বাংলাদেশি কমিউনিটির পরিচিত মুখ আমেরিকার মুলধারার রাজনীতিবীদ গিয়াস আহমেদের লং আইল্যান্ডস্থ বাসভবনে গত সোমবার ১৬ অক্টোবর ঈদে মিলাদুননবী উপলক্ষে আলোচনা এবং মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। উক্ত মিলাদুননবী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আহলে বাইত জামে মসজিদের ইমাম ডঃ সৈয়দ মুতায়েককেল বিল্লাহ রাববানী । প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিলাল মসজিদের ইমাম সৈয়দ আনসারুল করিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন পার্কচেষ্টার মসজিদের ইমাম যুবায়ের রশিদ, কমিউনিটি একটিভিষ্ট সৈয়দ উমায়ের হাসান, মওলানা ওলিউল্লাহ আতিকুর রহমান, আহলে বাইত মসজিদের ইমাম হাফেজ টিপু সুলতান প্রমুখ। সুমধুর কন্ঠে কোরাআন তেলোয়াত করেন সৈয়দ মুসতানজিদ বিল্লাহ রাববানী , নাতে রসুল পাঠ করেন আন্তর্জাতিক নাতে খা কারী মুহাম্মদ ফারুক , সৈয়দ মুসতায়িন বিল্লাহ রাববানী এবং কর্রিম হাওলাদার । বকতা গন বলেন , আললাহ তায়ালা আল কোরআনে নবী সাঃ এর শুভাগমনে আনন্দ উৎসব পালন করবার জন্য মুমিনদের নির্দেশ দিয়েছেন। সুরা ইউনুসের ৫৮ নম্বর আয়াতে আললাহ বলেন, “ হে রসুল আপনি বলুন, আল্লাহর অনুগ্রহ এবং রহমত প্রাপ্তিতে মুমিনরা যেন খুশি উৎযাপন করে। মুমিনদের এই খুশি উৎযাপন তাদের সমসত কর্ম ফল অপেক্ষও শ্রেষ্ঠ হবে।” আললাহ তায়ালা সুরা আম্বিয়ার ১০৭ নম্বর আয়াতে এই “রহমত” সম্পর্কে বলেন, “ আমি আপনাকে( মুহাম্মদ সাঃ ) সমগ্র জগৎ সমুহের রহমত রুপে পাঠিয়েছি।” বক্তাগণ বলেন, নবী সাঃ হলেন আমাদের জন্য সবচেয়ে শ্রেষ্ঠতম রহমত। আর এই রহমত প্রাপ্তিতে শুধু মুমিনরাই খুশি উৎযাপন করবে। পথভ্রষ্ট ওহাবী সালাফি এবং জংগী মতাদর্শের লোকেরা ঈদে মিলাদুননবী পালনের সৌভাগ্য হবে না। বক্তাগণ আরো বলেন. বর্তমানকালে নবী সাঃ এর মান শান নিয়ে আলোচনা করলেই কিছু আলেম ওলামার গা জ্বলে যায়। নবী সাঃ এর জন্মের সময় শয়তান সবচেয়ে বেশী দুঃখ পেয়েছিল। তেমনি নবী সাঃ এর জন্মের দিন আলোচনা করলে অনেক ওলামার গা জ্বলে। আগের দিনে সারা বিশ্বে ঈদে মিলাদুননবী , দরুদ মিলাদ কিয়ামের প্রচলন ছিল। তখন মুসলমানরা অর্ধের দুনিয়া শাসন করেছে । মুসলমানরা ছিল সুপার পাউয়ার। কিনতু ইংরেজদের চক্রান্তে সৈয়দী আরবে ওহাবীদের আগমনের ফলে মুসলমনাদের অধপতন শুরু হয়। সৈয়দী আরবে আল সৌদ পরিবার এবং ওহাবী মতবাদের গুরু মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওহাবী নজদী ইংরেজদের চক্রান্তে উসমানিয়া খিলাফতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে খিলাফত ভেংগে রাজতন্ত্র কায়েম করে। ফলে মধ্যপ্রাচ্য ইংরেজদের দখলে চলে যায় এবং ইজরাইল নামক দাজজালী রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়। বর্তমান দাজজালী ইজরাইল রাষ্ট্র গঠনের জন্য মুলাদুননবী বিরোধী ওহাবীরাই দায়ী। এই সৌদী ওহাবীরাই আজ ঈদে মিলাদুননবী সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বিরাধিতার করে সমাজে ফেৎনা সৃষ্টি করে চলছে। সকলকে এই ব্যাপারে সতর্ক থাকবার জন্য আহ্বান করা হয়। পরিশেষে প্যালেস্টাইনে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের দাবী এবং সাধারন নাগরিকদের হত্যাযজ্ঞের নিন্দা জ্ঞাপন করে দোয়া করা হয়।