শুক্রবার ১লা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্যার শঙ্কা কাটল কুড়িগ্রামে

সারাদেশ ডেস্ক   |   রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   134 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

বন্যার শঙ্কা কাটল কুড়িগ্রামে

টানা এক সপ্তাহ পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কুড়িগ্রামে ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্রসহ ১৬টি নদনদীর পানি বাড়তে থাকে। এতে প্লাবিত হয় জেলার নিম্নাঞ্চল। তবে গত শুক্রবার সকাল থেকে সব নদনদীর পানি কমতে শুরু করেছে। ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানি কমার পর গতকাল শনিবার ভোর থেকে ধরলা, দুধকুমা, গঙ্গাধরসহ অন্য নদনদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচে নেমে গেছে।

তবে উলিপুর, নাগেশ্বরী ও সদর উপজেলার প্রায় ৬০টি গ্রামে এখনও পানি রয়েছে। এসব গ্রামে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট থাকায় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন কয়েক হাজার মানুষ। নিরাপদ পয়ঃনিষ্কাশনের অভাবে কয়েকটি চরে পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে। পানি কমলেও অনেকে এখনও নৌকা ও উঁচু স্থানে রয়েছেন। পুরো পানি না সরলে নিজেদের বসতভিটায় ফিরতে পারছেন না তাঁরা।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, গতকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার, ধরলার পানি সদর পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর ইয়ুথনেটের বাসিন্দা জহুরুল হক বলেন, ‘দুইদিন থাকি রোইদ ওঠে। রোইদের কারণে পানি টান (কমা) শুরু করছে।’

নাগেশ্বরীর দুধকুমার তীরের বাসিন্দা মামুনুর রশীদ বলেন, ‘জেলার সব নদীর পানি কমায় এবারের বন্যার ধাক্কা থাকি রেহায় পাইলাম।’

সদরে ব্রহ্মপুত্রের চিড়া খাওয়া চরের বাসিন্দা মো. লিটন বলেন, ‘শুক্রবার দুপুরের পর থাকি এলাকার পানি কমা শুরু করছে। বৃষ্টি না থাকায় সবার মধ্যে একটা স্বস্তি ভাব দেখা যায়।’

পাউবো কুড়িগ্রাম নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে অনেক পানি কমেছে। বন্যা সতর্কীকরণের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রোববার (আজ) থেকে সমতলে পানি কমার সম্ভাবনা রয়েছে। ঈদের আগে ও পরে আগামী দুই সপ্তাহে এ অঞ্চলে বড় ধরনের বন্যার শঙ্কা নেই।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, সব নদনদীর পানি কমতে শুরু করায় চরের মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। পুরো পানি না কমা পর্যন্ত প্রতিনিয়ত ইউএনওদের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হচ্ছে। নতুন করে জিআর প্রতিষ্ঠানের জন্য ৮০০ টন চাল বরাদ্দ এসেছে। এ ছাড়া ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

সমকাল

Facebook Comments Box

Posted ৩:০৪ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com