
নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩ | প্রিন্ট | 376 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের কমিটি গঠনের উদ্যোগ ভেস্তে গেল। আগামী ৩১ আগষ্টের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৪ জুনের মধ্যে সম্পন্ন করতে সদস্য সংগ্রহ। সংগঠনের ৪ শত সদস্য থাকার দাবির পরও সদস্যরা সদস্য সংগ্রহ অভিযান চালানোর পক্ষে মতামত দেন। গত ১৪ মে জামাইকার স্টার কাবাব রেষ্টুরেন্টে নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সাধারন সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ডা.আব্দুল লতিফ। পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক শ.আলম। সভার শুরুতে ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক কার্যত বিদায়ী বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, এ সভায় একজন পূর্নাঙ্গ সাধারন সম্পাদক নিয়োগ করা হোক।তিনি নবাগত সাধারন সম্পাদককে আগাম শুভেচ্ছা জানান। তার বক্তব্যে সাধারন সভাতেই নতুন কমিটি গঠনের ইঙ্গিত ছিল। তবে সভার মতামতের ভিত্তিতে সংবিধান অনুসারে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়। সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ডা. মাসুদুল হাসান দস্যদেও কাছে জানতে চান সংবিধান অনুসারে নির্বাচন হবে কিনা ? নাকি আজই কমিটি গঠন হবে? উপস্থিত সদস্যরা হাত তুলে সংবিধান অনুসারে সময় নিয়ে নির্বাচন করার পক্ষে মতামত দেন।
সভায় সবচেয়ে বির্তকিত বক্তব্য প্রদান করেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জিন্নাহ। তিনি বসবাস করেন ভারজেনিয়ায়। তিনি বলেন,উত্তর বঙ্গের মানুষ খারাপ। উপরটা এক। আর ভেতরটা অন্য রকম। তিনি বলেন, ২ সপ্তাহ আগে কিছু লোক সংবিধানকে ফেলে দিয়ে আহবায়ক কমিটি করেছিল। অঘটন ঘটিয়েছিল। তা লজ্জাজনক। এ জন্য গত সভা যারা করেছে তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা ডা.চৌধুরী সারওয়ারুল হাসান, উপদেষ্টা নাসির আলী খান,ইঞ্জিনিয়ার মিজানুল হাসান,ডা.রুহুল কুদ্দুস, এডভোকেট আব্দুর রশীদ,আবু তাহের,মোজাফ্ফর হোসেন,আব্দুস সালাম,মজিব উদ্দীন ঝন্টু,দবিরুল ইসলাম,আদান ইসলাম,আব্দুল মজিদ আকন্দ,কাওসার আলী,জাহাঙ্গীর আলম,আজিজুল হক মুন্না,শাহাবুদ্দিন বাচ্চ,ুজহিরুল ইসলাম টুকু,ডা.নার্গিস রহমান ও শাহনাজ বেগম। জহিরুল ইসলাম টুকু সাধারন সভাতেই সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচিত করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। শাহনাজ বেগম বলেন, সভায় এসেছি কমিটি গঠনের জন্য।জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ২ সপ্তাহ আগে আপনি বা আপনারা সাধারন সভা ডেকেছিলেন। সভা করলেন। আপনি কে? আপনি প্রতিষ্ঠাতা,বড় নেতা বা সুবক্তা যে কেউ হোন। এখনতো কেউ না।আপনিতো লাইনে নেই। এখন আপনাকে মানবো কেন? হঠাৎ করে এসে একজন সাধারন সভা ডাকলেন। কে আপনাকে সাধারন সভা ডাকার এখতিয়ার দিল? ওখানে অনেক নামিদামি ফেসও দেখা গেছে। ওসব ফেসকেও আমাদের ফেস করতে হবে।ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদককে জ্বনাব জাহাঙ্গীর বলেন, আপনার মতের বাইরে কথা ভলছি, তাই থামিয়ে দিচ্ছেন। আপনি শুধু আপনারটাই বলতে চান।
সভার এক পর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক উপস্থিত সিনিয়র ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে বলেন, ২ সপ্তাহ আগে কেউ কেউ রাস্তায় ঝালমুড়ি খেয়ে কমিটি করেছিল। তারা ঘুম থেকে জেগে উঠেছে মনে হয়। এ সময় সভায় আপত্তিসহ হৈচৈ শুরু হয়। তিনি বলেন, আমি ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক অ আমি কেন জানলামনা। পল খান কেন আমাদের জানায় নি।উল্লেখ্য মঞ্চে আব্দুল লতিফ ছাড়া সকলেই ২ সপ্তাহ আগের সভায় উপস্থিত ছিলেন। তারা এ বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন। সাধারন সাধারন সভায় কুরআন তেলোয়াত করেন মোহর খান। গীতা পাঠ করেন বিধান চন্দ্র পাল।
Posted ২:৪২ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩
nykagoj.com | Monwarul Islam