এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন প্রশাসনের ওই কর্মকর্তারা বলেন, ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার নতুন একটি চুক্তিতে রাজি হতে বিলম্ব করছে গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে জিম্মি করা অসুস্থ ও বৃদ্ধদের মুক্তি দিতে চায় না হামাস।
ওই কর্মকর্তাদের একজন বলেন, বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসে দেওয়া ভাষণে জো বাইডেন জানাবেন, গাজায় একটি বন্দর নির্মাণ করতে যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক বাহিনীকে জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এ ক্ষেত্রে একই মতধারার দেশ ও মানবিক কার্যক্রমে অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
নিরাপত্তার বিষয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সমন্বয় করবে উল্লেখ করে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, গাজায় ওই বন্দরটি হবে অস্থায়ী। এই বন্দর নির্মাণের ফলে গাজায় উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের পরিমাণ বাড়বে। সেখানে প্রতিদিন কয়েক শ ট্রাক ত্রাণ পাঠানো সম্ভব হবে।
এদিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট কামলা হ্যারিসের যুদ্ধ বিরতির আহবান আমলে নিচ্ছে না ইসরায়েল। গাজায় যুদ্ধবিরতির সমঝোতায় না পৌঁছানো পর্যন্ত আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির দাবি এড়িয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে সংগঠনটি। এদিকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
পবিত্র রমজান মাসের আগেই গাজায় ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য মিসরের কায়রোতে অনুষ্ঠিত আলোচনা ভেস্তে গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে হামাস বলেছে, যুদ্ধবিরতির সমঝোতায় পৌঁছাতে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে তারা আলোচনা চালিয়ে যাবে। সংগঠনটি বলেছে, ‘আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে চলা আগ্রাসন সম্পূর্ণভাবে অবসানে প্রয়োজনীয় নমনীয়তা আমরা দেখাচ্ছি। কিন্তু এখনো দখলদারেরা (ইসরায়েল) চুক্তির দাবিগুলো এড়িয়ে যাচ্ছে।’
হামাসের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁদের বাড়িঘরে ফিরতে দেওয়া, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং সেখানে ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ দেওয়া।