শনিবার ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরীক্ষা দিল চারঘাটের সেই ১৫ পরীক্ষার্থী

সারাদেশ ডেস্ক   |   বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   180 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

পরীক্ষা দিল চারঘাটের সেই ১৫ পরীক্ষার্থী

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় প্রধান শিক্ষকের গাফলতিতে অনিশ্চয়তায় পড়া ১৫ এসএসসি পরীক্ষার্থী আজ বৃহস্পতিবার অর্থনীতি বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। এ ঘটনায় সাদীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবর হোসেনকে শোকজ করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ‘প্রধান শিক্ষকের গাফলতি, অনিশ্চয়তায় ১৫ এসএসসি পরীক্ষার্থী’ শিরোনামে অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর এলাকায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহযোগিতায় ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা রাত ১২টার দিকে সংশোধিত প্রবেশপত্র হাতে পায়। বৃহস্পতিবার সরদহ সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে তারা পরীক্ষায় অংশ নেয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাদীপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার ২০ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে তিনজন বিজ্ঞান বিভাগের। মানবিক বিভাগের ১৭ জনের মধ্যে দুজনের অর্থনীতি বিষয়ের প্রবেশপত্র এসেছে। বাকি ১৫ জনের পৌরনীতি বিষয়ের প্রবেশপত্র এসেছে। অথচ ওই প্রতিষ্ঠানে কখনই পৌরনীতি বিষয় পড়ানো হয় না। নবম শ্রেণীতে রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণের সময় ভুলক্রমে পৌরনীতি বিষয় উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা। পরে ভুলটি প্রকাশ পেলে শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষককে জানালে তিনি সংশোধনের আশ্বাস দেন। ভুল সংশোধনের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী আরিফুল ইসলাম এক হাজার টাকা করে নেন। কিন্তু গত দুই বছরেও ভুলটি সংশোধন হয়নি। এমনকি বৃহস্পতিবার অর্থনীতি পরীক্ষার দিন ধার্য থাকলেও বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সংশোধিত প্রবেশপত্র পায়নি পরীক্ষার্থীরা।

এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক বাবর হোসেন ও অফিস সহকারী আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তোলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। বুধবার পরীক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস বরাবর লিখিত অভিযোগ করে। ইউএনও’র চেষ্টায় অবশেষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে পরীক্ষার্থী খুশি।

এ বিষয়ে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. রাহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কর্তৃপক্ষের আন্তরিক চেষ্টায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা আজ পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরেছে। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের উত্তর হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত করা হবে। তদন্তে প্রধান শিক্ষকের কোনো গাফলতি পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক শিক্ষা বোর্ড ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করা হয়। পরে সংশোধিত প্রবেশপত্র শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।

Facebook Comments Box

Posted ১২:০০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com