রবিবার ১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নান্দাইলে গাঁজার আসর বসার অভিযোগে মাজার ভাঙচুর

ডেস্ক রিপোর্ট   |   বৃহস্পতিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২২   |   প্রিন্ট   |   377 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

নান্দাইলে গাঁজার আসর বসার অভিযোগে মাজার ভাঙচুর

নান্দাইল উপজেলার চরভেলামারী গ্রামে আমান পাগলা নামে এক ব্যক্তির কবর ও খানকায় (মাজার) গান-বাজনা এবং গাঁজার আসর বসানোর অভিযোগে ভাঙচুর করা হয়েছে। আমান পাগলার অনুসারীদের অভিযোগ, গ্রামের কিছু লোক গত মঙ্গলবার ভাঙচুর চালিয়েছে।
চরবেতাগৈর ইউনিয়নের একটি গ্রাম চর ভেলামারী। গ্রামটি উপজেলা সদর থেকে ১৬ কিলোমিটার পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্র নদের পূর্বপাড়ে। নদের পাড়ে বেড়িবাঁধের পূর্ব পাশে আমান পাগলার খানকা ও কবরের (মাজার) অবস্থান। আমান পাগলার স্ত্রী সুরভান (৬৫) জানান, তাঁর স্বামী চিশতিয়া তরিকার অনুসারী ছিলেন। তিনি নিজে গান-বাজনাসহ কবিরাজি চিকিৎসা করতেন। তাঁর কাছে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসতেন। তাঁদের অনেকেই তাঁর (আমান পাগলার) শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছেন।

তিনি বলেন, দুই বছর আগে তাঁর স্বামী মারা যান। ঘরের পাশেই তাঁকে কবর দেওয়া হয়। পরে কবরটি পাকা করে দিয়েছেন অনুসারীরা।
অনুসারী আকরাম মিয়া জানান, প্রতি বছর আমান পাগলার মৃত্যুর দিনে তাঁর স্মরণে এখানে ওরস করা হয়। ওরসের রাতে তাঁর স্মরণে মারফতি গান-বাজনার পাশাপাশি তাবারক রান্না করে ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। প্রতি বছর ওই মাজারে লোক সমাগম বাড়ছিল।
গত সোমবার রাত ছিল আমান পাগলার মাজারে ওরসের নির্ধারিত তারিখ। এর আগে বিকেলে গ্রামের কয়েক অধিবাসী মাজারের ওরসে আসা ভক্ত ও মুরিদদের বাধা দেন। ভয়ভীতি দেখিয়ে লোকজনকে তাড়িয়ে দেন। এরপর মঙ্গলবার সকালে গ্রামের একদল লোক এখানে গান-বাজনা ও গাঁজার আসর বসানোর অভিযোগ তুলে খানকা ঘরটি ভেঙে তছনছ করে ফেলে। এ সময় হামলাকারীরা খানকা ঘরের পাশে থাকা আমান পাগলার পাকা কবরটিও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়।
মাজারবিরোধী পক্ষের বিল্লাল হোসেনের ভাষ্য, কবরটি কেন্দ্র করে ঘরটিতে গাঁজার আসরসহ অসামাজিক কার্যকলাপ চলছিল। এসব কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য একাধিকবার বলা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা এ ধরনের কার্যকলাপ অব্যাহত রাখেন। তাই গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে এ কাজ করেছে। তবে কবরটি কেন
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো- এ প্রশ্নের উত্তরে বিল্লাল নীরব থাকেন।
চরবেতাগৈর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন বলেন, ওই মাজারে গাঁজার আসর চলে বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে গ্রামের তরুণ ও যুবসমাজ গাঁজায় আসক্ত হচ্ছিল। গ্রামবাসীর কাছে কোনো বিকল্প না থাকায় হয়তো এ কাজ (ভাঙচুর) করেছেন।
নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, মাজার ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি কেউ। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Facebook Comments Box

Posted ১২:৫১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২২

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com