সোমবার ১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

জেলের জালে পাঙাশের ঝাঁক, আইন অমান্য

সারাদেশ ডেস্ক   |   বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   242 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

জেলের জালে পাঙাশের ঝাঁক, আইন অমান্য

মুন্সীগঞ্জ সদর ও গজারিয়া উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত মেঘনা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে পাঙাশ। গত এক সপ্তাহ ধরে নদীর বিভিন্ন অংশে এসব মাছ ধরা পড়ছে বলে জানিয়েছেন জেলেরা। নদীতে জাল ফেললেই উঠে আসছে পাঙাশ, তবে অধিকাংশই ছোট আকৃতির। ইলিশ না পাওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন জেলেরা পাঙাশে পুষিয়ে নিতে পেরে খুশি।

তবে মৎস্য বিভাগ বলছে, জেলেদের আহরণকৃত এসব পাঙাশ মাছ নির্ধারিত দৈর্ঘ্যের চেয়ে ছোট, যা ধরা দণ্ডনীয় অপরাধ। যদিও এ আইন বিষয়ে অধিকাংশ জেলে জ্ঞাত নয় বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় জেলেদের জালে ধরা পড়ছে পাঙাশ। নদীপাড়ের বাজারগুলোয় দেখা যাচ্ছে প্রচুরসংখ্যক এ মাছ। আকারে বেশি বড় না হলেও প্রচুর মাছ ধরা পড়ায় খুশি জেলে ও বিক্রেতারা। আকৃতিভেদে প্রতি কেজি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। গতকাল মঙ্গলবারও মেঘনা নদীতে ধরা পড়েছে প্রচুর পাঙাশ।

ইসমানিচর এলাকার জেলে আবুল হোসেন বলেন, সোমবার দুপুরে নৌকা নিয়ে বের হয়ে মেঘনা নদীর ইসমানিচর এলাকায় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জাল গুটিয়ে নেন। তোলার পর দেখেন, তিন শতাধিক পাঙাশ মাছ ধরা পড়েছে। আকারে তেমন বড় না হলেও সংখ্যায় অনেক।

আরেক জেলে আফতাবউদ্দিন মিয়া জানান, মেঘনায় ইলিশ মাছ তেমন নেই। তবে এক সপ্তাহ ধরে প্রচুর পাঙাশ ধরা পড়ছে জালে। এ মাছ বিক্রি করে আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পেরে তাঁরা খুশি।

জেলেরা জানান, পাঙাশ ধরা পড়ায় নদীর বিভিন্ন অংশে জেলেদের তৎপরতা বেড়েছে। ছোট মাছ ধরা অপরাধের বিষয়টি অনেকে জানেন না। ইসমানিরচর গ্রামের জেলে মুকুল মিয়া বলেন, ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরতে মেঘনায় জাল ফেলা হয়। কয়েক দিন ধরে পাঙাশ মাছ ধরা পড়ছে। ১২ ইঞ্চির নিচের পাঙাশ ধরা নিষেধ– এ বিষয়টি বেশিরভাগ জেলে জানেন না বলে দাবি করেন তিনি।

গজারিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, ইলিশ প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞার সময় অন্যান্য মাছেরও নিরাপদ প্রজনন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নদনদীতে শুধু পাঙাশ নয়; বিভিন্ন মাছের প্রাচুর্য দেখা যাচ্ছে। মেঘনা নদীতে এমনিতেই পাঙাশ মাছ পাওয়া যায়। তবে কয়েক দিন ধরে খবর পাচ্ছেন, স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি মাছ পাওয়া যাচ্ছে। বেশিরভাগই ছোট আকৃতির পাঙাশ। দেশের মৎস্য আইন অনুসারে, ১২ ইঞ্চির নিচে বা ৩০ সেন্টিমিটার আকারের পাঙাশ মাছ ধরা নিষিদ্ধ।

মুন্সীগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এটিএম তৌফিক মাহমুদ বলেন, নদীতে পাঙাশের অনেক পোনা রয়েছে। যেগুলো ধরা পড়ছে তার অধিকাংশই ছোট, যা ধরা নিষিদ্ধ। ছোট আকারের মাছ না ধরতে জেলেদের নির্দেশ দেওয়া আছে। যথেষ্ট প্রচার চালানো হয়েছে। তারপরও আকারে ছোট মাছ ধরা অব্যাহত রাখলে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে।

Facebook Comments Box

Posted ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com