছেন বিএনপির কান্ডারি। এতদিন সিলেট বিএনপির রাজনীতি ছিল চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদীর নিয়ন্ত্রিত। দীর্ঘদিন পর রাজনীতির নাটাই আরিফুল হকের কাছে যাওয়ায় উল্লসিত তাঁর অনুসারীরা। অন্যদিকে মুক্তাদীর বলয়ে বইছে হতাশা।

নেতাকর্মীর সঙ্গে আলাপ করেসিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বিজয়ী হওয়ার পর থেকে সিলেটের রাজনীতিতে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। সিটি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ায় সিসিক মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী হয়ে উঠছেন বিএনপির কান্ডারি। এতদিন সিলেট বিএনপির রাজনীতি ছিল চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদীর নিয়ন্ত্রিত। দীর্ঘদিন পর রাজনীতির নাটাই আরিফুল হকের কাছে যাওয়ায় উল্লসিত তাঁর অনুসারীরা। অন্যদিকে মুক্তাদীর বলয়ে বইছে হতাশা।

নেতাকর্মীর সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সিলেট বিএনপির রাজনীতি মূলত দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদীর, অন্যদিকে আরিফুল হক চৌধুরী। আরিফুল হক মেয়র থাকায় দলের রাজনীতিতে তেমন সময় দিতে পারেননি। বিএনপির কোনো কর্মসূচিতে তাকে দাওয়াত পর্যন্ত দেওয়া হতো না। কোনো কোনো সময় নিজ থেকেই কর্মসূচিতে গিয়ে হাজির হতেন। এটি মানতে পারতেন না মুক্তাদীর বলয়ের লোকজন।

সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন মেয়র আরফিুল হক চৌধুরী– এমনটাই চাউর হয়েছিল নগরজুড়ে। নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর দিনই আরিফ যান লন্ডনে। সেখানে দেখা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে। এর পর লন্ডনে যুবদলের একটি অনুষ্ঠানে আরিফ নির্বাচন না করার ইঙ্গিত দেন।

দেশে ফেরার পর নতুন করে নাটকীয়তা তৈরি করেন। তিনি নির্বাচন করছেন– এমন ধারণাই শক্তিশালী হয়। এ অবস্থায় ভোটের এক মাস আগে ২০ মে রেজিস্ট্রারি মাঠে নাগরিক সমাবেশ করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন আরিফ। এর পর থেকেই সিলেট বিএনপির রাজনীতির পটপরিবর্তন হতে শুরু করে।

আরিফুল হক মেয়রের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতিতে নতুন করে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। এখন তাঁর কুমারপাড়ার বাসা নেতাকর্মীর পদচারণায় মুখর থাকে। জেলা ও নগর বিএনপির কোনো কার্যালয় না থাকায় তাঁর বাড়িতেই সভা-সমাবেশ করছেন নেতাকর্মীরা। আরিফও তারুণ্যের সমাবেশ নিয়ে বিএনপিতে অনেক সময় ব্যয় করছেন। বিএনপি নির্বাচনে গেলে সিলেট-১ আসন থেকেই মনোনয়নপ্রত্যাশী তিনি।

এদিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে ফের মনোনয়নের প্রত্যাশা নিয়ে দলে শক্তিশালী অবস্থান করে নিয়েছেন আব্দুল মুক্তাদীর। সিলেট জেলা ও নগর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটির অধিকাংশ নেতাকর্মী তাঁর বলয়ের। এ নিয়ে অতীতে বিএনপির বিবাদ রাজপথ পর্যন্তও গড়ায়। দলের ত্যাগী নেতাকর্মীর অনেকে পদ না পাওয়ায় রাজনীতি থেকে দূরে সরে যান।

এ অবস্থায় সিলেট বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীকে সক্রিয় করার কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন আরিফুল হক। তিনি জানান, সামনে বিএনপির বেশ কিছু কর্মসূচি। এসব কর্মসূচিতে ত্যাগী নেতাকর্মীকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া তারুণ্যের সমাবেশ ঘিরে সিলেট বিএনপি অনেকটা চাঙ্গা বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে মুক্তাদীর অনুসরীরাও জানান, তারা এখন তারুণ্যের সমাবেশ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল বলেন, কয়েকদিন ধরে খন্দকার মুক্তাদীর সিলেটে অবস্থান করছেন। আগামী রোববার রেজিস্ট্রারি মাঠে তারুণ্যের সমাবেশ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।

তবে কথা বলে জানা গেছে, সিলেট বিএনপির অধিকাংশ কর্মী চান নির্বাচন। আর নেতারা চান আন্দোলন। বিএনপির রাজনীতি থেকে অনেক দূরে থাকা ত্যাগী কর্মীদের তৎপর করতে নানা ধরনের প্রচার চালানো হচ্ছে। এ ব্যপারে আরিফুল হকের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত কেন্দ্রীয় বিএনপির ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পবিষয়ক সহসম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ত্যাগী অনেক নেতাকর্মী এখনও রয়েছেন রাজনীতি থেকে দূরে। কর্মীদের চাঙ্গা করার উদ্যোগ নিতে হবে। জানা গেছে, সিলেট বিএনপির রাজনীতি মূলত দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদীর, অন্যদিকে আরিফুল হক চৌধুরী। আরিফুল হক মেয়র থাকায় দলের রাজনীতিতে তেমন সময় দিতে পারেননি। বিএনপির কোনো কর্মসূচিতে তাকে দাওয়াত পর্যন্ত দেওয়া হতো না। কোনো কোনো সময় নিজ থেকেই কর্মসূচিতে গিয়ে হাজির হতেন। এটি মানতে পারতেন না মুক্তাদীর বলয়ের লোকজন।

সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন মেয়র আরফিুল হক চৌধুরী– এমনটাই চাউর হয়েছিল নগরজুড়ে। নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর দিনই আরিফ যান লন্ডনে। সেখানে দেখা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে। এর পর লন্ডনে যুবদলের একটি অনুষ্ঠানে আরিফ নির্বাচন না করার ইঙ্গিত দেন।

দেশে ফেরার পর নতুন করে নাটকীয়তা তৈরি করেন। তিনি নির্বাচন করছেন– এমন ধারণাই শক্তিশালী হয়। এ অবস্থায় ভোটের এক মাস আগে ২০ মে রেজিস্ট্রারি মাঠে নাগরিক সমাবেশ করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন আরিফ। এর পর থেকেই সিলেট বিএনপির রাজনীতির পটপরিবর্তন হতে শুরু করে।

আরিফুল হক মেয়রের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতিতে নতুন করে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। এখন তাঁর কুমারপাড়ার বাসা নেতাকর্মীর পদচারণায় মুখর থাকে। জেলা ও নগর বিএনপির কোনো কার্যালয় না থাকায় তাঁর বাড়িতেই সভা-সমাবেশ করছেন নেতাকর্মীরা। আরিফও তারুণ্যের সমাবেশ নিয়ে বিএনপিতে অনেক সময় ব্যয় করছেন। বিএনপি নির্বাচনে গেলে সিলেট-১ আসন থেকেই মনোনয়নপ্রত্যাশী তিনি।

এদিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে ফের মনোনয়নের প্রত্যাশা নিয়ে দলে শক্তিশালী অবস্থান করে নিয়েছেন আব্দুল মুক্তাদীর। সিলেট জেলা ও নগর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটির অধিকাংশ নেতাকর্মী তাঁর বলয়ের। এ নিয়ে অতীতে বিএনপির বিবাদ রাজপথ পর্যন্তও গড়ায়। দলের ত্যাগী নেতাকর্মীর অনেকে পদ না পাওয়ায় রাজনীতি থেকে দূরে সরে যান।

এ অবস্থায় সিলেট বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীকে সক্রিয় করার কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন আরিফুল হক। তিনি জানান, সামনে বিএনপির বেশ কিছু কর্মসূচি। এসব কর্মসূচিতে ত্যাগী নেতাকর্মীকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া তারুণ্যের সমাবেশ ঘিরে সিলেট বিএনপি অনেকটা চাঙ্গা বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে মুক্তাদীর অনুসরীরাও জানান, তারা এখন তারুণ্যের সমাবেশ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল বলেন, কয়েকদিন ধরে খন্দকার মুক্তাদীর সিলেটে অবস্থান করছেন। আগামী রোববার রেজিস্ট্রারি মাঠে তারুণ্যের সমাবেশ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।

তবে কথা বলে জানা গেছে, সিলেট বিএনপির অধিকাংশ কর্মী চান নির্বাচন। আর নেতারা চান আন্দোলন। বিএনপির রাজনীতি থেকে অনেক দূরে থাকা ত্যাগী কর্মীদের তৎপর করতে নানা ধরনের প্রচার চালানো হচ্ছে। এ ব্যপারে আরিফুল হকের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত কেন্দ্রীয় বিএনপির ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পবিষয়ক সহসম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ত্যাগী অনেক নেতাকর্মী এখনও রয়েছেন রাজনীতি থেকে দূরে। কর্মীদের চাঙ্গা করার উদ্যোগ নিতে হবে।

Facebook Comments Box

Posted ৯:৩৯ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৮ জুলাই ২০২৩

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com