বাংলাদেশ ডেস্ক | বুধবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | প্রিন্ট | 58 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
জ্বালানি তেলের মূল্য কমিয়ে সরকার যখন বাস ভাড়া কমানোর চেষ্টা করছে, এমন সময়ে কমানো ভাড়া কার্যকর করার পরিবর্তে পবিত্র ঈদুল ফিতরের যাতায়াতে বিভিন্ন গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় শুরু হয়েছে। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নৈরাজ্য বন্ধের দাবি করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অভ্যন্তরীণ রুটে আকাশ পথে দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে বিমানের টিকিটি বিক্রি হচ্ছে। সড়ক পথে বিভিন্ন দূরপাল্লার রুটে ৫ এপ্রিল থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেড়গুন বাড়তি, ৮,৯ ও ১০ এপ্রিল কোথাও দ্বিগুণ, কোথাও তিনগুণ বাড়তি দামে বাসের টিকিট বিক্রি হচ্ছে। নৌ-পথে বিভিন্ন রুটে কেবিনে ক্ষেত্রে দ্বিগুণ-তিনগুণ বাড়তি ভাড়ায় টিকিট বিক্রি হচ্ছে। এহেন ভাড়া নৈরাজ্য প্রকাশ্য ঘটলেও সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর এখনো কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের লোকজন ঈদের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহের ক্ষেত্রে চরম বিপাকে পড়ছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে সংশ্লিষ্ট বাস কোম্পানি বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন পুলিশের আইজিপি। বিআরটিএ, বিআইডাব্লিউটিএ, হাইওয়ে পুলিশ, নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও এমন ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধে কেউ এগিয়ে আসছে না, অভিযোগ করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
তাদের পর্যবেক্ষণ বলছে, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া না গেলে ঈদযাত্রায় নিম্ন আয়ের লোকজনের বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে, পণ্যবাহী পরিবহনে, ফিটনেসবিহীন সিটি বাসে, খোলা ট্রাকে, মোটরসাইকেলে, ট্রাকের পণ্যের উপরে ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত কোনোভাবেই বন্ধ করা যাবে না।
এমতাবস্থায় যাত্রী স্বার্থ রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
Posted ২:১৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৪
nykagoj.com | Stuff Reporter