সারাদেশ ডেস্ক | সোমবার, ০৩ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট | 83 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
ভারত থেকে আমদানির খবরে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কমতে শুরু করেছে কাঁচা মরিচের দাম। রোববার রাতে কুমারখালীতে কাঁচা মরিচের দাম ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা ছিল, অথচ আজ তা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৮০ টাকায়। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে বলে জানান ক্রেতারা।
সোমবার দুপুরে পৌর তহবাজারে দেখা যায়, মান ও আকারভেদে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ পাইকারি ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি।
খুচরা বিক্রেতা মিজানুর রহমান জানান, তিনি গতকাল রাতেও ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি মরিচ বিক্রি করেছেন। কিন্তু আজ সকাল থেকে মরিচের আমদানি বেড়েছে। তাতে দামও কমেছে কয়েকগুণ।
তার ভাষ্য, ভারত থেকে মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। কিন্তু ওই মরিচ কুমারখালী এসে পৌঁছায়নি। তবে আমদানির খবর শুনেই দাম কমেছে।
১২৫ টাকা দিয়ে আধা কেজি কাঁচামরিচ কিনেছেন ক্রেতা নয়ন শেখ। তিনি বলেন, সপ্তাহখানেক ধরে কাঁচামরিচের দামে আগুন। আমদানির খবরে আজ দাম কমেছে। এ সময় বাজার মনিটারিং বৃদ্ধির জোর দাবি জানান তিনি।
সুরাইয়া পারভীন নামের এক গৃহিণী জানান, ঈদের পরদিন তিনি ২০০ টাকা দিয়ে ২৫০ গ্রাম মরিচ কিনেছেলেন। তিনি আজ ২০০ টাকা দিয়ে এক কেজি মরিচ কিনেছেন। তার ভাষ্য, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কাছে সাধারণ মানুষ জিম্মি। ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি হাওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে।
কুমারখালী পৌর তহবাজারের পাইকারি বিক্রেতা শহীদ বিশ্বাস বলেন, ‘আগামী কয়েকদিনের মধ্যে মরিচের আরও দাম কমতে পারে। আজ প্রকারভেদে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় পাইকারি বিক্রি হয়েছে।’
চৌরঙ্গী বাজার এলাকার খুচরা বিক্রেতা রমজান আলী গতকাল রাতে ৬০০ টাকা দরে মরিচ বিক্রি করেছেন। কিন্তু সকাল থেকেই ২০০-২৫০ টাকা কেজিতে মরিচ বিক্রি হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন কৃষকের গাছে মরিচ কম। এজন্য বাজারে আমদানিও কম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল জানান, আজ মরিচের দাম কয়েকগুণ কমেছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন নিয়মিত বাজার মনিটারিং করছে। কোনো কারসাজি ধরা পরলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।
Posted ১২:৩৮ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৩ জুলাই ২০২৩
nykagoj.com | Stuff Reporter