বৃহস্পতিবার ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিজিটাল ডকুমেন্ট সংগ্রহে পিছিয়ে সরকার

বাংলাদেশ ডেস্ক   |   বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   24 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

ডিজিটাল ডকুমেন্ট সংগ্রহে পিছিয়ে সরকার

ইন্টারনেটের বদৌলতে বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। তরুণ প্রজন্ম, যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, তাদের কাছে ইন্টারনেট তথ্যের অন্যতম প্রধান উৎস। অথচ অনলাইনে মুক্তিযুদ্ধের দলিল, নথিপত্র সংরক্ষণ ও প্রচারে অনেকটাই পিছিয়ে দেশের সরকার। এখনও তৈরি হয়নি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ডিজিটাল আর্কাইভ। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় বেশি ব্যস্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট কাজেই।

সরকারি প্রতিষ্ঠান ফিল্ম আর্কাইভ, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, জাতীয় জাদুঘরসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের কিছু ডিজিটাল ডকুমেন্ট বা দলিল (অডিও, ভিডিও, আলোকচিত্র) থাকলেও সেগুলো বিচ্ছিন্নভাবে সংরক্ষিত। পাকিস্তান সরকারের কাছে থাকা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের অনেক দলিল উদ্ধারেও রাষ্ট্রীয় তৎপরতা চোখে পড়ে না। অনেকেই মনে করেন, রাষ্ট্রায়ত্ত একক প্রতিষ্ঠান না থাকায় মুক্তিযুদ্ধের ডিজিটাল ডকুমেন্ট উদ্ধার ও সংরক্ষণে সমন্বয়হীনতা ঘটছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, দেশ-বিদেশে বিভিন্ন স্থান, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে মুক্তিযুদ্ধের অনেক দলিল রয়েছে। বেসরকারি উদ্যোগে এর কিছু সংগৃহীত হলেও সরকার উদ্যোগ নিলে এ সংখ্যা বাড়বে। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোকচিত্র, বই-পুস্তক, পেপার কাটিংসহ নানা ডকুমেন্ট ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণ না করায় তা নষ্ট হওয়ার উপক্রম। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে থাকা অনেক ডিজিটাল ডকুমেন্টের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণসহ অনেক দলিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট-পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সংরক্ষণ হয়নি বা খোয়া গেছে। এর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর কিছু দলিল পুনরুদ্ধার করা হয়। তবে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণসহ অনেক ডিজিটাল ডকুমেন্টের কপিরাইট নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা।

অনলাইনভিত্তিক মুক্তিযুদ্ধ আর্কাইভ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, গণহত্যা জাদুঘরসহ বেসরকারি কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল ডকুমেন্ট সংরক্ষণ ও প্রচারে কাজ করলেও তাতে ধারাবাহিকতা নেই। আবার অনলাইনে যেসব ডকুমেন্ট প্রচার হচ্ছে, তাতে রয়েছে নানা বিকৃতি ও অসংগতি। এ জন্য সরকারি উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের দলিল ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণ ও প্রচার করা প্রয়োজন।

এ বিষয়ে সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘কিছু কাজ হয়নি, তা নয়। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের অনেক ডকুমেন্ট উদ্ধার হয়েছে। কাজ চলছে। তবে কাজটি কঠিন।’ তিনি বলেন, ‘একক প্রতিষ্ঠানের আওতায় মুক্তিযুদ্ধের ডিজিটাল ডকুমেন্ট সংরক্ষণের বিষয়টি আগে কেউ চিন্তা করেননি। সরকার ফিল্ম আর্কাইভের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ডকুমেন্ট সংগ্রহ করছে। আরও আগে উদ্যোগ নিলে মুক্তিযুদ্ধের ডিজিটাল ডকুমেন্ট সংরক্ষণ নিশ্চয় সমৃদ্ধ হতো।’

গণহত্যা জাদুঘরের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ সাধনই শুধু মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। মুক্তিযুদ্ধের ডকুমেন্টও সংরক্ষণ করতে হবে। কিন্তু তারা সেটি করেনি। এ জন্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একটি অধিদপ্তর থাকতে পারে, যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের যাবতীয় উপাদান সংগ্রহ ও প্রচার করা হবে। দেশ-বিদেশের গবেষকরা সেগুলো দেখতে পারবেন। এটি হতে হবে সরকারের কল্যাণমুখী প্রকল্প।’

সর্বশেষ জনশুমারি অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য বলছে, দেশে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটি ১ লাখের বেশি এবং মোবাইল সংযোগের সংখ্যা ১৮ কোটি ৭৫ লাখ। সারাদেশে প্রায় ৮ হাজার ৮০০টি ডিজিটাল সেন্টার, ১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৩টি বিশেষায়িত ল্যাব এবং ১০টি হাই-টেক/আইটি পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দেশের ৬৪টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, ৫০০টি জয় ডি-সেট সেন্টার, শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের ডিজিটাল ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তা বৃহৎ পরিসরে প্রচার করা সম্ভব।

নষ্ট হচ্ছে দলিল দস্তাবেজ
বৃহৎ আকারে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয় ১৯৭৭ সালে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৫ খণ্ডে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র’ এবং এক খণ্ডের অ্যালবাম প্রকাশ করে ১৯৮৮ সালে প্রকল্পটি বিলুপ্ত করা হয়। তখন সংগৃহীত প্রায় সাড়ে তিন লাখ পৃষ্ঠার দলিল বস্তাবন্দি করে রাখা হয় চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) গ্যারেজে। ওই বছর ভয়াবহ বন্যায় সেখানকার অনেক দলিল নষ্ট হয়ে যায়। পরে সেগুলো সংরক্ষণ করা হয় জাতীয় জাদুঘরে। বর্তমানে জাদুঘরে ১ হাজার ৫৫১টি ফাইলে প্রায় ১ লাখ ১২ হাজার পৃষ্ঠার দলিল রয়েছে। অর্থাৎ ২ লাখ ৩৮ হাজার পৃষ্ঠার দলিল আর সংরক্ষণে নেই! জাদুঘরের সংগ্রহে থাকা দলিল ও নথিপত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য– মুজিবনগর সরকার ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের দলিলপত্র, রণাঙ্গনের কিছু দলিল এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সাক্ষাৎকার। এসব ২০১৪ সালের মধ্যে ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণের কথা বলা হলেও, তা হয়নি।

আশির দশকে স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্রের তথ্য সংগ্রহে যুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘যেসব নথিপত্র আছে, সেগুলো অন্তত জাতীয় ইতিহাসের স্বার্থে ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণ করে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা উচিত। তাহলে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণা বিস্তৃত হবে। তরুণ প্রজন্ম ইতিহাসের সত্য জানতে পারবে।’

সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে গেছে ‘যুদ্ধশিশু’ বিষয়ক অনেক নথিপত্র। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সাল থেকে ১০ বছরে প্রায় আড়াই হাজার যুদ্ধশিশুকে বিদেশে দত্তক দেওয়া হয়। সমাজসেবা অধিদপ্তরে এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য থাকার কথা; কিন্তু রয়েছে সাতশর মতো নথি। বাকি নথি খোয়া গেছে বলে জানা যায়। একইভাবে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকা মুক্তিযুদ্ধের দলিল খোয়া যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

বহির্বিশ্বে মুক্তিযুদ্ধের ডকুমেন্ট
পাকিস্তান, ভারত, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, নেপাল, ভুটানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দলিল রয়েছে। এপি, রয়টার্স, এএফপিসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও মুক্তিযুদ্ধের অনেক ডিজিটাল ডকুমেন্ট রয়েছে। এসব সংগ্রহে গত বছর এপ্রিলে ব্রিটিশ পাথ ও নেদারল্যান্ডসের রেড অরেঞ্জের সঙ্গে পৃথক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করে বাংলাদেশের ফিল্ম আর্কাইভ। এর আওতায় এরই মধ্যে ব্রিটিশ পাথ থেকে মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ ১৫৬টি ভিডিও ফুটেজ এবং রেড অরেঞ্জ থেকে কয়েকশ দলিল সংগ্রহ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও এমওইউ সই করেছে ফিল্ম আর্কাইভ। প্রতিষ্ঠানটি থেকে মুক্তিযুদ্ধের কয়েক হাজার ডিজিটাল ডকুমেন্ট পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।

ফিল্ম আর্কাইভের ‘স্বদেশ ও বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের ফুটেজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংরক্ষণাগার শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. মোফাকখারুল বলেন, ‘২০২২ সালের নভেম্বরে মুক্তিযুদ্ধের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। কয়েকটি দেশ থেকে অনেক নতুন ডকুমেন্ট পাওয়া গেছে। শিগগির এগুলো জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হবে।’ জানা গেছে, ৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে গৃহীত প্রকল্পটির মেয়াদ দুই বছর বাড়ছে।

কপিরাইট জটিলতা

স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের অধিকাংশ ডকুমেন্টের কপিরাইট হয়নি। ফলে দেশ-বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের অনেক দলিল অনলাইনে ব্যবহারের মাধ্যমে বাণিজ্যিক সুবিধা নিচ্ছে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। প্রায় ৮ বছর বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটির কপিরাইট দখলে রেখেছিল ভারতীয় কোম্পানি ইনরেকো এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ইউটিউব থেকে রয়্যালটি বাবদ অন্তত ১০ লাখ ডলারের ব্যবসা করেছে বলে দাবি বাংলাদেশ কপিরাইট সমিতির। ২০২১ সালে ব্যারিস্টার ওলোরা আফরিনের তৎপরতায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দখলমুক্ত হয়।

এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস (অতিরিক্ত সচিব) মো. দাউদ মিয়া বলেন, ‘ভাষণটির কপিরাইট করতে হলে আইন অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর পরিবার বা ওয়ারিশদের আবেদন করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের অন্যান্য দলিলের কপিরাইট নিয়েও জটিলতা রয়েছে। এ জন্য সামগ্রিক নীতি দরকার।’

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির মনে করেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ভালো কনটেন্ট তৈরি করা উচিত। উন্নত বিশ্বে স্বাধীনতার ইতিহাস সংক্রান্ত ডকুমেন্ট ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশে সেটা হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগ জরুরি। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কপিরাইটও করতে হবে। তা না হলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।’

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ডিজিটাল আর্কাইভের চিন্তাভাবনাটি ভালো। আমরা বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করব। এখন মন্ত্রণালয় মূলত মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ নিয়ে কাজ করছে। ধীরে ধীরে এর কার্যক্রম বাড়বে। ইতোমধ্যে ৮০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার বীরত্বগাথার ভিডিও ধারণ শুরু হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ডিজিটাল আর্কাইভও হবে।’

গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আশির দশক থেকে সারাদেশে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির প্রধান ডা. এম এ হাসান। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণে মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা অনেক। বধ্যভূমিও সেভাবে সংরক্ষণ হয়নি! এ জন্য মন্ত্রণালয়কে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে।’

Facebook Comments Box

Posted ১:৪৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

ক্যালেন্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com