বাংলাদেশ ডেস্ক | মঙ্গলবার, ০৩ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট | 86 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল চেয়ে আপিল করবে রাষ্ট্রপক্ষ।
আজ মঙ্গলবার অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, তাদের (ফখরুল-আব্বাস) জামিন স্থগিত চেয়ে শিগগিরই আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করা হবে।
রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস হাইকোর্ট থেকে ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। আটকের ২৬ দিন পর হাইকোর্ট থেকে তারা জামিন পান। এর আগে নিম্ন আদালতে চার দফা তাদের জামিন আবেদন নাকচ হয়।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর বলেন, আজ হাইকোর্টে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করে বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেছি। তারপরও আদালত তাদের জামিন দিয়েছেন। আমরা জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করবো। শিগগিরই এ আবেদন করা হবে।
তিনি জানান, বিএনপি মহাসচিবের ড্রয়ারে দুই লাখ টাকা এবং তার কার্যালয়ে ককটেল পাওয়া গেছে। তারা যে হামলার পরিকল্পনাকারী এবং উসকানিদাতা, তা প্রাথমিক তদন্তে এসেছে। আসামি চালানপত্রেও (ফরোয়ার্ডিং লেটারে) বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার পল্টন থানার মামলায় জামিন চেয়ে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস আবেদন করেন। তাদের জামিন আবেদন শুনানির জন্য আজ আদালতে ওঠে। শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ তাদের ৬ মাসের জামিন মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ডিসেম্বর রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাদের নিজ নিজ বাসা থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এর পরদিন পল্টন থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর একাধিকবার তার পক্ষে জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করা হলেও তা নাকচ হয়।
এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন অনেকে। এসময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল-ডাল, পানি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরকদ্রব্য পাওয়া যায় বলে জানায় পুলিশ।
এ ঘটনায় পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপির নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। এ মামলায় মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
Posted ২:৫৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৩ জানুয়ারি ২০২৩
nykagoj.com | Stuff Reporter