
নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪ | প্রিন্ট | 343 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
উৎসব আমেজে অনুষ্ঠিত হলো গোল্ডেন এজ হোম কেয়ার প্রেজেন্টস ফিল্ম এন্ড মিউজিক ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড। হাজারো প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে ঢালিউডের ২২তম অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন শো টাইম মিউজিকের আলমগীর খান। এতে বাংলাদেশ থেকে আগত ১৫ জন অভিনয় ও সংগীত শিল্পী অংশ নেন। গত রোববার ৩০ জুন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল জ্যামাইকার আমাজোরা হলে। হল ভর্তি দর্শকদের উপস্থিতিিতে ঢালিউড অ্যায়ার্ডের টাইটেল স্পন্সর গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট ও সাপ্তাহিক আজকাল সম্পাদক শাহ নেওয়াজ প্রবাসে বাংলাদেশি সংস্কুতি ও কমিউনিটি বিকাশে যেকোন ধরনের ত্যাগ স্বীকারের ঘোষণার দেন। তিনি বলেন. আলমগীর খান আলম গত ২১টি বছর ধরে এ অনুষ্ঠান করে আসছে। প্রবাসে সংগীত ও সংস্কৃতি বিকাশে তার অবদান অনস্বীকার্য। প্রতি বছর সামারে প্রবাসীরা এ অনুষ্ঠানের জন্য অপেক্ষায় থাকেন। এবারের এ আয়োজনের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে থাকতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।
অনুষ্ঠানের দিন প্রাকৃতিক আবহাওয়া অনুকুলে ছিল না। বৃষ্টি ও ঝরো হাওয়াকে উপেক্ষা করে প্রবাসীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহনে আলমগীর খান আলম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। আয়োজন ছিল চমৎকার। লাইটিং ছিল চোখ ধাঁধাঁনো। তবে সাউন্ড সিস্টেমের দুর্বলতা পরিলক্ষিত হয়। আগত শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন তাহসান, আতিয়া আনিসা, কমেডিয়ান নজরুল ইসলাম, মেহজাবিন চৌধুরী, তাসনিয়া ফারিণ, তানজিন তিশা, মন্দিরা চৌধুরী, শাকিব খান ও চঞ্চল চৌধুরী। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী শক্তিমান অভিনেতা আহমেদ শরীফের সরব উপস্থিতি দর্শকদের আন্দোলিত করে। এতও অধিক সংখ্যক শিল্পীদের নিয়ে প্রবাসে এ যাবৎ পর্যন্ত শো টাইম মিউজিকের আলমগীর খান আলম ছাড়া অন্য কেউ অনুষ্ঠান উপহার দিতে পারেন নি। এক প্রতিক্রিয়ায় আলমগীর খান আলম আজকালকে বলেছেন, আমার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও বড় কাজ হচ্ছে প্রতিবছর ঢালিউড অ্যায়ার্ডের আয়োজন। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও তা অব্যাহত রেখেছি। প্রবাসের স্পন্সরদের ভালোবাসা ও সহায়তা ছাড়া ২১ বছর ধরে এ ধরনের অনুষ্ঠান করা সম্ভব ছিল না। আমি দর্শক ও স্পন্সরদের কাছে এ জন্য কৃতজ্ঞ। অনুষ্ঠানে আগত শিল্পীদের প্রত্যেকেই আলমগীর খান আলমের ভূয়সী প্রসংশা করেছেন। তারা বলেছেন, এটা আলমগীর খান আলমের পক্ষেই সম্ভব। তিনিই প্রবাসে বাংলাদেশি সংস্কৃতি তুলে ধরতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। জাতীয়ভাবে তার এই অবদানের মূল্যায়ন হওয়া উচিৎ।
৩০ জুন জ্যামাইকার আমাজোরা হলে সন্ধ্যা থেকেই দর্শকরা গেটে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে পড়েন।সারিবদ্ধভাবে তারা হলে প্রবেশ করেন। রাত ৯টা নাগাদ অনুষ্ঠানের শুরু হয় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে। এতে ছিল অ্যাওয়ার্ড বিতরণ, গান, গল্প ও নৃত্য পরিবেশনা। অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় ছিলেন বাবু জামান, জিনাত জাহান মুন্নি এবং আলমগীর খান আলম। অ্যাওয়ার্ড নেওয়ার পাশাপাশি শিল্পীরা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় অভিনেতা আহমেদ শরীফকে। শুভেচ্ছা বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি তার একটি সিনেমার ডায়ালগ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রবাসের জীবন অনেক কষ্টের। বাংলাদেশে থাকাবস্থায় এ কষ্ট টের পাওয়া যায় না। আমরা প্রবাসীরা বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি। দেশ ছাড়তে হয় নানাবিধ কারনে। অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরীকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি জীবনে চুরি করেছেন? উত্তরে বললেন, দর্শকদের মন চুরি করেছি। তারপর একটি গানের কয়েকটি লাইন পরিবেশন করেন। গান পরিবেশন করার আগে বলেন, আসলে আমি শিল্পী নই, বাথরুম সিংগার। । অনুষ্ঠানে তাহসান, রানো নেয়াজ এবং লায়লার গান সবাইকে মুগ্ধ করেছে। বিশেষ করে তাহসানতো তরুণ প্রজন্মকে নাচিয়ে ছাড়েন। তাহসান ও ফারিনের দ্বৈত কন্ঠে অনুষ্ঠানের শেষ গান দর্শকরা অনেকদিন মনে রাখবে। মধ্যরাত অবধি প্রাসীরা এ অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানে আলমগীর খান আলমকে সহায়তা করেন লায়ন জেএফএম রাসেল ও আব্দুর রশীদ বাবু।
অনুষ্ঠানে যাদের অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় তারা হলেন—বেস্ট সিংগার (পুরুষ) তাহসান, বেস্ট সিংগার (মহিলা) আতিয়া আনিসা, বেস্ট কমেডিয়ান নজরুল ইসলাম, বেস্ট টিভি অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী, ওয়েব সিরিজ তাসনিয়া ফারিণ, ওয়েব চলচ্চিত্র নিখোঁজ, বেস্ট টিভি অভিনেত্রী পপুলার ক্যাটাগরি তানজিন তিশা, বেস্ট চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পপুলার ক্যাটাগরি মন্দিরা চৌধুরী, বেস্ট চলচ্চিত্র অভিনেতা শাকিব খান (প্রিয়তমা), অভিনেত্রী তমা মির্জা (সুড়ঙ্গ), বেস্ট ডিরেক্টর রায়হান রাফি (সুড়ঙ্গ), হিমেল আশ্রাফ (প্রিয়তমা), বেস্ট সিংগার রানো নেওয়াজ, গীতিকার কবির বকুল, বেস্ট টিভি অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, রাইজিং সিংগার অ্যাওয়ার্ড (নর্থ আমেরিকা) নিপা জামান, মোস্তফা অনিক রাজ, ফোক সংগীত বিন্দু কনা, সুলতানা লায়লা, স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড দর্শনা বনিক, অভিনেতা জায়েদ খান, এন্টারটেইনার শাহ নেওয়াজ, এন্টারপ্রেনিয়র নাসির সবুজ ও প্রিসিলা।
অনুষ্ঠানে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট শাহ নেওয়াজ, আশা হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট আকাশ রহমান, খলিল বিরিয়ানির প্রেসিডেন্ট খলিলুর রহমান, বিশিষ্ট আইন উপদেষ্টা এন মজুমদার,রিভারটেলের সিইও রুহিন হোসেন, গ্রিই ম্যাকানিক্যালের প্রেসিডেন্ট তোফায়েল চৌধুরী লিটন, কাজী লিটন, শো—টাইমের প্রেসিডেন্ট আলমগীর খান আলম, বেলাল চৌধুরী, ও উৎসব ডট কমের রায়হান জামান।
অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম ফজলুল হক, শাহ গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহ জে চৌধুরী, লায়ন্স ক্লাবের সাবেক সভাপতি আহসান হাবিব, হাসান জিলানী, ইশতিয়াক রুমি, আব্দুর রশিদ বাবু, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সফল সমাপ্তি শেষে আগামী ১৩ জুলাই বাফেলোতে অনুষ্ঠিতব্য ঢালিউড অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ জানান আলমগীর খান আলম ।
Posted ৪:২৭ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪
nykagoj.com | Monwarul Islam