নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট | 22 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট মাসে সংগঠিত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে নিউইয়র্কের বাংলাদেশি স্টুডেন্ট এন্ড এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা প্রবাস থেকেও আন্দোলনের সক্রিয় ছিলেন। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশের সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ গঠনে প্রবাস থেকে বিভিন্ন প্রস্তাবনা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন বাংলাদেশি স্টুডেন্ট এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ।
গত ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার জ্যাকসন হাইটসের ইটজি চাইনিজে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউসুফ আলী। এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ইসলাম এম সাইমন, মোজাফফর আহমেদ, বায়োজিদ কামাল, নুমায়ের হোসেন, শারমিন আক্তার ও অবনী শরীফ এবং তাঁরা সংবাদকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
এ সময় বাংলাদেশ বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক কর্মকর্তা সৈয়দ আল আমিন রাসেলও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ছাত্র নেতৃবৃন্দকে সহযোগিতা করেন। এ সময় তারা উল্লেখ করেন, ছাত্র আন্দোলনে যারা নিহত বা আহত হয়েছেন তাদের পরিবারের পুনর্বাসন, আর্থিক সহায়তা ও উন্নত চিকিৎসার দাবী জানান। একই সাথে গনহত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে দ্রত বিচার দাবি করা হয়। প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয় পত্র আমেরিকা থেকে ইস্যু করার দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশের অন্তবর্র্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসকে অভিবাদন এবং অভিনন্দন জাননো হয়। সেই সাথে শুভেচ্ছা জানানো হয় উপদেষ্টা পরিষদের সকল সদস্যমন্ডলীদের।
বাংলাদেশের প্রতি একনিষ্ঠতার সাথে যারা দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশকে একটা অবকাঠামোগত সংস্কারের সুচনার পথ উম্মোচন করেছেন, তাদের হাত ধরেই পুরণ হবে দেশের সকল মানুষের প্রত্যাশা। লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, এক ছাদের নীচে আমরা সবাই বাংলাদেশি। আদর্শিক বা মূল চিন্তাধারা সকলের এক না হলেও, আমরা সবাই জানি দীর্ঘমেয়াদি সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশের সা¤প্রতিক পরিস্থিতিতে একনায়কতন্ত্র কায়েম করছিলো। উন্নয়নের বুলি দিয়ে ক্ষুন্ন করা হয়েছে মানুষের মৌলিক অধিকার এবং মানবাধিকারকে। আমরা যে বাংলাদেশকে ছোট থেকে অসা¤প্রদায়িক বলে জেনে এসেছি, সেই দেশে ডিভাইড এন্ড রুল জারি করে ধীরে ধীরে বাইনারি রাজনীতি কায়েম করা হয়েছে।
এই বাইনারি রাজনীতির প্রধান হাতিয়ার করা হয়েছিলো মুক্তিযুদ্ধকে। একটা রাজনৈতিক দল ধীরে ধীরে মুক্তিযুদ্ধের মতোন মহান অর্জনকে নিজের দলের স্বার্থে ব্যবহার করে দেশের সাধারণ মানুষকে ঠেলে দিতো একটা চরমপন্থী পরিচয়ের দিকে। এবং গনতান্ত্রিক সরকারের ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠার প্রথম ধাপ ছিলো এটা।
আমরা চাই বাংলাদেশে এমন বাইনারি রাজনীতি আর থাকবে না। আমরা বিএনপি বনাম আওয়ামী লীগ, হিন্দু বনাম মুসলিম, জামাতি বনাম বামাতি, প্রগতিশীল বনাম প্রতিক্রিয়াশীল দেখতে চাইনা। পরবর্তী সরকার কেবিনেটে আমরা চাই একটা মিশ্র পার্লামেন্ট যেখানে সবাই যুক্তিতর্কের মাধ্যমে দেশের প্রয়োজনীয় উন্নয়ন এবং অগ্রগতিতে কাজ করবে। শর্ট সিলেবাস কালচার, আর অনুকরনীয় শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আমাদেরকে স্কুল এবং কলেজের কারিকুলামে যৌক্তিক বিষয়ের উপর পাঠদান নিশ্চিত করতে হবে। আমরা সবাই হয়তো নেপোলিয়ন বোনাপার্টকে চিনি, যিনি বলেছিলেন, “তুমি আমাকে শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দিবো”!
আইরোনিক্যালি বাবা মা যদি পড়াশুনা না জানেন তাও একটা সন্তান কিন্তু অনেক দ‚র যেতে পারে শিক্ষাদিক্ষা নিয়ে।দেশের সর্বচ্চো বিদ্যাপিঠে আমরা চাই যোগ্য শিক্ষক, যারা রাজনীতি নয় বরং রিসার্চ এবং ইনোভেশন নিয়ে কথা বলবে। ছাত্রনেতারা বলেন, দুর্নীতির মনোপলি থেকে বের হতে চাইলে আমাদের প্রয়োজন বেকারত্ব দূর করা। কলেজ এবং ইউনিভার্সিটিতে পড়াকালীন প্রয়োজন পার্ট টাইম কাজের স‚যোগ করে দেওয়া। বিভিন্ন কোম্পানির আন্ডারে যোগ্যতা অনুযায়ী ইন্টার্নির স‚যোগ দেওয়া বা সরকারি কাজে সহায়তার সুযোগ করে দেওয়া। এতে ছাত্রসমাজ, যুবসমাজ কোনো ভাইয়ের তাবেদারি করবে না।
Posted ৭:২২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
nykagoj.com | Monwarul Islam