খেলাধূলা ডেস্ক | বুধবার, ০৪ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট | 87 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
‘একটা যা তা অবস্থা। এর থেকে আমাদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ আরো ভালো হয়’- বিপিএল নিয়ে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। নিজে দায়িত্ব পেলে এক-দুই মাসের মধ্যেই সব ঠিক করতে পারবেন বলে জানান তিনি।
গালফ অয়েল বাংলাদেশ লিমিটেড এক দিনের জন্য চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) করেছে বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিবকে। বুধবার সেই দায়িত্ব গ্রহণের পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই সাকিব বিপিএল নিয়ে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। এ দিন বেলা ১১টায় তিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে এসে সিইওর দায়িত্ব নেন।
মূলত গালফ অয়েলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সাকিব আল হাসান। কোম্পানির প্রচারের জন্যই মূলত এ অভিনব আয়োজন। সেখানেই প্রতিষ্ঠানটির অফিসে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন সাকিব। সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল ৬ জানুয়ারি শুরু বিপিএল আয়োজনে যদি সিইও হতেন তাহলে কী ভূমিকা রাখতেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিবের সরাসরি উত্তর দায়িত্ব দিলেন। জানালেন, বেশিদিন লাগবে না পরিবর্তন করতে। সর্বোচ্চ ১ থেকে ২ মাস। সাকিব বলছিলেন, ‘আমাকে যদি সিইও দায়িত্ব দেওয়া হয় বিপিএলের, আমার বেশিদিন লাগবে না। আমার ধারণা ১ থেকে ২ মাস লাগবে সবকিছু ঠিক করতে- ম্যাক্সিমাম। খুব বেশি হলে দুই মাসও লাগার কথা না। দুই মাস তো অনেক দূরের কথা বলেছি।’
সাকিব মজা করে একটি সিনেমার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘নায়ক মুভিতে দেখেছেন না ১ দিনে অনেক কিছু করা সম্ভব যে করতে পারে। যে পারে সে সবসময়ই করতে পারে।’
চলতি মৌসুমে নতুন সিইও হলে আপনি কি করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘এই মৌসুমের সবকিছু বাদ দিয়ে আবার ড্রাফট হবে, অকশন হবে। ফ্রি টাইমে বিপিএল হবে সব আধুনিক টেকনোলজি থাকবে। ব্রডকাস্ট ভালো থাকবে হোম এন্ড অ্যাওয়ে ভেন্যু থাকবে।’
বিপিএল নিয়ে বিসিবি সবসময়ই স্পন্সরের অভাবের কথা বলে। তবে সাকিব তা বিশ্বাস করেন না। সাকিবের মতে, ক্রিকেটে বাংলাদেশের বাজার বড়। বিসিবি কর্তাদের স্বদিচ্ছার অভাবকেও দায়ী করেছেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘পারিনি নাকি চাইনি জানি না- বলাটা কষ্টকর। চাইলে না পারার কোনো কারণ আমি দেখি না। আমার মনে হয় আমরা সৎ মনে কখনও চাইনি কিছু করতে এখন পর্যন্ত। বাজেট নেই, কারণ আমরা বাজেট তৈরি করতে পারিনি। যদি তৈরি করতে পারতাম, মান অর্জন করতে পারতাম- অবশ্যই এই বাজেটটা অনেক বড় হওয়ার কথা ছিল।’
স্পন্সর সংকট নিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমার ধারণা এটা মার্কেটিংয়ের জায়গা থেকে বড় একটি ব্যর্থতা। যে কারণে আমরা সেই রকম একটা বাজার তৈরি করতে পারিনি।
ডিআরএস না থাকা নিয়ে সাকিব বললেন, আমি তো কোনো কারণই দেখি না ডিআরএস না থাকার।
বিপিএলে বিদেশি খেলোয়াড়েরা থাকলেও কেউই নিয়মিত না। কেউ এক-দুই ম্যাচ খেলবে, কেউবা শেষের দিকে আসবে। সাকিবও এই ব্যপারটা নিয়ে বিরক্ত। তিনি বলেন, ‘এখন এক প্লেয়ার একদিন আসবে, দুইদিন পর চলে যাবে। কে কখন আসবে কখন যাবে কেউ জানে না। ড্রেস পায়নি প্লেয়াররা। আমি আপনাদের নিউজেই দেখেছি। একটা যা-তা অবস্থা। এর থেকে আমাদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) আরও ভালোভাবে হয়। কারণ তারা আগে থেকেই টিমটা গোছাতে পারে। আরও আগে থেকে জানে যে টিমটা কি হচ্ছে এবং তারা সেভাবে প্রস্তুতি নিতে পারে।’
Posted ১২:৪৫ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৪ জানুয়ারি ২০২৩
nykagoj.com | Stuff Reporter