বাংলাদেশ ডেস্ক | শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট | 14 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
ঝালকাঠির নলছিটিতে রমজান মাস উপলক্ষে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৮০ টাকা দরে বিক্রি করে আলোচনায় এসেছেন উপজেলার কুশঙ্গল ইউনিয়নের মো. সাইদুল ইসলাম শামিম নামের এক ব্যবসায়ী।
নলছিটি উপজেলার সব হাটবাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৩০-৭৫০ টাকায়। এ তুলনায় অনেক কম দামে সাইদুলের মাংস বিক্রির খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। মানপাশা বাজারে সাইদুলের দোকানের সামনে শত শত ক্রেতা ও উৎসুক জনতার ভিড় দেখা গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, কম দামে গরুর মাংস বিক্রির খবরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মাংস ক্রেতারা ছুটে এসেছেন সাইদুলের দোকানে। মাংস কেনার আগে ক্রেতাদের একটি করে স্লিপ দেওয়া হচ্ছে। জনপ্রতি আধা কেজি থেকে দুই কেজি পর্যন্ত মাংস নিতে পারছেন ক্রেতারা।
ফয়রা গ্রামের কাঠমিস্ত্রি রফিকুল ইসলাম বলেন, যেখানে সবাই ৭৫০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি করছে, সেখানে সাইদুল ভাই ৫৮০ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রি করছেন। এতে বাজারের সাধারণ দামের চেয়ে ১৭০ টাকা কমে মাংস নিতে পারছে সবাই।
এ বিষয়ে মাংস ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম বলেন, পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কম লাভে মাংস বিক্রি করছেন। এতে যদি নিম্ন আয়ের মানুষের কিছুটা উপকার হয়, তাতেই তিনি খুশি। তিনি রমজান মাসের প্রতি শুক্রবার ৫৮০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি চালিয়ে যাবেন।
এদিকে গরুর মাংস বিক্রেতাদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে রামগঞ্জে কেজিপ্রতি ৬৭০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে রামগঞ্জ সরকারি কলেজ গেটের সামনে এ দামে মাংস বিক্রি শুরু করেছেন কয়েজন যুবক। মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বিক্রি অব্যাহত রাখবেন বলে জানান উদ্যোক্তারা।
কয়েক বছর ধরে সিন্ডিকেট করে কেজিপ্রতি ৯০০-১০০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। ক্রেতাদের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে রমজানে দাম স্থিতিশীল রাখতে গত ১১ মার্চ রামগঞ্জ ও সোনাপুর বাজারের ব্যাবস্থাপনা কমিটিসহ বিক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে গরুর মাংসের দাম প্রতিকেজি ৬৫০ টাকা দাম নির্ধারণ করে দেন পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটোয়ারী। দাম বেঁধে দেওয়ায় মাংস বিক্রি করা বন্ধ করে দেন বিক্রেতারা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে ক্রেতারা। পৌর কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেওয়া দামে মাংস বিক্রি করতে বিক্রেতাদের বাধ্য করতে এ উদ্যোগ নিয়েছেন কয়েকজন যুবক।
মাংস কিনতে আসা হাবিব, শাহআলম, মিলনসহ কয়েকজন এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এভাবে মাংস বিক্রি আব্যাহত রাখলে অসাধু ব্যাবসায়ীদের হাত থেকে সাধারণ ক্রেতারা রক্ষা পাবে।
উদ্যোক্তা বিপুল বলেন, দরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করে ৬৭০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রির কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এ উদ্যোগে অসাধু ব্যবসায়ীরাও সতর্ক থাকবেন।
পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটোয়ারী বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে যুবসমাজ কম দামে মাংস বিক্রি শুরু করেছে। এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকলে নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি করতে বাধ্য হবেন ব্যবসায়ীরা।
Posted ৯:৪৭ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪
nykagoj.com | Stuff Reporter