
খেলাধুলা ডেস্ক | সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট | 75 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
ফরচুন বরিশালের দেশি ক্রিকেটারদের দিকে তাকালে দেখা মিলবে জাতীয় দলের ছবি; বিদেশি ক্রিকেটার মিলিয়ে আন্তর্জাতিক দল। বিপিএলের বাকি দলগুলোর সঙ্গে বিশাল একটা পার্থক্য। কাগুজে সক্ষমতায় বরিশালের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে রংপুর রাইডার্স। খুলনা টাইগার্স দলটাও মোটামুটি ভালো। এই তিন দলের মধ্যে কিছুটা লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা দেখেন বিশেষজ্ঞরা। বাকি চার দল অনেক পিছিয়ে।
দুর্বার রাজশাহীকে মনে করা হচ্ছে মাজুল দলগুলোর একটি। দেশি-বিদেশি কোনো বিভাগেই একাধিক ভালো মানের ক্রিকেটার দলে টানতে পারেনি তারা। সেদিক থেকে দেখলে অপেক্ষাকৃত খর্বশক্তির রাজশাহীর বিপক্ষে শক্তিশালী বরিশালের ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে বিপিএলের একাদশ আসরের। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দুপুর দেড়টায় প্রথম ম্যাচ। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রংপুর রাইডার্সের মুখোমুখি হবে ঢাকা ক্যাপিটালস।
তারকা ক্রিকেটারে ঠাসা বরিশালের রিজার্ভ বেঞ্চও শক্তিশালী। প্রথম ম্যাচ থেকে চার বিদেশি নিয়ে খেলবে তারা। শাহিন শাহ আফ্রিদি, কাইল মায়ার্স, মোহাম্মদ নবি, ডেভিড মালান, ফাহিম আশরাফ, মোহাম্মদ আলি, জাহানদাদের থেকে যে কোনো চারজনকে বেছে নেওয়া হতে পারে। মূলত বোলিং ও অলরাউন্ডারের জায়গায় বিদেশিদের রাখা হবে। দেশিরা বেশি খেলবেন ব্যাটিংয়ে। অধিনায়ক তামিম ইকবাল গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলে গেছেন, নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ব্যাটিং ওপেন করবেন। মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহর জায়গাও পাকা। স্পিনার খেলবেন দু’জন। বোঝাই যাচ্ছে বেশির ভাগ ক্রিকেটারকে মন খারাপ করে বসে থাকতে হবে রিজার্ভ বেঞ্চে।
এর পরও তামিম নিজেদের সেরা দল মনে করেন না। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি গেল বছর দেখেন, কাগজে-কলমে হয়তো আমরা তৃতীয় শক্তিশালী দল ছিলাম। আমাদের যদি কুমিল্লা বা রংপুরের সঙ্গে তুলনা করা হয়, তারা আমাদের থেকে ভালো দল ছিল। সেখান থেকে আমরা চ্যাম্পিয়ন হই। এ বছরও কয়েকটা দল… তাদের হয়তো বড় নামের ক্রিকেটার নেই, তবে তারা খুব ভারসাম্যপূর্ণ। খেলা শুরু হলে বুঝতে পারব কার শক্তি কতটুকু বা কোন দল কোন জায়গায় আছে। প্রথম রাউন্ডের পর বোঝা যাবে কোন দলগুলো টাইটেলের জন্য লড়বে।’
রাজশাহীর আইকন তাসকিন আহমেদ দারুণ ছন্দে আছেন। জাতীয় দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিন সংস্করণেই ভালো খেলেছেন তিনি। এনামুল হক বিজয়, জিসান আলম ছন্দে আছেন। রায়ান বার্ল, মোহাম্মদ হারিসকে নিয়ে লড়াই জমানোর চেষ্টা করবে তারা। যদিও বরিশালের বোলিং বিভাগের তোপের মুখে টিকে থাকা কঠিন হতে পারে। দলীয় সক্ষমতা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তামিম বলেন, ‘এক বা দুই বলতেই পারেন! আমরা যেভাবে দল সাজিয়েছি, চেষ্টা করেছি গ্যাপগুলো পূরণ করার। চ্যালেঞ্জটা হবে ৭-৮ ম্যাচের পর, তখন খেলোয়াড়রা আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকবে। সেটা সব দলের জন্যই। আমার দলের জন্য, অন্য দলের জন্যও। ওই সময় যারা ওই গ্যাপটা ভালোভাবে ফিল করতে পারবে, তারা এগিয়ে থাকবে।’
চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক টুর্নামেন্টের শুরুতে শেষের ছবি দেখতে চান না। ধাপে ধাপে উন্নতি এবং ভালো খেলা প্রদর্শন করতে চান তিনি। লিগ পর্বের সবক’টি ম্যাচ ভালো খেলে যেতে চান নকআউটে। ২২ গজের সে মহড়া শুরু আজ থেকে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে।
Posted ৪:২৭ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
nykagoj.com | Stuff Reporter