সারাদেশ ডেস্ক | রবিবার, ১১ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট | 59 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার হলে আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না। এ জন্যই এই দলের (আওয়ামী লীগ) সাধারণ সম্পাদক বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি ডেড ইস্যু। কিন্তু না, তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি জীবন্ত ইস্যু।
রোববার দুপুরে গাজীপুর মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এম মঞ্জুরুল করীম রনির সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শওকত হোসেন সরকারের সঞ্চালনায় নগরের সাগর সৈকত কনভেনশন সেন্টারে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিশ্ব চায় বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন হোক। আওয়ামী লীগ জনগণের দল নয়, প্রকৃতপক্ষে তারা একটি সন্ত্রাসী দল। তাই তারা নির্বাচন চায় না। তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজই বলে দেয় তারা সন্ত্রাসী ছাড়া আর কিছুই না। তাদের সঙ্গে ফয়সালা হবে রাজপথেই।
তিনি বলেন, মানুষ ন্যায়বিচার পাবে, সাম্য প্রতিষ্ঠা হবে, গরিব আরও গরিব হবে না, ধনী আরও ধনী হবে না- আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগ আমাদের স্বপ্ন তছনছ করে দিয়েছে। ১৯৭১ সালে যে লক্ষ্যে বাংলাদেশ গড়েছিলাম সেই বাংলাদেশ ফিরিয়ে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন। আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতা মো. ওমর ফারুক সাফিন, ডা. মাজহারুল আলম, কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, বেনজীর আহমেদ টিটু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান প্রমুখ।
বহিষ্কৃত নেতারাও সম্মেলনে
দলের মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সম্মেলনে বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থক নিয়ে অংশ নেন সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অভিযোগে বহিষ্কৃত নেতারা। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় শোডাউন করেছেন সদর মেট্রো থানা বিএনপির বহিষ্কৃত সভাপতি, নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আজমল হোসেন ভূঁইয়া। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাকেসহ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৩১ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। সম্মেলনে বহিষ্কৃত নেতাদের অধিকাংশকেই দলবল নিয়ে যোগদান করতে দেখা যায়।
নতুন কমিটি
দ্বিতীয় অধিবেশনে শওকত হোসেন সরকারকে সভাপতি ও মঞ্জুরুল করিম রনিকে সাধারণ সম্পাদক করে গাজীপুর মহানগর বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হবে। নবনির্বাচিত সভাপতি শওকত হোসেন সরকার মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ও মঞ্জুরুল করিম রনি ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
Posted ২:১০ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১১ জুন ২০২৩
nykagoj.com | Stuff Reporter