
খেলাধুলা ডেস্ক | সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট | 18 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
একটি সুন্দর রাতের পর বিপর্যস্ত সকাল দেখতে হবে, সমর্থকরা তা ভাবতেও পারেননি। তারা হয়তো দেখতে চেয়েছিলেন একটি বিরোচিত ইনিংস। একাধিক হাফ সেঞ্চুরি ও এক-দুটি স্মাট জুটিও দেখার সাধ থাকা অস্বাভাবিক চাওয়া নয়। কিন্তু সে স্বপ্নগুলো ভেসে গেছে উইকেট বৃষ্টিতে। ১০ রানে দুই উইকেট হারানোর পর সাদমান ইসলাম ও শাহাদাত হোসেন দিপু টেনেটুনে ৭৩ রানের জুটি গড়ে কিছুটা আশার আলো দেখালেও মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতা হতাশ করে। গতকাল সকালের সেশনে ২৮ ওভারে ৫৩ রানে চার উইকেট হারালে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ১৫ রানে চার উইকেট হারায় দল।
দ্বিতীয় দিন সাদমান-দিপু জুটি ভালো শুরু করে। দিপু ছিলেন সাবলীল। ১২ রানে প্রথম দিন অপরাজিত থাকা দিপু হাত খুলে খেলে বোলারদের চাপে ফেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু সীমিত স্কিল নিয়ে খেলা শাহাদাত টিকে থাকতে পারেননি। ১২ কে ২২ রানে নিয়ে উইকেট বিসর্জন দেন। সেই থেকে পতনের শুরু। লিটন কুমার দাস নেমে টিকে ছিলেন মাত্র ছয় বল। অফসাইডের বাইরে পিচ করা বলে শট খেলে হজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১ রানে সাজঘরে ফেরেন। লিটনের মতো একজন অভিজ্ঞ ব্যাটারের কাছে এতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং আশা করে না দল।
৮৮ রানে চার উইকেট হারানোর পর সাদমানের সঙ্গে জাকের আলীর জুটি হয়নি। আলজারি জোসেফের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন জাকের। ১০ বলে ১ রান করেন তিনি। সংগ্রাম করে ৪৪ ওভার টিকে থাকা সাদমান শেষে হার মানেন ৪৪.১ ওভারে। তিনিও জোসেফের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। ১৩৭ বলে ৬৪ রান করেন তিনি। টেস্টে পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি তাঁর। পাঁচটি চার ও একটি ছয় দিয়ে ইনিংসটি সাজান সাদমান। নিয়মিত ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ইনিংস মেরামতের কাজে নেমেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন।
মিরাজের দারুণ একটি গুণ হলো, চাপের মুখে বুকচিতিয়ে লড়াই করার মানসিকতা। অতীতে অনেক ম্যাচে যার প্রমাণ রেখেছেন। গতকালও ব্যাটিং বিপর্যয় থেকে দলকে টেনে তুলতে সংগ্রাম করছিলেন তিনি। মিরাজ ১৮, তাইজুল ৮ রানে অপরাজিত থেকে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছিলেন। বিরতি থেকে ফিরে জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন দু’জনে। দ্বিতীয় দিন প্রথম সেশন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ১২২ রান। গতকাল প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৬৪ রান।
জ্যামাইকার কিংস্টনে দুই দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশকে পিছিয়ে রাখতেই হচ্ছে। বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র সাফল্য ছিল নাহিদ রানার উইকেট। কিংস্টনে নিয়মিত ১৫০ এর ওপর বল করেছেন। তাকেই কেবল খেলতে গিয়ে সমীহ করেছে উইন্ডিজ ব্যাটাররা। এছাড়া আর কেউই সে অর্থে পরীক্ষা নিতে পারেননি। ৪৭ বলে ১২ রান করা লুইকেও ফেরান তিনি।
এদিন ভাগ্যের ছোঁয়া পেয়েছেন ক্রেইগ ব্রাফেট। তার সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন মিরাজ। এরপর এলবিডব্লিউ হয়েও বেঁচে গিয়েছেন রিভিউ নিয়ে। দিনশেষে অপরাজিত থাকলেন ৩৩ রানে। তার সঙ্গী কিসি কার্টি অপরাজিত ১৯ রানে। স্বাগতিকরা দিন শেষ করেছে ৩৭ ওভারে ১ উইকেটে ৭০ রান তুলে। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের চেয়ে ৯৪ রানে পিছিয়ে আছে দলটি।
কেমার রোচ প্রথম দিনের খেলা শেষে বলেছিলেন, উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো। অথচ গতকাল লিটনদের উইকেট বিসর্জন দেখে মনেই হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজে রান করা যায়।
Posted ৪:১৪ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪
nykagoj.com | Stuff Reporter