রবিবার ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খলিল বিরিয়ানী হাউসে শতাধিক আইটেমের মজাদার ইফতারি

হাবিব রহমান   |   মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   148 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

খলিল বিরিয়ানী হাউসে শতাধিক আইটেমের মজাদার ইফতারি
ব্রঙ্কসের খলিল বিরিয়ানী হাউসে এবারও রোজাদারদের জন্য শতাধিক মজাদার এবং ভিন্নধর্মী আইটেম নিয়ে ইফতারীর আয়োজন করা হয়েছে।দেশীয় ঐতিহ্যবাহী ইফতারের সাথে যুক্ত হয়েছে হালাল চাইনিজ নানা আইটেম।এগুলির মাঝে আছে নানাধরনের কাবাব,জিলাপি, সমুচা, ভেজিটেবল পকোরা,দু রকম হালিম,সরবত, খোরমা, নানা জাতের মিষ্টি,পুরি, পিয়াজু,বেগুনী, ছোলা, আলু চপ ,ডিম চপ,সিঙ্গারা,এবং নানা পদের বিরিয়ানী,চিকেন ফ্রায়েড রাইস,ভেজিটেবল ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন সহ নানারকম আইটেম।
রোজার দুদিন আগে পার্শ্ববর্তী খলিল সুপার মার্কেটটি বিরিয়ানী হাউসের সাথে একীভূত করার ফলে রেস্টুরেন্টটটি একটি বিশাল এবং দৃস্টিনন্দন রুপ লাভ করেছে।নতুন আঙ্গিকের বিস্তৃত পরিসরের এই রেস্টুরেন্টট্ সাজানো হয়েছে শতাধিক আইটেমের ইফতার সামগ্রী দিয়ে।
প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী শেফ খলিলুর রহমান জানান,রোজাদাররা হচ্ছেন আল্লাহর মেহমান।তাদের খেদমতের জন্য প্রতিবছর সাধ্যমত চেস্টা চালাই ।এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।আল্লাহর কাছে হাজারো শোকরিয়া তিনি এবার আমার রেস্টুরেন্টটি বড় আকার করার সূযোগ দিয়েছেন।এছাড়া আমার বড়বড় তিনটে কিচেন রয়েছে।সবগুলি ব্যবহার করে আমার কর্মীদের নিয়ে রোজাদারদের জন্য আকর্ষনীয় ইফতার তৈরি করেছি। শুধু মুখরোচক নয় ইফতার যেন স্বাস্থ্যসম্মত হয় সে প্রচেস্টাও আমার অব্যাহত রয়েছে ।এবার ব্রঙ্কসের দুটি শাখা ছাড়াও জ্যামাইকা এবং জ্যাকসন হাইটসে একটি শাখা সহ মোট চারটি বিক্রয়কেন্দ্র থেকে আমরা একসাথে রোজাদারদের জন্য ইফতার সরবরাহ করছি।আলহামদুলিল্লাহ এবারও রোজার প্রথম দিনেই আশানুরুপ সারা পেয়েছি রোজাদারদের রাছ থেকে।পুরো মাসেই তাদের কাছ থেকে এমন সাড়া পাব বলে আশা করছি।
খলিল বলেন,গতবারের চেয়ে এবার জিনিষপত্রের দাম বৃদ্ধি পেলেও আমরা ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে মূল্য নির্ধারণ করেছি।দুধরনের ইফতার বক্সের দাম একটি ১০.৯৯ এবং অন্যটি ১২.৯৯ মুল্য নির্ধারণ করেছি।
তিনি আরো জানান ব্রঙ্কস এবং জ্যামাইকা শাখায় ইফতার পার্টি করার ব্যবস্হা রয়েছে।
খলিল বলেন,শুধু বাংলাদেশি নয়, অন্যান্য দেশের মানুষের কাছেও আমার প্রতিষ্ঠানের ইফতারির গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
তাই বিভিন্ন দেশের কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী আগামীতে আরো নতুন নতুন মেনু সংযোজন করার আশা রাখছি।
কানেকটিকাট থেকে এসে খলিলে ইফতার কিনতে এসেছিলেন আবদুল মতিন।তিনি বলেন প্রতি রোজায় আমার
পরিবারপরিজন নিয়ে ইফতার কিনি ব্রঙ্কসের খলিল খেকে।এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আমার বাচ্চারা খলিলের চায়নিজ খাবারেরও ভক্ত।ইফতারের সাথে তাদের জন্য চাইনিজ খাবারও নিয়ে যাবো।
নর্থ ব্রঙ্কস থেকে ইফতার কিনতে আসা সিলেটের নজরুল ইসলাম বলেন, বাসায় ইফতার বানানো হলেও খলিলের ইফতার না নিলে, মনে হয় কিছু একটা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।তাই ছুটে এসেছি ইফতার সংগ্রহ করতে। শুধু বাংলাদেশী নয় খলিলের ইফতারী সংগ্রহ করতে আফ্রিকান কমিউনিটির অনেক মুসলিমের ইফতার ক্রয় করার জন্য লাইনে দাঁডাতে দেখা গেছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় ইফতার কিনতে আসা রোজাদারদের ঢল সামলাতে হিমশিম খেতে গেছে দোকানের কর্মীদের।
Facebook Comments Box

Posted ১:০২ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com