সারাদেশ ডেস্ক | বৃহস্পতিবার, ০৪ মে ২০২৩ | প্রিন্ট | 109 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
ধান কাটার ধুম পড়েছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার হাওরগুলোতে। দিগন্তজুড়ে ফসলের মাঠে পাকা ধানের পাশাপাশি কোথাও কোথাও কাঁচা আবার কোথাও ধানে চিটার অবস্থা দেখে কৃষকরা আশা-নিরাশার হিসাব কষছেন।
বিশ্বনাথের একটি পৌরসভাসহ উপজেলার আটটি ইউনিয়নের প্রায় ১৩টি হাওরে এখন বোরো ধান কাটার ধুম পড়েছে। চাউলধনী হাওর, মাদাইর হাওর, করইশাইল, তেরাছাবড়া, বাউসী বড় হাওরসহ সক হাওরে ধান কাটা আর মাড়াই-ঝাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন বর্গাচাষিসহ উপজেলার প্রায় ১৫ হাজার কৃষক।
হাওরপাড়ে কৃষকদের কারও দিকে তাকানোর ফুরসত নেই। দুপুরে খাবারের জন্য বাড়ি থেকে আসা ভাত ও ল্যাংরা (ছোট) আলু দিয়ে শুঁটকির তরকারি কখন যে ঠান্ডা হয়ে গেছে, তাতেও তাঁদের কোনো খেয়াল নেই। নিজ নিজ কাজ নিয়ে ব্যস্ত সবাই। কেউ কাটা ধান পাড়ে তুলছেন, কেউ করছেন ধান মাড়াই। কেউবা কুলা দিয়ে ধানের চিটা ও ময়লা দূর করছেন। কেউবা আবার মাড়াই করা ধান বস্তাবন্দি করছেন। আবার কেউ মাড়াই করা ধানের খড় শুকাচ্ছেন। উপজেলার হাওরগুলো ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। তবে শ্রমিক সংকট থাকায় প্রবাসী অধ্যুষিত এ উপজেলায় এখনও ৪৫ শতাংশ জমির পাকা ধান ক্ষেতেই পড়ে আছে।
বিশ্বনাথের হাওরাঞ্চলে বোরোর আশানুরূপ ফলন হলেও ব্লাস্ট রোগে ক্ষতি, পাকা ধানে চিটার পরিমাণ এবং ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়েও শঙ্কা কাটছে না কৃষকদের। বিশেষ করে ব্লাস্টের কারণে কোথাও কোথাও চাষিদের স্বপ্ন একেবারে চুরমার হয়ে গেছে।
দশঘর নোয়াগাঁওয়ের কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, আট কেয়ার জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছেন। তাঁর আড়াই কেয়ারেরও বেশি জমির ধান চিটা হয়ে গেছে। বাকি সাড়ে পাঁচ কেয়ার জমিতে কিছুটা ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু সব মিলিয়ে তিনি লোকসানের মধ্যে পড়েছেন। একই সমস্যা দেখা দিয়েছে হাসনাজির গ্রামের লিটন আহমদ, মীরগাঁওয়ের আবুল কালামের ধান ক্ষেতে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় জানান, উপজেলার ৫৫ শতাংশ জমির ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, পানি সংকট থাকায় সময়মতো যেসব কৃষক ব্যবস্থা নেননি, তাঁদের ব্লাস্ট রোগে বেশ ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে পাকা ধানের সঙ্গে চিটার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬ শতাংশ।
Posted ১২:৩১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৪ মে ২০২৩
nykagoj.com | Stuff Reporter