খেলাধুলা ডেস্ক | রবিবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট | 28 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
চারটি ক্যাচ ফেলার পরও দিন শেষে বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে স্বস্তি! কড়া হেডমাস্টার চন্ডিকা হাথুরুসিংহে হাসিমুখে বরণ করে নেন ফিল্ডিং করে আসা সবাইকে। বাংলাদেশ দলের জন্য এমন দৃশ্য বিরল। এই বিরল কাণ্ডটি সম্ভব হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণি ও তাসকিন আহমেদের পেসে। দু’জনের দুরন্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে ২৭৪ রানে গুটিয়ে দিয়ে রাওয়ালপিন্ডিতে আরও একটি দারুণ দিন কাটিয়েছে টাইগাররা। বৃষ্টিতে প্রথম দিন ভেসে যাওয়ার পর গতকাল মিরাজের ৫ উইকেট রাওয়ালপিন্ডিতে আবারও স্বপ্ন দেখাচ্ছে বাংলাদেশকে।
এই স্বস্তিটা আরও বেড়েছে দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও জাকির হাসান শেষ বিকেলে কোনো বিপর্যয় ছাড়া ২ ওভার কাটিয়ে অপরাজিতভাবে সাজঘরে ফেরায়। বিপদ অবশ্য প্রথম বলেই হয়েছিল প্রায়! মির হামজার বলে সাদমান ক্যাচ দিলেও পঞ্চম স্লিপে সৌদ শাকিল কয়েকবার লূফালোফি করে ফেলে দেন। আজ কী করতে হবে, বাংলাদেশি ব্যাটারদের সে টিপস দিয়েছেন দেড় বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে ফেরা তাসকিন। ৩ উইকেট নেওয়া এ পেসার পিন্ডির স্পোর্টিং উইকেটে বল পুরোনো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশি ব্যাটারদের। অনভিজ্ঞ এক বোলিং লাইন নিয়ে খেলতে নেমেছে পাকিস্তান। শাহিন আফ্রিদি তো ১২ জনেই ছিলেন না, আর গতকাল নাসিম শাহকেও বিশ্রাম দেওয়া হয়। তাদের চার বোলারের মোট অভিজ্ঞতা হলো ১৬ টেস্ট!
সকালে ঝলমলে রোদ উঠলেও আগের দিনের বৃষ্টির সুবিধা নেওয়ার জন্য টস জিতে ফিল্ডিং নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আর প্রথম ওভারেই দারুণ এক ডেলিভারিতে আব্দুল্লাহ শফিকের স্টাম্প ছত্রখান করে দিয়ে টেস্টে প্রত্যাবর্তনটা উদযাপন করেন তাসকিন। পাঁচটি আউট সুইংয়ের পর ওভারের শেষ বলটি ইন-সুইং দিয়ে ব্যাটারকে বোকা বানানোর পরিকল্পনার বাস্তবায়ন দেখান তাসকিন। প্রথম ওভারে উইকেট সত্ত্বেও সেশনটা কিন্তু বাংলাদেশের ছিল না। সাইম আইয়ুবের সঙ্গে শান মাসুদ দ্বিতীয় উইকেটে ১০৭ রান তুলে পাকিস্তানকে বড় স্কোরের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় সেশনে কৌশল পাল্টে আঁটোসাঁটো বোলিং শুরু করে বাংলাদেশ। ফল পেতে সময় লাগেনি। লাঞ্চের পর তৃতীয় ওভারেই ৫৭ রান করা শান মাসুদকে এলবির ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। ৫৮ রান করা সাইম আইয়ুবও মিরাজকে ক্রিজ ছেড়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হন। এর পর নাহিদ রানার বলে জীবন পাওয়া সৌদ শাকিল তাসকিনের বল স্টাম্পে টেনে আনেন। ৩১ রান করে উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া বাবরকে ফেরান সাকিব। ওই ওভারে সালমান আলি আগাও ক্যাচ দিয়েছিলেন। জাকিরের হাতে জীবন পাওয়া এ ব্যাটার হাফ সেঞ্চুরি করে তাসকিনের বলে সাকিবের হাতে সীমানায় ধরা পড়েন। বাকি উইকেটগুলো তুলে নিয়ে মিরাজ টেস্টে দশমবারের মতো পাঁচ উইকেটের স্বাদ নেন।
Posted ৩:২৮ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
nykagoj.com | Stuff Reporter