বুধবার ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৭ মার্চের ভাষণ মানুষকে অনুপ্রাণিতই করেনি, স্বাধীনতাও এনে দিয়েছে

বাংলাদেশ ডেস্ক   |   বৃহস্পতিবার, ০৭ মার্চ ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   21 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

৭ মার্চের ভাষণ মানুষকে অনুপ্রাণিতই করেনি, স্বাধীনতাও এনে দিয়েছে

জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই ভাষণ জনগণকে শুধু অনুপ্রাণিতই করেনি, গেরিলা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছে এবং তাদের স্বাধীনতাও এনে দিয়েছে।

তিনি বলেছেন, এই ভাষণ মানুষকে শুধু উদ্বুদ্ধই করেনি, গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতিই দেয়নি, যুদ্ধে বিজয়ও এনে দিয়েছে। এটাই ছিল সবচেয়ে বড় কথা।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ-২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রাম এবং রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। সংগ্রামের পথ বেয়ে রক্তের অক্ষরে লেখা হয়েছে মাতৃভাষায় কথা বলার এবং আমাদের স্বাধীনতার অধিকার।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সেই ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলন থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আর পরাধীন থাকা যাবে না। বাঙালি জাতিকে রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি দিতে হবে। আর সেই চিন্তা থেকেই তিনি ধাপে ধাপে এ দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন স্বাধীনতার চেতনায়। তিনি তার প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে। আর তারই অংশ হচ্ছে ৭ই মার্চ।

তিনি বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের জাতির পিতা কী বলেছিলেন তার বারবার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল এমনকি পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা যারা পরবর্তী সময়ে বই লিখেছেন তারাও তাদের বইতে লিখেছেন ‘উনি যে কী বলে গেলেন আমরা স্তব্ধ হয়ে থাকলাম আমরা কোনো অ্যাকশনই নিতে পারলাম না।

সরকারপ্রধান বলেন, এর ব্যাখ্যা খুঁজতে খুঁজতে পাকিস্তানিদের সময় চলে যায় যে বঙ্গবন্ধু কী বলে গেলেন আর কী হয়ে গেল, বাঙালিরা যুদ্ধে নেমে পড়ল।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাধারে যেমন স্বাধীনতার জন্য জাতিকে প্রস্তুত করেন তেমনি যেন বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে চিহ্নিত হতে না হয় এবং জনগণ তৎক্ষণাৎ যেন পাকিস্তানি বাহিনীর সরাসরি আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত না হয় সে ব্যাপারেও প্রজ্ঞার পরিচয় দেন।

তিনি আরও বলেন, একজন নেতার একটি ভাষণ মানুষকে শুধু উদ্বুদ্ধই করেনি, গেরিলা যুদ্ধের শুধু প্রস্তুতিই দেয়নি, যুদ্ধে বিজয়ও এনে দিয়েছে। এটাই ছিল সবচেয়ে বড় কথা।

১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার যে অপচেষ্টা হয়েছিল তার কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিহাস কখনো মুছে ফেলা যায় না। সত্যকে কখনো মিথ্যা দিয়ে যে ঢেকে রাখা যায় না। আজ সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। ৭ মার্চের ভাষণ আজ আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য দলিলে স্থান পেয়েছে।

তিনি বলেন, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান আজকে আমাদের জাতীয় স্লোগান। ৭ মার্চের ভাষণ আজ শুধু বাঙালির নয়, ইতিহাসে যেসব নেতারা ভাষণের মধ্য দিয়ে জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছেন সেই ভাষণগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে স্থান পেয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের বিষয়ে তার ছায়াসঙ্গী বঙ্গমাতার ভূমিকার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অনেক জ্ঞানী গুণী সেই ভাষণ দেওয়ার আগে লিখিত নিয়ে আসেন, কেউ পরামর্শ দেন, নেতারা পরামর্শ দেন।

Facebook Comments Box

Posted ১২:০৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৭ মার্চ ২০২৪

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

ক্যালেন্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com