নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট | 295 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
পবিত্র রমযান মাসকে আনুষ্টানিকভাবে স্বীকৃতি দিল নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল। এখন থেকে প্রতি বছর সিটি হলে রমাদান সেলিব্রেশন অনুষ্ঠিত হবে। একটি নির্ধারিত রোজায় সিটি হলের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হবে ইফতারের। বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ সিটি হলে ডিস্ট্রিক্ট ২৭ থেকে নির্বাচিত কাউন্সিলওম্যান নানটাশা উইলিয়ামস ‘রমাদান রিকগনিশন রেজুলেশন ০৫১৫-২৯২৩ উত্থাপন করেন। এর কোস্পন্সর ছিলেন ব্রুকলিন থেকে নির্বাচিত বাংলাদেশি বংশোদভূত কাউন্সিলওম্যান শাহানা হানিফ, ব্রংকসের পার্কচেষ্টার থেকে নির্বাচিত কাউন্সিলওম্যান আমন্ডা ফারিয়াস ও কুইন্সের জ্যাকসন হাইটস এলাকা থেকে নির্বাচিত কাউন্সিলম্যান শেখার কৃষনান। রেজুলেশনটি সর্বসম্মত পাশের প্রাক্কালে সিটি হলে বক্তৃতা করেন এই ৩ কাউন্সিল মেম্বার। তারা বলেন, ১৫ লাখ মুসলমান এই নিউইয়র্ক সিটিতে বাস করে। নিউইয়র্ক সিটি তাদের জন্য গর্বিত। শেখর কৃষনান রমাদান মাসকে শান্তিপ্রিয় মাস হিসেবে আখ্যায়িত করেন। । এই রেজুলেশনটি উত্থাপনের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন বাংলাদেশি বংশোদভূত একটিভিস্ট ও মূলধারার রাজনীতিক মাজেদা উদ্দীন। তিনিই কাউন্সিলওম্যান নানতাশার কাছে রেজুলেশনটি উত্থাপনের অনুরোধ করেন।
সিটি হলে এই রেজুলেশনটিসহ আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি ল্যান্ডমার্ক হিসেবে রক্ষিত থাকবে। রমযান মাসে সিটির মুসলিম কমিউনিটি অধ্যুষিত এলাকায় পুলিশী তৎপরতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে। মুসলমানরা যেন তাদের এই ধর্মীয় মাসে নির্বিঘেœ চলাফেরা ও ইবাদত করতে পারে সেজন্য সিটি বিশেষ ব্যবস্থা নেবে। রমযান শেষে ঈদের জামায়াতের এলাকাগুলোতে ফ্রি পাকিং এর নিশ্চয়তা প্রদান করবে সিটি।
এদিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক এডামস বাংলাদেশিদের সৌজন্যে এক রিসিপশনের আয়োজন করেছে। মেয়রের সরকারি বাসভবন গ্রেসি ম্যানশনে ২১ মার্চ সন্ধ্যায় এ রিসিপশন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া একইদিন সিটি কাউন্সিল স্পীকার এড্রিয়েনা এডামসের নেতৃত্বে সিটি হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান হবে। তাকে সহায়তা করছেন কাউন্সিল মেম্বার শাহানা হানিফ, আমান্দা আরিয়াস,জেমস জিনারো,শেখর কৃষনান,লিন্ডা লিসহ অনেকে।
Posted ৭:২৬ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩
nykagoj.com | Monwarul Islam