খেলা ডেস্ক | রবিবার, ০৯ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট | 144 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে ‘হ্যালো’ বলতে পারেননি। বিমানবন্দরের ঘটনায় জামাল ভূঁইয়া বিব্রত হয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু মন খারাপ হয়নি তাঁর। কেননা, ওই ঘটনায় বাংলাদেশ অধিনায়ক পাশে পেয়েছেন ফুটবলপ্রেমী বাংলাদেশিদের। মার্টিনেজের সঙ্গে দেখা করতে না পারার জন্য কাউকে দোষারোপ করছেন না তিনি। বরং কলকাতার এজেন্ট শতদ্রু জামালকে ফোন করার পর তাঁকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, ভবিষ্যতে এভাবে সমর্থকদের বাইরে রেখে কোনো তারকাকে তিনি বাংলাদেশে যেন না আনেন। শতদ্রুকে জামাল এটাও জানিয়েছেন, মার্টিনেজের স্বাক্ষর করা উপহারের জার্সিটি তিনি গ্রহণ করবেন। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে আসার পরই ঢাকা লিগে ব্যস্ত সময় কাটছে জামালের। তার মধ্যেই গতকাল সঙ্গে দেশের ফুটবল ও মার্টিনেজের সফর সম্পর্কিত অনেক কথা বলেন জামাল ভূঁইয়া। তা শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়।
হ্যাঁ, কালকে (শুক্রবার) রাতে ফোন করেছিলেন তিনি।
হালকা বলতে তিনি আমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বারবার সরি বলেছেন সেদিনের ঘটনার জন্য। তিনি নাকি সেদিনের ঘটনা এতদূর গড়াবে তা বুঝতে পারেননি। কলকাতা যাওয়ার পর নাকি তিনি ও এমিলিয়ানো মার্টিনেজ সব ঘটনা শুনেছেন এবং বাংলাদেশি সমর্থকদের প্রতিক্রিয়াও দেখেছেন। তখন নাকি তাদের মন খারাপ হয়েছিল। মার্টিনেজ নাকি বারবার দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন।
কিন্তু আপনি তো সেদিন মার্টিনেজের এজেন্টকে সবকিছু বলেছিলেন, আপনার পরিচয়ও দেওয়া হয়েছিল।
সেটাই। সেদিন মহসিন (বাফুফের অ্যাটেন্ডার) আমার কথা বলেছিল তাঁকে (শতদ্রু)। আমি তাঁকে সেই কথা মনে করিয়ে দিই। তখন আবার সরি বলেছেন আমাকে। তিনি বলেছেন, তোমার যে এত জনপ্রিয়তা আমি তা জানতাম না। আমি তখন তাঁকে বলি, বাংলাদেশের ফুটবল দলের অধিনায়কের জনপ্রিয়তা থাকাটাই স্বাভাবিক। এটা শুনে তিনি আরও লজ্জিত হয়ে যান
শুনেছি আপনাকে নাকি মার্টিনেজ একটি জার্সি উপহার দিয়েছেন।
শতদ্রু আমাকে বলেছেন, মার্টিনেজ তাঁর স্বাক্ষর করা একটি আর্জেন্টিনার জার্সি আমার জন্য রেখে গেছেন। কলকাতার এজেন্ট আমাকে বলেছেন, কবে সেই উপহারের জার্সি আনতে পারব। আমি তাঁকে বলেছি– এখন তো লিগে খেলা চলছে, আগামী ১৫-২০ দিনের আগে আমি ফ্রি হতে পারব না। তখন তিনি বলেছেন– ঠিক আছে, তোমার যখন সময় হবে তখন জার্সিটি পৌঁছে দেব। হয়তো শতদ্রু ঢাকা আসবেন কিংবা আমি কলকাতায় যাব জার্সিটি আনতে।
মার্টিনেজের এমন সফরে সমর্থকরা তো কিছুই পেল না।
আমি তাঁকে সেটাই বলেছি। মার্টিনেজ আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার। বাংলাদেশে তাঁর অনেক ভক্ত-সমর্থক রয়েছে। কিন্তু আপনি যেভাবে তাঁকে ঢাকা এনেছেন, তাতে তো লাভ হয়নি। কোনো সাধারণ সমর্থক তাঁর সংস্পর্শে আসতে পারেনি। ভবিষ্যতে যদি এমন কোনো তারকাকে আনতে চান, তাহলে অবশ্যই সাধারণ ভক্ত-সমর্থকদের কথাটা মাথায় রাখবেন। এখানে এলো আর ঘুরে গেল, তা তো মানায় না। আমার এমন কথা শোনার পর আবারও সরি বলেছেন।
সব মিলিয়ে যদি বলতে হয় আমি বলব, দলের জন্য এবারের সাফটা অবশ্যই স্পেশাল। এই ভালো হওয়ার অন্যতম কারণ, আমরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েই বেঙ্গালুরুতে গিয়েছিলাম। কম্বোডিয়ায় দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি। প্রথম ম্যাচে লেবাননের কাছে হারলেও আমরা কিন্তু লড়াই করেছি। এর পর যে ম্যাচটিকে আমরা ‘ফাইনাল’ হিসেবে নিয়েছি, সেই মালদ্বীপের বিপক্ষে সবাই নিংড়ে দিয়েছে। একই রকম পারফরম্যান্স ভুটান ম্যাচেও। আপনি দেখেছেন, দুটি ম্যাচে আমরা পিছিয়ে পড়েও জিতেছিলাম। বাংলাদেশের ফুটবলে গত এক দশকে এমনটি খুব কমই হয়েছে। সেমিফাইনালে কুয়েতের মতো দলের বিপক্ষে ৯০ মিনিট পর্যন্ত সমানতালে লড়েছি। অতিরিক্ত সময়ে গোল হজম না করলে ম্যাচের গল্পটা অন্যরকমও হতে পারত। হয়তো ফাইনালে আমরাই যেতাম। তার পরও ছয়টি ম্যাচের মধ্যে আমরা চারটিতে জিতেছি, দুটিতে হেরেছি। খুব সম্ভবত দীর্ঘ সময় আমরা দারুণ ফুটবল খেলেছি। এখানে সবাইকে কৃতিত্ব দিতে হবে। কোচিং স্টাফ, টিমের সদস্য এবং খেলোয়াড়; সবাই এবারের সাফে ছিলেন বেশ আন্তরিক।
Posted ৯:২৪ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৯ জুলাই ২০২৩
nykagoj.com | Stuff Reporter