বাংলাদেশ ডেস্ক | শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট | 74 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তুষার মাহমুদ। নাইট ডিউটি শেষ করে তিনি সকালে বাসায় ফিরছিলেন। পথে বাংলাবাজার ব্রিজের নীচে পড়েন পুলিশি তল্লাশির মুখে। তিনি জানান, রাতে অফিসে ঘুমানোর জন্য সঙ্গে কাঁথা রাখি। কাঁথা নিয়ে পুলিশ পাঁচ মিনিট জিজ্ঞাসাবাদ করে ও ফোন তল্লাশি করে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমার গায়ে অফিসের পোশাক ছিল তবুও আমাকে সন্দেহ করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসা করার আগেই পকেটে হাত দেয়। যা খুবই অশোভনীয়।
শনিবার রাজধানীর পুরান ঢাকা সরেজমিনে দেখা যায়, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকেছে পুলিশ ও র্যাব। পুরান ঢাকার সদরঘাটসহ শ্যাম বাজার, শাঁখারি বাজার, লক্ষ্মীবাজার, রায়সাহেব বাজার কোতোয়ালী, সূত্রাপুর বংশাল সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি পয়েন্টে পুলিশের মহড়া এবং চেকপোস্ট। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ জনগণ।
তুষার মাহুমুদের মতো একই ভোগান্তির শিকার হয়েছেন সদরঘাটের কাপড় ব্যবসায়ী জসীম মোল্লা। তিনি জানান, সকালে দোকান খুলতে আসলে কয়েক দফা জেরার মুখে পড়তে হয় তাকে। একবার ছাত্রলীগ আসে, একবার আওয়ামী লীগ আসে। অথচ আমি এখানকার স্থানীয় ব্যবসায়ী।
এদিকে বন্ধ থাকতে দেখা যায় পুরান ঢাকার বেশিরভাগ দোকান। আতঙ্কে পথচারীর চলাচলও রয়েছে সীমিত। ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে বন্ধ ছিল গণপরিবহন চলাচল। এতে ভোগান্তি বেড়েছে জন সাধারণের। সকাল থেকে ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকায় ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াতকারী যাত্রীরা এসে বাস বন্ধ দেখে ফিরে যায়। কেউ কেউ বিকল্প উপায়ে রিকশা নিয়ে ভেঙে ভেঙে পাড়ি দিচ্ছেন নিজ নিজ গন্তব্যে।
মূলত বিএনপির আজকের সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলটির নেতাকর্মীরা যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্যই এই বিশেষ নিরাপত্তার কথা জানান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চেকপোস্টের দায়িত্বরত পুলিশের উপপরিদর্শক হাসান মাতব্বর। তিনি বলেন, আমরা সকাল থেকেই সতর্ক অবস্থানে আছি। এখনও পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে জনগণের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্যই চেকিং চলছে।
Posted ১:৩৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২২
nykagoj.com | Stuff Reporter