২১শে ফেব্রুয়ারী ২০২৩ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বইটির আত্ম প্রকাশ ঘটে ।আমি নিজেও উপস্থিত ছিলাম । কিন্তু অন্য প্রোগ্রাম থাকার কারণে শেষ অবধি থাকতে না পারায় ‘জয় বাংলা জয় বাংলাদেশ’বইটি আমার হাতে আসেনি ।বইটি পরার ইচ্ছে জাগছিল বার বার।কর্তাকে বলেছি কয়েকবার,আজ আনবো,কাল আনবো করে শেষ পর্যন্ত প্রকাশনার এক সপ্তাহের আগে বইখানা আমার হাতে আসে।বইটি হাতে পেয়েই মলাট উল্টাতেই চোখে পড়লো নিউইয়র্ক কাগজের সম্পাদক আফরোজা ইসলামকে আবু জাফর ।মুহূর্তের মধ্যে মনটা আনন্দে ভরে গিয়েছিল।তবে এই সম্বোধনের যোগ্যতা আমার কতটুকু আছে জানি না ।সম্পাদকের পদে কখনো ছিলাম না ।মাস্টারর্স শেষ করে বাসা থেকে পায়ে হাটাপথে ‘দৈনিক আল-আমিন’পত্রিকায় কাজ করেছি সহকারি সম্পাদক হিসেবে । যাহোক বইটি পড়েছি । ভালো লেগেছে এবং আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান দিয়ে যতটুকু পেরেছি এর সারমর্ম নিউইয়র্ক কাগজে লিপিবদ্ধ করেছি ।জয় বাংলা জয় বাংলাদেশ বইয়ের প্রকাশনা উৎসবের দিন হলরুমে ঢুকতেই চমকে উঠলাম ,পিঠার পসরা সাজানো আছে ,সাথে চা ।ভালো লাগলো,সবাই আনন্দ সহকারে উপভোগ করছে ।সাথে ফটোসেশনও চলছে ।মৃদু উত্তেজনাময় আনন্দ।পাশের রুমটাতে চলে গেলাম যেটাকে অনুষ্ঠানের জন্য স্থির করা হয়েছে ।ভিতরের পরিবেশ চমৎকারভাবে সাজানো ।বই প্রকাশনার জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবই বিদ্যমান।কিছুক্ষন পর লেখকের আগমন ।লেখকের এক ভক্ত মির্জা রিজভী ‘আমাদের নবাব’ বলে সম্বোধন করেন ।অর্থাৎ আমিও আছি ।সম্বোধনটা মন্দ নয়,লেখকের এক গজল সন্ধ্যা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলাম ।সেখানে লেখককে নবাবই মনে হয়েছিল।যাক সেদিকে আর যাবো না ।অনুষ্ঠান আরম্ভ হলো,এক এক করে সব বক্তাদের বক্তব্য খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছিলাম।অনেককিছু শেখারও ছিল ।মোটকথা বই প্রকাশনা উৎসবে যে আনন্দ পাওয়া যায় তা অনুভব করলাম ।হঠাৎ এর ছন্দপতন হয়,।এক প্রবীণ সাংবাদিক এবং মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন দাঁড়িয়ে মনের ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন । তাকে কিছু বলার আহবান করলে আরও ভালো হতো। মূল্যবান কিছু কথা হয়তো শুনতে পেতাম। আয়োজকরা হয়তো সময়ের দিকে নজড় দিচ্ছিলেন। সবশেষে লেখকের বলার পালা।ওনার বক্তব্য বলার সাথে ব্যাকগ্রাউন্ডে যে চিত্র দেখানো হয়েছে তা অতুলনীয় ।লেখক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর বলেছেন,২০২৩ সালে বাংলাদেশ পাল্টে যাবে ।বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে।তিনি আরও বলেন এটা স্বপ্ন নয়,বাংলাদেশ আবারও হাসবে।
‘জয় বাংলা জয় বাংলাদেশ’ বইটি পড়ে একটি বাক্য যদি হৃদয়ে স্থান দিতে পারি,তা হলেই লেখকের স্বার্থকতা,যেমন আমার হৃদয়ে সোনার অক্ষরে খদিত হয়ে আছে ,আল্লাহ্ যে জ্ঞান দিয়েছেন তাকে শুদ্ধভাবে কাজে লাগাতে চাইলে দেশের জন্য নিবেদিত হওয়া অর্থাৎ প্রকৃত অর্থে দেশপ্রেম। লাল -সবুজকে ভালোবাসী বলেই ‘জয় বাংলা জয় বাংলাদেশ’কে যে রংয়ের পোশাকে সাজানো হয়েছে ,আমিও সেই রংয়েরই পোশাক পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম ।তবে এতটাই মনোযোগী ছিলাম যে ফটো তোলার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম ।কি আর করা , বাসায় এসে দুজনে এক ফ্রেমে বন্দী হলাম ।সবশেষে বলবো আমাদের যতই কৃত্রিমতা চেপে বসুক না কেন ,বাঙালি আজও উৎসব মুখর থাকতেই ভালোবাসে।সেটা নিরিবিলি শান্ত পরিবেশে বই প্রকাশনা উৎসবই হোক না কেন ।
নিউইয়র্ক, ৩/২৪/২০২৩